প্রথম মত: মাসজিদেই জামআতের সাথে সালাত পড়া তার ওপর ওয়াজিব। ওজর ছাড়া বাড়িতে জামাআত করতে পারবে না। এটা ইমাম আহমাদের একমত, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনু কাইয়্যিম, বিন বায, ইবনু উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ তাদের মত। তাদের দলীল: আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস, যেখানে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যারা জামাআতে আসে না তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার যে সংকল্প করেছেন ও অন্ধ ব্যক্তির ঘটনার হাদীস।
দ্বিতীয় মত: বাড়িতে জামাআত পড়া তার জন্য জায়েয আছে। এটা হানাফি, মালেকি, শাফেয়ী ও ইমাম আহমাদের একমত। তারা বলেন, মাসজিদে জামাআত করা ফরজে
কিফায়াহ। তাদের দলীল: জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস, সেখানে আছে, “ গোটা পৃথিবী আমার জন্য মাসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছে । আমার উম্মতের যে কোনো ব্যক্তি যেখানেই থাকে না কেন সালাত পড়ে নিবে"। দুই ব্যক্তির হাদীস, যারা বাড়িতে সালাত পড়েছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মাসজিদে নফল সালাত হিসেবে আবার সালাত পড়তে বলেছিলেন, কিন্তু বাড়িতে সালাত পড়াকে তিনি অস্বীকার করেননি ।
প্রাধান্যযোগ্য মতঃ পূর্বের দলীলের আলোকে প্রাধান্যযোগ্য মত প্রথম মত। আর দ্বিতীয় মতের প্রবক্তারা যে দলীল উপস্থাপন করেছেন, “ গোটা পৃথিবী আমার জন্য মাসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছ” । এই হাদীস তাদের দলীল হতে পারে না। কারণ হাদীসের অর্থ হচ্ছে আমার উম্মত যে জায়গায়ই থাকুক না কেন, যেমন: মাসজিদ থেকে দূরে, যার কারণে বাড়িতে বা সফরে আযান শুনছে না অথবা অন্য কোনো ওজরের কারণে, তার জন্য যে কোনো স্থানে সালাত পড়া জায়েয আছে। এটা শুধু এই উম্মতের বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য নাবীর উম্মতরা শুধু উপাসনালয়ে ও গিরজায় সালাত পড়তে পারতো আর যে দুই ব্যক্তির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এটা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘটনা। এটাকে এখানে দলীল হিসেবে নেয়া যাবে না। কারণ, হতে পারে তাদের বাড়ি অনেক দূরে ছিল। আল্লাহ ভালো জানেন। (মুগনী, ২/১৭৮, কিতাবুস সালাত লি ইবনু কাইয়্যিম, (১৩৪), ফাতাওয়া ইবনু বায, ২/১৯,২৮,৩২, শারহুল মুমতি, ৪/১৪৭)
– মিসকুল খিতাম, ১ম খন্ড, পৃ: ৩০৯,৩১০; মাকতাবাতুস সুন্নাহ প্রকাশনী
দ্বিতীয় মত: বাড়িতে জামাআত পড়া তার জন্য জায়েয আছে। এটা হানাফি, মালেকি, শাফেয়ী ও ইমাম আহমাদের একমত। তারা বলেন, মাসজিদে জামাআত করা ফরজে
কিফায়াহ। তাদের দলীল: জাবের রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর হাদীস, সেখানে আছে, “ গোটা পৃথিবী আমার জন্য মাসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছে । আমার উম্মতের যে কোনো ব্যক্তি যেখানেই থাকে না কেন সালাত পড়ে নিবে"। দুই ব্যক্তির হাদীস, যারা বাড়িতে সালাত পড়েছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মাসজিদে নফল সালাত হিসেবে আবার সালাত পড়তে বলেছিলেন, কিন্তু বাড়িতে সালাত পড়াকে তিনি অস্বীকার করেননি ।
প্রাধান্যযোগ্য মতঃ পূর্বের দলীলের আলোকে প্রাধান্যযোগ্য মত প্রথম মত। আর দ্বিতীয় মতের প্রবক্তারা যে দলীল উপস্থাপন করেছেন, “ গোটা পৃথিবী আমার জন্য মাসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছ” । এই হাদীস তাদের দলীল হতে পারে না। কারণ হাদীসের অর্থ হচ্ছে আমার উম্মত যে জায়গায়ই থাকুক না কেন, যেমন: মাসজিদ থেকে দূরে, যার কারণে বাড়িতে বা সফরে আযান শুনছে না অথবা অন্য কোনো ওজরের কারণে, তার জন্য যে কোনো স্থানে সালাত পড়া জায়েয আছে। এটা শুধু এই উম্মতের বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য নাবীর উম্মতরা শুধু উপাসনালয়ে ও গিরজায় সালাত পড়তে পারতো আর যে দুই ব্যক্তির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এটা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘটনা। এটাকে এখানে দলীল হিসেবে নেয়া যাবে না। কারণ, হতে পারে তাদের বাড়ি অনেক দূরে ছিল। আল্লাহ ভালো জানেন। (মুগনী, ২/১৭৮, কিতাবুস সালাত লি ইবনু কাইয়্যিম, (১৩৪), ফাতাওয়া ইবনু বায, ২/১৯,২৮,৩২, শারহুল মুমতি, ৪/১৪৭)
– মিসকুল খিতাম, ১ম খন্ড, পৃ: ৩০৯,৩১০; মাকতাবাতুস সুন্নাহ প্রকাশনী