মাহে রামাযান আল্লাহর এক অনন্য নে‘মত। বান্দাদের পরকালীন মুক্তি ও জান্নাত লাভের সুযোগ করে দিতে এ মাস আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুদান, অতি বড় ইহসান ও অনুগ্রহ। সহীহ হাদীসে রামাযান ও ছিয়ামের অশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। তারপরেও এ মাসের ফযীলত বর্ণনায় বিভিন্ন যঈফ-জাল বর্ণনা সমাজে প্রচলিত আছে। এগুলি আমলযোগ্য নয়। তদুপরি এক শ্রেণীর আলেম এসব প্রচার করে থাকেন। এ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সাবধান করতে কিছু জাল-যঈফ বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-
‘মদীনায় এক রামাযান ছাওম পালন করা অন্যান্য শহরে হাযার মাসের ছাওমের সমান’। অন্য শব্দে আছে, ‘দুনিয়ার অন্যান্য শহরে হাযার রামাযানের তুলনায় উত্তম’।[1] হাদীসটি মওযূ‘।[2]
‘মাস সমূহের সরদার হচ্ছে রামাযান মাস। আর সবচেয়ে বেশী সম্মানিত হচ্ছে যিলহজ্জ’।[3] হাদীসটি যঈফ।[4]
‘আসমানে বহু ফেরেশতা রয়েছে, যাদের সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। যখন রামাযান মাস আগমন করে, তখন তারা উম্মতে মুহাম্মদীর সাথে (তারাবীতে) অংশগ্রহণ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে’।[5] হাদীসটি যঈফ।[6]
‘রামাযান মাসের প্রথম অংশ রহমত, মধ্যম অংশ মাগফেরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির’।[7] হাদীসটি মুনকার।[8]
৫. صُوْمُوْا تَصِحُّوْا-
‘ছাওম পালন কর, সুস্থ থাক’।[9] হাদীসটি যঈফ।[10]
‘বান্দারা যদি জানত যে, রামাযানে কি রয়েছে, তাহ’লে তারা আশা করত পুরো বছর যেন রামাযান হয়। নিশ্চয়ই জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে অন্য বছরের শুরু পর্যন্ত রামাযানের জন্য সুসজ্জিত করা হয়...’।[11] হাদীসটি দুর্বল।[12]
‘নিশ্চয়ই জান্নাত এক বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রামাযান আগমনের জন্য সজ্জিত ও পরিপাটি করা হয়। তখন জান্নাতী হূররা বলে, হে আল্লাহ! এ মাসে তোমার বান্দাদের থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচন কর’।[13] হাদীসটি মুনকার।[14]
‘নবী করীম (ﷺ) প্রত্যেক ইফতারের সময় বলতেন, হে আল্লাহ! আপনার জন্য ছাওম পালন করছি এবং আপনার রিযকের দ্বারাই ইফতার করছি’।[15] হাদীসটি দুর্বল।[16]
‘এক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, আমি চাঁদ দেখেছি, তিনি বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে বেলাল! মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল ছাওম পালন করে’।[17] হাদীসটি মুরসাল[18] ও যঈফ।[19]
‘ছায়েমের নিদ্রা ইবাদত, তার চুপ থাকা তাসবীহ (পাঠের সমতুল্য), তার দো‘আ ও আমল কবুল হয়’।[20] হাদীসটি যঈফ।[21]
‘যে ব্যক্তি রাযামানে একটি ফরয আদায় করবে, অন্য মাসে তা সত্তরটি ফরয আদায়ের সমান’।[22] হাদীসটি মুনকার।[23]
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘প্রত্যেক বস্ত্তর যাকাত আছে, আর শরীরের যাকাত হচ্ছে ছিয়াম’।[24] হাদীসটি যঈফ।[25]
‘ছায়েমের প্রতিটি লোমকূপ তাসবীহ পাঠ করে। আর ছিয়াম পালনকারী নারী-পুরুষের জন্য ক্বিয়ামত দিবসে আরশের নীচে স্বর্ণের দস্তরখানা বিছানো হবে’।[26] হাদীসটি যঈফ।[27]
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রামাযান মাসের প্রত্যেক দিন ইফতারের সময় ষাট হাযার মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। অতঃপর ঈদুল ফিতরের দিনে ঐ পরিমাণ ক্ষমা করেন যে পরিমাণ তিনি পূর্ণ মাস করেছেন। ত্রিশবারে ষাট হাযার ষাট হাযার’।[28] হাদীসটি যঈফ।[29]
‘রামাযানের প্রথম রাত্রিতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির দিকে তাকান। আর আল্লাহ যখন কোন বান্দার দিকে দৃষ্টি দেন তাকে আর কখনই শাস্তি দেন না। প্রতিদিন হাযার হাযার বা দশ লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর ২৯ তারিখ রাত্রিতে আল্লাহ ঐ পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করে থাকেন সারা মাসে যত লোককে ক্ষমা করে দেন’।[30] হাদীসটি মাওযূ‘।[31]
রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস, যাতে তাদের গোনাহ সমূহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম বান্দা যখন ছিয়াম পালন করে, মিথ্যা বলে না, গীবত করে না এবং তার ইফতার হবে পবিত্র বস্ত্ত দ্বারা, সে তার গোনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে যায়, যেভাবে সাপ তার গর্ত থেকে বের হয়ে যায়’।[32] হাদীসটি অত্যন্ত যঈফ।[33]
‘যে ব্যক্তি মক্কায় রামাযান মাস পেল, ছিয়াম রাখল এবং যথাসাধ্য (রাতে) ইবাদত করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অন্য স্থানের তুলনায় এক লক্ষ রামাযান মাসের ছওয়াব দান করবেন এবং প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একটি গোলাম এবং প্রতিটি রাতের পরিবর্তে একটি গোলাম আযাদ করার ছওয়াব (তার আমলনামায়) লিখে দিবেন, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য একটি ঘোড়া দানের সমপরিমাণ ছওয়াব, প্রতি দিনের জন্য একটি নেকী এবং প্রতিটি রাতের জন্য একটি নেকী দান করবেন।[34] হাদীসটি মাওযূ’।[35]
‘রজব আল্লাহর মাস ও শা‘বান আমার মাস। আর রামাযান আমার উম্মতের মাস’।[36] হাদীসটি যঈফ।[37]
‘মাস সমূহের মধ্যে উত্তম মাস রজব। আর সেটি আল্লাহর মাস। যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করবে। সে আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন এবং তার জন্য তাঁর মহা সন্তুষ্টি আবশ্যক করে দিবেন। আর শা‘বান আমার মাস। যে ব্যক্তি শা‘বান মাসকে সম্মান করবে। সে আমার নির্দেশকে সম্মান করবে। আর যে ব্যক্তি আমার মাসকে সম্মান করবে। আমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন অগ্রগামী ও আখিরাতের পুঁজি হয়ে যাব। আর রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রামাযান মাসকে সম্মান করবে, তার মর্যাদাকে রক্ষা করবে, এর সম্মান খাটো করবে না, এর দিনে ছিয়াম পালন ও রাতে ক্বিয়াম করবে এবং এর বিধানকে হেফাযত করবে সে রামাযান মাসকে এমনভাবে অতিক্রম করবে যে, তার কোন গুনাহ থাকবে না, যার কারণে আল্লাহ তাকে তলব করবেন’।[38] হাদীসটি মাওযূ‘।[39]
সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানে কোন ছায়েমকে হালাল উপার্জন থেকে ইফতার করাবে, তার জন্য ফেরেশতাগণ রামাযানের রাত্রিগুলিতে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। ক্বদরের রাত্রিতে জিবরীল (আঃ) তার সাথে মুছাফাহা করবেন। আর জিবরীল যার সাথে মুছাফাহা করবেন, তার অশ্রু অধিক হবে এবং তার অন্তর নরম হবে। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তার কাছে যদি ঐরূপ খাদ্য না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক লোকমা রুটি (খাওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক মুষ্টি খাদ্য (খওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক ঢোক দুধ (পান করাবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে পানি পান করাবে’।[40] হাদীসটি যঈফ।[41]
এতদ্ব্যতীত আরো বহু জাল-যঈফ বর্ণনা সমাজে প্রচলিত আছে। মানুষকে দ্বীনের দিকে ফিরিয়ে আনার মানসে এ ধরনের বর্ণনা প্রচার করার প্রয়োজন নেই। কেননা এসব প্রকৃতপক্ষে রাসূলের উপরে মিথ্যাচার। এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। মানুষকে হকের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সহীহ হাদীস বর্ণনার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। জাল-যঈফ বর্ণনা প্রচার করে নিজে গোনাহগার হওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার জাল-যঈফ ও বানোয়াট বর্ণনা পরিহার করে সহীহ হাদীস প্রচার করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
