‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ফাযায়েলে আমল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠের ফযীলত

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
141
Comments
218
Solutions
1
Reactions
1,408
Credits
1,284
১। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর একবার দরূদ পাঠে আল্লাহর পক্ষ থেকে দশবার রহমত নাযিল হয়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ "‏مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا"‏.‏​

আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত নাযিল করেন।”- [সহীহ মুসলিম- ৪০৮]

২। যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ করেন না তাদের তিনি অভিশাপ দিয়েছেন।

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : «رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ»​

আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হলো, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়লো না।” (অর্থাৎ ﷺ বললো না।)” -[সহীহুল জামে‘- ৩৫১০]

৩। প্রকৃত কৃপণ তারা, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নাম উচ্চারণের পরেও তাঁর ওপর দরূদ পাঠ করে না।

وَعَنْ عَلِيّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : «البَخِيلُ مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ، فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ»​

আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লেখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হলো), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করলো না।” -[সহীহুল জামে‘- ২৮৭৮]

৪। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর সালাম পাঠকারীদের জবাব দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রূহ ফিরিয়ে দেন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ: مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلَّا رَدَّ اللَّهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ​

আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “কেউ আমার ওপর সালাম পেশ করলে আল্লাহ আমার ‘রূহ’ ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের জবাব দেই।” -[হাসান; সহীহুল জামে‘- ৫৬৭৯]

৫। প্রত্যেক দু‘আ অবরুদ্ধ থাকে যতক্ষণ নবী ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ করা না হয়।

أنس بن مالك رضي الله عنه عن النبي ﷺ قال: «كُلُّ دُعَاءٍ مَحْجُوبٌ، حَتَّى يُصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ ﷺ»​

আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “প্রত্যেক দু‘আ অবরুদ্ধ থাকে যতক্ষণ নবী ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ করা না হয়।” -[হাসান লি শাওয়াহিদিহি; সিলসিলাহ সহীহাহ- ২০৩৫]

৬। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ করলে তা ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁর কবরে প্রেরণ করা হয়।

وعن أبي بكر الصديق أن النبي ﷺ قال : (أكثروا الصلاة علي، فإن الله وكل بي ملكا عند قبري، فإذا صل علي رجل من أمتي قال لي ذلك الملك : يا محمد إن فلان بن فلان صلى عليك الساعة)​

আবূ বকর সিদ্দীক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন, “তোমরা আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করো, কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমার কবরের নিকট একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন, কেউ যদি আমার ওপর দরূদ পাঠ করে তখন ফেরেশতা বলে, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনার ওপর অমুকের পুত্র অমুক এই সময়ে দরূদ পাঠ করেছে।” -[হাসান; সহীহুল জামে‘- ১২০৭]

৭। জুমু‘আর দিনে ও রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ করার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়েছে।

أكثروا الصَّلاةَ عَلَيَّ يوم الجمعة وليلة الجمعة، فمن صلى علي صلاة صلى الله عليه عشراً​

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তোমরা জুমু‘আর দিনে ও রাতে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করো; কেউ আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করলে তার ওপর দশটি রহমত নাযিল হয়।” -[হাসান; সহীহুল জামে‘- ১২০৯]

৮। ক্বিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সবচেয়ে নিকটবর্তী হবেন যিনি তাঁর ওপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করেছেন।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ ‏"‏أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَىَّ صَلاَةً"‏.‏​

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমার নিকটতম ব্যক্তি হবে যে আমার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ করেছে।” -[হাসান লিগাইরিহি; সহীহুত তারগীব- ১৬৬৮]

৯। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে কেউ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করলে তা তাঁর কাছে পৌঁছানো হয়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ : لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ​

আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করো না এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করো না, তোমরা আমার ওপর দরূদ পাঠ করো; তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছানো হবে।” -[সহীহুল জামে‘- ৩১৬৪]

১০। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠ না করা জান্নাতের পথ হারানোর মতো একটি কাজ।

من ذكرت عندَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ؛ فَقَدْ خطئ طريق الجنة.​

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাকে স্মরণ হওয়ার পরেও আমার ওপর দরূদ পাঠ করলো না, সে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেললো।” -[সহীহুত তারগীব- ১৬৮১]

১১। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরূদ পাঠে রহমত বর্ষণ, গুনাহ মাফ ও জান্নাতে মর্যাদা সমুন্নত করা হয়।

عن أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ :‏‏‏‏ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ​

আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে দশটি সম্মানে উন্নীত করা হবে।” -[সহীহুত তারগীব- ১৬৫৭]



সম্পাদনা:
শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ
২০ যুলহিজ্জাহ ১৪৪৫ হিজরী
২৭ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ​
 
Last edited by a moderator:

Share this page