উত্তর: আকীকা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ - (আবুদাউদ হা/২৮৩৯; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৫; মিশকাত হা/৪১৫৩)।
তিনি বলেন, ‘সন্তানের সাথে আক্বীক্বা জড়িত। অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর - (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৪৯)।
উক্ত হাদিসগুলিতে আকীকার গুরুত্ব ও সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং রাসূল (ﷺ) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইনের আক্বীকাও সপ্তম দিনে করেছিলেন - (সহীহ ইবনু হিববান হা/৫৩১১, সনদ হাসান)।
অতএব সক্ষম ব্যক্তি সপ্তম দিনেই আকীকা করবে। উল্লেখ্য, ৭ম দিনের পরে ১৪ ও ২১ দিনে দেওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসটি যঈফ - (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/১১৭০)।
সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে - (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)।
শাফেঈ বিদ্বানগণের মতে সাত দিনে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয় বরং এখতিয়ার মূলক। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সাত দিনে আকীকার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আকীকা করবে না (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)।
অভিভাবক আকীকা না দিলে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে নিজেই নিজের আকীকা করতে পারে - (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৭৮৯৮; মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ২৬/২৬৬)।
খ্যাতনামা তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেন, যদি আমি জানতাম যে, আমার পক্ষে আকীকা দেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই আমি নিজেই নিজের আকীকা করতাম - (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/২৪৭১৮, সহীহাহ হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্রঃ)।
হাসান বছরী (রহঃ) বলতেন যে, যদি তোমার পক্ষ থেকে আকীকা দেওয়া না হয়, তবে তুমি নিজেই নিজের আকীকা দাও, যদিও তুমি বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তি হও - (ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৬/২৪০, সনদ হাসান, আলবানী, সহীহাহ হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্রঃ)।
তিনি বলেন, ‘সন্তানের সাথে আক্বীক্বা জড়িত। অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর - (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৪৯)।
উক্ত হাদিসগুলিতে আকীকার গুরুত্ব ও সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং রাসূল (ﷺ) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইনের আক্বীকাও সপ্তম দিনে করেছিলেন - (সহীহ ইবনু হিববান হা/৫৩১১, সনদ হাসান)।
অতএব সক্ষম ব্যক্তি সপ্তম দিনেই আকীকা করবে। উল্লেখ্য, ৭ম দিনের পরে ১৪ ও ২১ দিনে দেওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসটি যঈফ - (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/১১৭০)।
সঙ্গত কোন কারণে যদি সময়মত করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় তা আদায় করবে - (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ ৬৩ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং- ১৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ২৫/২১৫)।
শাফেঈ বিদ্বানগণের মতে সাত দিনে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয় বরং এখতিয়ার মূলক। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সাত দিনে আকীকার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আকীকা করবে না (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)।
অভিভাবক আকীকা না দিলে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে নিজেই নিজের আকীকা করতে পারে - (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৭৮৯৮; মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ২৬/২৬৬)।
খ্যাতনামা তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেন, যদি আমি জানতাম যে, আমার পক্ষে আকীকা দেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই আমি নিজেই নিজের আকীকা করতাম - (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/২৪৭১৮, সহীহাহ হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্রঃ)।
হাসান বছরী (রহঃ) বলতেন যে, যদি তোমার পক্ষ থেকে আকীকা দেওয়া না হয়, তবে তুমি নিজেই নিজের আকীকা দাও, যদিও তুমি বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তি হও - (ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৬/২৪০, সনদ হাসান, আলবানী, সহীহাহ হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্রঃ)।
প্রশ্নোত্তর পর্ব, মাসিক আত-তাহরীক।
মার্চ ২০১৫ সংখ্যা।
মার্চ ২০১৫ সংখ্যা।
Last edited by a moderator: