• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

অন্যান্য লাইলাতুল কদর কীভাবে পালন করা উচিৎ?

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,100
Credits
5,773
প্রশ্ন: আমাদের লাইলাতুল কদর কীভাবে পালন করা উচিৎ? তা কি সালাত আদায় করার মাধ্যমে নাকি কুরআন তিলাওয়াত, রাসূলের সীরাহ পাঠ, আদেশ উপদেশ দেওয়া/শোনা ও মসজিদে অনুষ্ঠান উদযাপন করার মাধ্যমে পালন করতে হবে?

উত্তর: প্রথমত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশ দিন এমনভাবে সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত ও দো‘আ পাঠের মাধ্যমে মনোনিবেশ করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে ইমাম বুখারী এবং মুসলিম বর্ণনা করেছেন যে, (রমযানের) শেষ দশ রাত্রি শুরু হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে জাগতেন এবং তাঁর পরিবারবর্গকেও জাগাতেন এবং স্ত্রী-মিলন থেকে বিরত থাকতেন। আহমাদ এবং মুসলিম বর্ণনা করেছেন যে, ‘তিনি শেষ দশ দিন এমনভাবে মনোনিবেশ করতেন যা অন্য সময়ে করতেন না।’

দ্বিতীয়ত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও প্রতিদানের আশায় রাত জেগে ইবাদাত করতে উৎসাহিত করেছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«من قام ليلة القدر إيماناً واحتساباً غفر له ما تقدم من ذنبه»
“ঈমানের সাথে ও প্রতিদানের আশায় যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে জেগে কিয়াম করবে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।”[1]

আর এই হাদীসে লাইলাতুল কদরে রাত জেগে কিয়াম করার শরী‘আতসম্মত হওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে।

তৃতীয়ত: লাইলাতুল কদরে সবচেয়ে ভালো দো‘আসমূহের মধ্যে একটি পাঠ করা যায় যা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইমাম তিরমিযী এটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ‘হে রাসূলুল্লাহ! যদি আমি জানি কোনো রাতে লাইলাতুল কদর তবে আমি সেই রাতে কি বলব?’ তিনি বললেন, বল:
«اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني »
“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউউন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা ‘ফুউ ‘আন্নী”

(হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।)”[2]

চতুর্থত: রমযানে লাইলাতুল কদরের রাত ঠিক কোনোটি, এটি জানার জন্য বিশেষ সাক্ষ্য প্রমাণের প্রয়োজন আছে, কিন্তু শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতগুলো অন্যান্য রাতের চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় এবং সাতাশতম রাত (শেষ দশদিনের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে) লাইলাতুল কদর হওয়ার ব্যাপারে বেশি সম্ভাবনাময়। যেমনটি আমরা এ ব্যাপারে নির্দেশ করে এমন হাদীসগুলো উল্লেখ করেছি।

পঞ্চমত: আর বিদ‘আত কাজসমূহ, তা কখনই রমযান বা রমযানের বাইরে কোনো সময়েই জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন,
«من أحدث في أمرنا هذا ما ليس فيه فهو رد»
“যে আমাদের এই বিষয়ে (শরী‘আতে) নতুন কিছু প্রবর্তন করল যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।”[3]

অন্য এক বর্ণনায় আছে,
«من عمل عملاً ليس عليه أمرنا فهو رد»
“যে কোনো কাজ করল যা আমাদের বিষয়ের (শরী‘আতের) অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।[4]”

আর রমযানের কিছু নির্দিষ্ট রাতে অনুষ্ঠান উদযাপনের ব্যাপারে কোনো ভিত্তি আমাদের জানা নেই। সবচেয়ে ভালো পথ-নির্দেশনা হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ এবং সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে (শারী‘আতে) নতুন প্রবর্তিত বিষয়সমূহ (বিদ‘আত)।

আর আল্লাহই তাওফীকদাতা।

গবেষণা ও ফাতওয়া ইস্যুকারী আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ (১০/৪১৩)


[1] সহীহ বুখারী ও মুসলিম।
[2] তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫১৩। [সম্পাদক]
[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৯৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৮, তবে মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে ما ليس منه [সম্পাদক]
[4] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৮।
 
Top