যে সকল শ্রেষ্ঠ ইবাদত দ্বারা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়, ত¦মধ্যে রোযা হল অন্যতম। আল্লাহ তা বান্দার জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন, যাতে করে বান্দা তদ্দবারা নিজের আত্মা ও মনকে সংশুদ্ধ করতে পারে এবং প্রত্যেক কল্যাণের উপর তাকে অভ্যস্ত করতে পারে। সুতরাং রোযা রাখা অবস্থায় রোযাদারকে এমন সব কর্ম থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়, যা তার রোযাকে দূষিত করে ফেলে। যাতে সে তার রোযা দ্বারা পুরোপুরি উপকৃত হতে পারে। তদ্দবারা সেই ‘তাকওয়া’ ও ‘পরহেযগারী’ লাভ হয়, যার কথা তিনি কুরআনে বলেছেন,
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার হতে পার।’’ (কুরআনুল কারীম ২/১৮৩)
কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোযা নয়। বরং রোযা পানাহার থেকে এবং অনুরূপ সকল সেই বস্ত্ত থেকে বিরত থাকার নাম, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। যদিও নিষিদ্ধ কর্ম সকল মাসেই নিষিদ্ধ, তবুও বিশেষ করে রমাযান মাসে রোযা অবস্থায় তা বেশী করে নিষিদ্ধ।
রোযা রোযাদারকে যদি পানাহার থেকে বিরত রাখে; যা তার জীবন ধারণের জন্য জরুরী এবং তাকে সকল যৌনাচার থেকে বিরত রাখে; যা তার দৈহিক ক্ষুধার প্রকৃতিগত বাসনা, তাহলে তার জন্য ওয়াজেব ও জরুরী এই যে, সে কোন প্রকারের পাপাচরণে লিপ্ত হবে না; তাতে সে পাপ যেমনই হোক। সে কোন প্রকারের অসার ক্রিয়া-কলাপে লিপ্ত হবে না; তাতে তার ধরন যেমনই হোক। সে তার রোযা অবস্থায় থাকার সময়টুকুতে ইবাদতের অনুকূল আচরণে চরিত্রবাণ থাকবে। কারণ, ইবাদতে সে আল্লাহর সামনে হাযির থাকে। অতএব প্রত্যেক কথা বলার পূর্বে সে চিন্তা করবে, প্রত্যেক কর্ম করার পূর্বে সে ভেবে দেখবে যে, তার সে কথা ও কর্ম তার ইবাদত রোযার অনুকূল কি না? সে কথা বা কর্ম তাঁকে সন্তুষ্ট করবে কি, যাঁর সামনে ইবাদতের উদ্দেশ্যে সে উপস্থিত?[1]
আর যদি রোযাদার তা না করতে পারে, তাহলে সে এমন রোযাদারদের দলে শামিল হয়ে যাবে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘কিছু রোযাদার আছে, যাদের রোযায় ক্ষুধা ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না এবং কিছু তাহাজ্জুদগুযার আছে, যাদের তাহাজ্জুদে রাত্রি জাগরণ ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না।’’[2]
বলা বাহুল্য, যে রোযাদারের রোযা তার জন্য ঢালস্বরূপ হবে, যে রোযার মাধ্যমে সে ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে, তা হল সেই রোযা, যে রোযা রেখে থাকে রোযাদারের হৃদয় এবং তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ)
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার হতে পার।’’ (কুরআনুল কারীম ২/১৮৩)
কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোযা নয়। বরং রোযা পানাহার থেকে এবং অনুরূপ সকল সেই বস্ত্ত থেকে বিরত থাকার নাম, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। যদিও নিষিদ্ধ কর্ম সকল মাসেই নিষিদ্ধ, তবুও বিশেষ করে রমাযান মাসে রোযা অবস্থায় তা বেশী করে নিষিদ্ধ।
রোযা রোযাদারকে যদি পানাহার থেকে বিরত রাখে; যা তার জীবন ধারণের জন্য জরুরী এবং তাকে সকল যৌনাচার থেকে বিরত রাখে; যা তার দৈহিক ক্ষুধার প্রকৃতিগত বাসনা, তাহলে তার জন্য ওয়াজেব ও জরুরী এই যে, সে কোন প্রকারের পাপাচরণে লিপ্ত হবে না; তাতে সে পাপ যেমনই হোক। সে কোন প্রকারের অসার ক্রিয়া-কলাপে লিপ্ত হবে না; তাতে তার ধরন যেমনই হোক। সে তার রোযা অবস্থায় থাকার সময়টুকুতে ইবাদতের অনুকূল আচরণে চরিত্রবাণ থাকবে। কারণ, ইবাদতে সে আল্লাহর সামনে হাযির থাকে। অতএব প্রত্যেক কথা বলার পূর্বে সে চিন্তা করবে, প্রত্যেক কর্ম করার পূর্বে সে ভেবে দেখবে যে, তার সে কথা ও কর্ম তার ইবাদত রোযার অনুকূল কি না? সে কথা বা কর্ম তাঁকে সন্তুষ্ট করবে কি, যাঁর সামনে ইবাদতের উদ্দেশ্যে সে উপস্থিত?[1]
আর যদি রোযাদার তা না করতে পারে, তাহলে সে এমন রোযাদারদের দলে শামিল হয়ে যাবে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘কিছু রোযাদার আছে, যাদের রোযায় ক্ষুধা ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না এবং কিছু তাহাজ্জুদগুযার আছে, যাদের তাহাজ্জুদে রাত্রি জাগরণ ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না।’’[2]
বলা বাহুল্য, যে রোযাদারের রোযা তার জন্য ঢালস্বরূপ হবে, যে রোযার মাধ্যমে সে ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে, তা হল সেই রোযা, যে রোযা রেখে থাকে রোযাদারের হৃদয় এবং তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
[1] (দ্রঃ ফিকহুস সুন্নাহ ১/৪০৫, সাওমু রামাযান ২১-২২পৃঃ)
[2] (ইবনে মাজাহ, আহমাদ, মুসনাদ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, বাইহাকী, ত্বাবারানী, মু’জাম, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩৪৮৮, ৩৪৯০নং)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী