Well-known member
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, হারিস ইবন হিশাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার প্রতি অহী কীভাবে আসে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোনো সময় তা ঘণ্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট অহী আসে, আর এটিই আমার উপর সবচাইতে কষ্টদায়ক হয় এবং তা সমাপ্ত হতেই ফিরিশতা যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই। আবার কখনো ফিরিশতা মানুষের আকৃতিতে আমার সঙ্গে কথা বলে। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে ফেলি। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমি প্রচণ্ড শীতের দিনে অহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। অহী শেষ হলেই তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়ত।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, ইমাম মালিক ‘কুরআন’ (হাদীস নং ৭) এ বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৩৩।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী «فَيَفْصِمُ» ইয়া অক্ষরে ফাতহা, ফা অক্ষরে সুকুন ও এবং সোয়াদ অক্ষরে কাসরা যোগে এর অর্থ হলো, শেষ হওয়া, কোনোকিছু আবৃত করে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া।
সাফওয়ান ইবন ইয়া‘লা ইবন উমাইয়্যাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জি‘রানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসলো, তার পরিধানে জুব্বা ছিল এবং তাতে খোশবু লাগানো ছিল। অথবা (বর্ণনাকারী বলেছেন) তাঁর উপর কিছুটা হলুদ বর্ণের দাগ ছিলো। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে উমরাহ করার সময় কি কি কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন? বর্ণনাকারী বলেন, এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অহী নাযিল হচ্ছিলো এবং তিনি একখানা কাপড় দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নিলেন। ইয়া‘লা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন, অহী অবতীর্ণ হওয়া অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখার আমার শখ ছিলো। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, অহী অবতীর্ণ হওয়া অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখে তুমি কি আনন্দিত হতে চাও? অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কাপড়ের এক খোঁট তুলে ধরলেন এবং আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন এবং নাক ডাকছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় এটা ছিল উঠতি বয়সের উটের নাসিকা ধ্বনির অনুরূপ। অতঃপর অহী নাযিল সমাপ্ত হলে তিনি বললেন, “উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? (লোকটি সাড়া দিলে তিনি বললেন) হলুদ রং ধুয়ে ফেলো। অথবা তিনি বললেন, খোশবু ধুয়ে ফেলো এবং তোমার জুব্বাটিও শরীর থেকে খুলে ফেলো। অতঃপর হজে যা কিছু করে থাক, উমরাহ এ তাই করো”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৯৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৮০।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, "غَطِيطِ" এর অর্থ হলো ঘুমন্ত ব্যক্তির নাক ডাকার শব্দ বা গোঙ্গানো। আর "كَغَطِيطِ الْبَكْرِ" অর্থ হলো, উঠতি বয়সের উটের নাসিকা ধ্বনির অনুরূপ।
উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যখন অহী নাযিল হতো তখন তিনি মাথা নিচু করে ফেলতেন এবং তাঁর সাহাবীরাও মাথা নিচু করতেন। তারপর যখন অহী শেষ হয়ে যেতো, তিনি তাঁর মাথা তুলতেন”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৩৪।
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ الحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ يَأْتِيكَ الوَحْيُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحْيَانًا يَأْتِينِي مِثْلَ صَلْصَلَةِ الجَرَسِ، وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ، فَيُفْصَمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ عَنْهُ مَا قَالَ، وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِيَ المَلَكُ رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ» قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الوَحْيُ فِي اليَوْمِ الشَّدِيدِ البَرْدِ، فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا.
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, ইমাম মালিক ‘কুরআন’ (হাদীস নং ৭) এ বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৩৩।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী «فَيَفْصِمُ» ইয়া অক্ষরে ফাতহা, ফা অক্ষরে সুকুন ও এবং সোয়াদ অক্ষরে কাসরা যোগে এর অর্থ হলো, শেষ হওয়া, কোনোকিছু আবৃত করে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া।
عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْجِعْرَانَةِ، عَلَيْهِ جُبَّةٌ وَعَلَيْهَا خَلُوقٌ - أَوْ قَالَ أَثَرُ صُفْرَةٍ - فَقَالَ: كَيْفَ تَأْمُرُنِي أَنْ أَصْنَعَ فِي عُمْرَتِي؟ قَالَ: وَأُنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَحْيُ، فَسُتِرَ بِثَوْبٍ، وَكَانَ يَعْلَى يَقُولُ: وَدِدْتُ أَنِّي أَرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ، قَالَ فَقَالَ: أَيَسُرُّكَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ؟ قَالَ: فَرَفَعَ عُمَرُ طَرَفَ الثَّوْبِ، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ لَهُ غَطِيطٌ، - قَالَ وَأَحْسَبُهُ قَالَ - كَغَطِيطِ الْبَكْرِ، قَالَ فَلَمَّا سُرِّيَ عَنْهُ قَالَ: «أَيْنَ السَّائِلُ عَنِ الْعُمْرَةِ؟ اغْسِلْ عَنْكَ أَثَرَ الصُّفْرَةِ - أَوْ قَالَ أَثَرَ الْخَلُوقِ - وَاخْلَعْ عَنْكَ جُبَّتَكَ، وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ مَا أَنْتَ صَانِعٌ فِي حَجِّكَ».
সাফওয়ান ইবন ইয়া‘লা ইবন উমাইয়্যাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জি‘রানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসলো, তার পরিধানে জুব্বা ছিল এবং তাতে খোশবু লাগানো ছিল। অথবা (বর্ণনাকারী বলেছেন) তাঁর উপর কিছুটা হলুদ বর্ণের দাগ ছিলো। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে উমরাহ করার সময় কি কি কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন? বর্ণনাকারী বলেন, এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অহী নাযিল হচ্ছিলো এবং তিনি একখানা কাপড় দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নিলেন। ইয়া‘লা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন, অহী অবতীর্ণ হওয়া অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখার আমার শখ ছিলো। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, অহী অবতীর্ণ হওয়া অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখে তুমি কি আনন্দিত হতে চাও? অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কাপড়ের এক খোঁট তুলে ধরলেন এবং আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন এবং নাক ডাকছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় এটা ছিল উঠতি বয়সের উটের নাসিকা ধ্বনির অনুরূপ। অতঃপর অহী নাযিল সমাপ্ত হলে তিনি বললেন, “উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? (লোকটি সাড়া দিলে তিনি বললেন) হলুদ রং ধুয়ে ফেলো। অথবা তিনি বললেন, খোশবু ধুয়ে ফেলো এবং তোমার জুব্বাটিও শরীর থেকে খুলে ফেলো। অতঃপর হজে যা কিছু করে থাক, উমরাহ এ তাই করো”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৯৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৮০।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, "غَطِيطِ" এর অর্থ হলো ঘুমন্ত ব্যক্তির নাক ডাকার শব্দ বা গোঙ্গানো। আর "كَغَطِيطِ الْبَكْرِ" অর্থ হলো, উঠতি বয়সের উটের নাসিকা ধ্বনির অনুরূপ।
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ نَكَسَ رَأْسَهُ وَنَكَسَ أَصْحَابُهُ رُءُوسَهُمْ، فَلَمَّا أُتْلِيَ عَنْهُ رَفَعَ رَأْسَهُ».
উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যখন অহী নাযিল হতো তখন তিনি মাথা নিচু করে ফেলতেন এবং তাঁর সাহাবীরাও মাথা নিচু করতেন। তারপর যখন অহী শেষ হয়ে যেতো, তিনি তাঁর মাথা তুলতেন”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৩৪।