কুরআন ও সহীহ হাদীস পর্যালোচনা করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনেকগুলো নামের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে এগুলোর নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। কোন হাদীসে পাঁচটি নামের কথা উল্লেখ থাকলেও অন্য বর্ণনায় পাঁচের অধিক নামের সন্ধান পাওয়া যায়।
ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) আবূ বকর ইবনুল ‘আরাবী আল-মালিকী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর বরাত দিয়ে বলেন,
‘আল্লাহ তা‘আলার যেমন এক হাযার নাম রয়েছে, তেমনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এরও এক হাযার নাম রয়েছে।
ইবনুল আরাবী অন্ততঃ ৬৩টি নাম বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন’ (শারহু সহীহ মুসলিম, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ১০৪)।
ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুহাদ্দিছ ইবনু দিহইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম সমূহ সম্পর্কে রচিত তাঁর কিতাবে বলেছেন, কেউ কেউ মনে করেন যে,
‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নামও আল্লাহ তা‘আলার আসমায়ে হুসনার ন্যায় ৯৯টি। তবে এ বিষয়ে কেউ গবেষণা করলে তা তিনশ’ পর্যন্ত পোঁছবে’ (ফাৎহুল বারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৫৫৮)। কিন্তু উক্ত সংখ্যা কোন সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় না।
হাদীসে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাহল- (ক) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
‘আমার পাঁচটি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ ও আহমাদ। আমি আল-মাহী, আমার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কুফরকে নিশ্চিহ্ন করেন। আমি আল-হাশির, ক্বিয়ামতের দিন আমার পশ্চাতে মানব জাতিকে সমবেত করা হবে এবং আমি আল-আক্বিব বা সবশেষে আগমনকারী’ (সহীহ বুখারী, হা/৩৫৩২)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি মুহাম্মাদ, আহমাদ, হাশির, আক্বিব, মাহী এবং খাতম (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৮১৬, সনদ সহীহ)।
আরো বর্ণিত হয়েছে, আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট তাঁর নিজস্ব নামসমূহ বর্ণনা করতেন। তিনি বলেছেন,
‘আমি মুহাম্মাদ, আহমাদ, মুকাফ্ফী, হাশির, আমি তওবার নবী এবং রহমতের নবী’ (সহীহ মুসলিম, হা/২৩৫৫; মিশকাত, হা/৫৭৭৭)। অন্যত্র ‘নবীয়্যুল মালাহিম’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৫৪৩, সনদ সহীহ)।
ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) আবূ বকর ইবনুল ‘আরাবী আল-মালিকী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর বরাত দিয়ে বলেন,
أَنَّ لِلهِ تَعَالَى أَلْفَ اسْمٍ وَلِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلْفَ اسْمٍ أَيْضًا ثُمَّ ذَكَرَ مِنْهَا عَلَى التَّفْصِيْلِ بِضْعًا وَسِتِّيْنَ
‘আল্লাহ তা‘আলার যেমন এক হাযার নাম রয়েছে, তেমনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এরও এক হাযার নাম রয়েছে।
ইবনুল আরাবী অন্ততঃ ৬৩টি নাম বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন’ (শারহু সহীহ মুসলিম, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ১০৪)।
ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুহাদ্দিছ ইবনু দিহইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম সমূহ সম্পর্কে রচিত তাঁর কিতাবে বলেছেন, কেউ কেউ মনে করেন যে,
أَسْمَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَدَدُ أَسْمَاءِ اللَّهِ الْحُسْنَى تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ اسْمًا قَالَ وَلَوْ بَحَثَ عَنْهَا بَاحِثٌ لَبَلَغَتْ ثَلَاثَمِائَةِ اسْمٍ
‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নামও আল্লাহ তা‘আলার আসমায়ে হুসনার ন্যায় ৯৯টি। তবে এ বিষয়ে কেউ গবেষণা করলে তা তিনশ’ পর্যন্ত পোঁছবে’ (ফাৎহুল বারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৫৫৮)। কিন্তু উক্ত সংখ্যা কোন সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় না।
হাদীসে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাহল- (ক) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
لِى خَمْسَةُ أَسْمَاءٍ أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِى الَّذِى يَمْحُو اللَّهُ بِى الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِى يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمِى وَأَنَا الْعَاقِبُ
‘আমার পাঁচটি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ ও আহমাদ। আমি আল-মাহী, আমার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কুফরকে নিশ্চিহ্ন করেন। আমি আল-হাশির, ক্বিয়ামতের দিন আমার পশ্চাতে মানব জাতিকে সমবেত করা হবে এবং আমি আল-আক্বিব বা সবশেষে আগমনকারী’ (সহীহ বুখারী, হা/৩৫৩২)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি মুহাম্মাদ, আহমাদ, হাশির, আক্বিব, মাহী এবং খাতম (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৮১৬, সনদ সহীহ)।
আরো বর্ণিত হয়েছে, আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট তাঁর নিজস্ব নামসমূহ বর্ণনা করতেন। তিনি বলেছেন,
أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَحْمَدُ وَالْمُقَفِّي وَالْحَاشِرُ وَنَبِيُّ التَّوْبَةِ وَنَبِيُّ الرَّحْمَةِ
‘আমি মুহাম্মাদ, আহমাদ, মুকাফ্ফী, হাশির, আমি তওবার নবী এবং রহমতের নবী’ (সহীহ মুসলিম, হা/২৩৫৫; মিশকাত, হা/৫৭৭৭)। অন্যত্র ‘নবীয়্যুল মালাহিম’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৫৪৩, সনদ সহীহ)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: