‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর গুণাবলী

আল-বারা ইবনে আজেব [রা] হতে বর্ণিত তিনি বলেন:
«كان النبي - صلى الله عليه وسلم - أحسن الناس وجهًا، وأحسنهم خلقًا، ليس بالطويل البائن، ولا بالقصير».​

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম চেহারা ও সর্বোত্তম শারীরিক কাঠামোর অধিকারী ছিলেন, তিনি অতি লম্বা ছিলেন না বা খাটোও ছিলেন না।[1]
তিনি আরও বর্ণনা করেন:
«كان النبي - صلى الله عليه وسلم - مربوعًا بعيد ما بين المنكبين، له شعر يبلغ شحمة أذنيه، رأيته في حلة حمراء لم أر شيئًا قط أحسن منه».​

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশস্ত কাঁধের অধিকারী ছিলেন, তাঁর চুল ছিল কানের লতি পর্যন্ত, আমি তাঁকে লাল চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখেছি, তাঁর চেয়ে সুন্দর কোন কিছু আর কখনও দেখিনি।[2]
আবু ইসহাক আস-সুবাইয়ি বলেন:
«سأل رجل البراء بن عازب: أكان وجه رسول الله - صلى الله عليه وسلم - مثل السيف؟ قال: لا بل مثل القمر».​

এক ব্যক্তি বারা বিন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করেছিল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা কি তলোয়ারের ন্যায় ছিল? তিনি উত্তর দিলেন, না, বরং চাঁদের ন্যায় ছিল।[3]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«ما مسست بيدي ديباجًا ولا حريرًا، ولا شيئًا ألين من كف رسول الله - صلى الله عليه وسلم -، ولا شممت رائحة أطيب من ريح رسول الله - صلى الله عليه وسلم - ».​

আমি রেশম কাপড় ও অন্যান্য জিনিস ধরে দেখেছি, কিন্তু কোন জিনিস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত থেকে মোলায়েম বা নরম ছিল না, এবং রাসূলের শরীরের ঘ্রাণের চেয়ে উত্তম কোন ঘ্রাণ আমি কখনো পাইনি।[4]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম গুণাবলীর মধ্যে একটি হল লজ্জা। এমনকি এ সম্পর্কে আবু সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:

كان - صلى الله عليه وسلم - أشد حياء من العذراء في خدرها، فإذا رأى شيئًا يكرهه عرفناه في وجهه».​

অন্ত:পুরে পর্দায় থাকা বালিকার চেয়েও তিনি বেশী লজ্জা করতেন। তবে তিনি যদি কোন কিছু অপছন্দ করতেন তা আমরা তার মুখমণ্ডল থেকেই বুঝতে পারতাম।[5]

এ হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় দৈহিক ও চারিত্রিক গুণাবলীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দৈহিক ও চারিত্রিক উভয় প্রকারের আদর্শকে পরিপূর্ণ করেছিলেন।


[1] বুখারী, হাদিস: ৩৫৪৯, মুসলিম, হাদিস: ২৩৩৭
[2] বুখারী, হাদিস: ৩৫৫১, মুসলিম হাদিস: ২৩৩৭
[3] বুখারী, হাদিস: ৩৫৫২
[4] বুখারী, হাদিসি: ৩৫৬১ মুসলিম, হাদিস: ২৩৩০
[5] বুখারী, হাদিস: ৩৫৬২
 

Share this page