[1]. ত্বাবারাণী, কাবীর; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৮০০; আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ হা/৯৪৭।
[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৬৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২২।
[3]. বাযযার, দায়লামী; কাশফুল খাফা, হা/১৫০৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৭৭৫।
[4]. যঈফাহ হা/৩৭২৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২১।
[5]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৩৩৭; সুয়ূতী, দুররুল মানছূর ৮/৫৮২; কানযুল উম্মাল ৮/৪১০।
[6]. যঈফাহ হা/৪১৪২।
[7]. উকায়লী, কিতাবুয যু‘আফা ২/১৬২; ইবনু আদী, আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ১/১৬৫; ইবনু আবী হাতেম, কিতাবু ইলালিল হাদীস ১/২৪৯।
[8]. যঈফাহ ২/২৬২, ৪/৭০।
[9]. আল-ইরাকী, তাখরীজুল ইহইয়া ৩/৭৫; আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ২/৩৫৭; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ফিল আহাদিছিল মাওযূ‘আহ ১/২৫৯; আস-সাখাবী, মাকাছীদুল হাসানাহ ১/৫৪৯; আজুলুনি, কাশফুল খাফা ২/৫৩৯।
[10]. যঈফাহ ১/৪২০, হা/২৫৩।
[11]. হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪১।
[12]. ইবনুল জাওযী, আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৮; তানযীহুশ শরী‘আহ ২/১৫৩; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/২৫৪।
[13]. ত্বাবারাণী, আল-আওসাত্ব হা/৩৬৮৮; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/৩৪।
[14]. যঈফাহ হা/১৩২৫।
[15]. আবু দাউদ হা/২৩৫৮; মিশকাত হা/১৯৯৪।
[16]. ইবনুল মুলাক্কিন, খুলাছাতুল বাদরুল মুনীর ১/৩২৭, হা/১১২৬; হাফেয ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ২/২০২, হা/৯১১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৫৬; যঈফুল জামে‘ হা/৪৩৪৯।
[17]. আবূ দাউদ হা/২৩৪০; তিরমিযী হা/৬৯১; নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৩-৩৬; ইবনু মাজাহ হা/১৬৫২।
[18]. নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৫-৩৬।
[19]. ইরওয়াউল গালীল হা/৯০৭।
[20]. মুসনাদ ইবনে আবী আওফা ২/১২০; দায়লামী ৪/৯৩।
[21]. যঈফাহ হা/৪৬৯৬; যঈফুল জামে‘ হা/৫৯৭২।
[22]. ইবনু খুযায়মা হা/১৮৮৭; মিশকাত হা/১৯৬৫।
[23]. যঈফাহ হা/৮৭১; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।
[24]. ইবনু মাজাহ হা/১৭৪৫; মিশকাত হা/২০৭২।
[25]. যঈফাহ হা/১৩২৯।
[26]. ত্বাবারাণী, কাবীর; তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/৭০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৫০৮৮।
[27]. যঈফাহ হা/১৩২৯, ৩৮১১; যঈফ আত-তারগীব, হা/৫৭৯।
[28]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, ৩/৩০৪, হা/৩৬০৬।
[29]. যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯৯।
[30]. ইছফাহানী, আত-তারগীব ১/১৮০।
[31]. আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৯-৯০; আল-লালিলমাছনূ‘আহ ২/১০০-১০১; যঈফাহ হা/৫৪৬৮; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯১।
[32]. মুসনাদুল ফিরদাউস পৃঃ ২২৮।
[33]. যঈফাহ হা/৫৪০০।
[34]. ইবনু মাজাহ হা/৩১১৭।
[35]. যঈফাহ হা/৮৩২; যঈফুল জামে’ হা/৫৩৭৫; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৫।
[36]. কাশফুল খাফা হা/১৩৫৮; তানযীহুশ শরী‘আহ হা/৫০।
[37]. যঈফাহ হা/৪৪০০।
[38]. বায়হাক্বী হা/৩৮১৩, ৩/৩৭৪
[39]. যঈফাহ হা/৬১৮৮।
[40]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৯৫৫, ৩/৪১৯।
[41]. যঈফাহ হা/১৩৩৩; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।
১. وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ بِالْمَدِينَةِ كَصِيَامِ أَلْفِ شَهْرٍ فِيمَا سِوَاهُ، وفي لفظ : خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ رَمَضَانَ فِيمَا سِوَاهَا مِنَ الْبُلْدَانِ-
‘মদীনায় এক রামাযান ছাওম পালন করা অন্যান্য শহরে হাযার মাসের ছাওমের সমান’। অন্য শব্দে আছে, ‘দুনিয়ার অন্যান্য শহরে হাযার রামাযানের তুলনায় উত্তম’।[1] হাদীসটি মওযূ‘।[2]
২. سَيِّدُ الشُّهُورِ شَهْرُ رَمَضَانَ وَأَعْظَمُهَا حُرْمَةً ذُو الْحِجَّةِ-
‘মাস সমূহের সরদার হচ্ছে রামাযান মাস। আর সবচেয়ে বেশী সম্মানিত হচ্ছে যিলহজ্জ’।[3] হাদীসটি যঈফ।[4]
৩. إِنَّ فِي السَّمَاءِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَعْلَمُ عَدَدَهُمْ إِلاَّ اللهُ، فَإذَا دَخَلَ رَمَضَانُ اِسْتَأْذَنُوْا رَبَّهُمْ أَنْ يَّحْضُرُوْا مَعَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم-
‘আসমানে বহু ফেরেশতা রয়েছে, যাদের সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। যখন রামাযান মাস আগমন করে, তখন তারা উম্মতে মুহাম্মদীর সাথে (তারাবীতে) অংশগ্রহণ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে’।[5] হাদীসটি যঈফ।[6]
৪. شَهْرُ رَمَضَانَ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِ-
‘রামাযান মাসের প্রথম অংশ রহমত, মধ্যম অংশ মাগফেরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির’।[7] হাদীসটি মুনকার।[8]
৫. صُوْمُوْا تَصِحُّوْا-
‘ছাওম পালন কর, সুস্থ থাক’।[9] হাদীসটি যঈফ।[10]
৬. لَوْ يَعْلَمُ الْعِبَادُ مَا فِي رَمَضَانَ لَتَمَنَّتْ أُمَّتِي أَنْ يَكُونَ رَمَضَانُ سَنَةً كُلَّهَا، إِنَّ الْجَنَّةَ تُزَيَّنُ لِرَمَضَانَ مِنْ رَأْسِ الْحَوْلِ إِلَى الْحَوْلِ،
‘বান্দারা যদি জানত যে, রামাযানে কি রয়েছে, তাহ’লে তারা আশা করত পুরো বছর যেন রামাযান হয়। নিশ্চয়ই জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে অন্য বছরের শুরু পর্যন্ত রামাযানের জন্য সুসজ্জিত করা হয়...’।[11] হাদীসটি দুর্বল।[12]
৭. إِنَّ الْجَنَّةَ لتَزَّخْرَفُ وَتُنَجَّدُ مِنَ الْحَوْلِ إِلَى الْحَوْلِ لِدُخُولِ رَمَضَانَ، فَتَقُوْلُ الْحُوْرُ: يَا رَبِّ اجْعَلْ لَنَا فِي هَذَا الشَّهْرِ مِنْ عِبَادِكَ أَزْوَاجًا،
‘নিশ্চয়ই জান্নাত এক বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রামাযান আগমনের জন্য সজ্জিত ও পরিপাটি করা হয়। তখন জান্নাতী হূররা বলে, হে আল্লাহ! এ মাসে তোমার বান্দাদের থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচন কর’।[13] হাদীসটি মুনকার।[14]
৮. أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ عِنْدَ الإِفْطَارِ اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ-
‘নবী করীম (ﷺ) প্রত্যেক ইফতারের সময় বলতেন, হে আল্লাহ! আপনার জন্য ছাওম পালন করছি এবং আপনার রিযকের দ্বারাই ইফতার করছি’।[15] হাদীসটি দুর্বল।[16]
৯. جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَالَ، قَالَ : أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، قَالَ : نَعَمْ، قَالَ : يَا بِلَالُ أَذِّنْ فِي النَّاسِ أَنْ يَصُومُوا غَدًا.
‘এক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, আমি চাঁদ দেখেছি, তিনি বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে বেলাল! মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল ছাওম পালন করে’।[17] হাদীসটি মুরসাল[18] ও যঈফ।[19]
১০. نَوْمُ الصَّائِمِ عِبَادَةٌ، وَسُكُوتُهُ تَسْبِيحٌ، وَدُعَاؤُهُ مُسْتَجَابٌ، وَعَمَلُهُ مُتَقَبَّلٌ-
‘ছায়েমের নিদ্রা ইবাদত, তার চুপ থাকা তাসবীহ (পাঠের সমতুল্য), তার দো‘আ ও আমল কবুল হয়’।[20] হাদীসটি যঈফ।[21]
- وَمَنْ أَدَّى فِيْهِ فَرِيْضَةً كَانَ كَمَنْ أَدَّى سَبْعِيْنَ فَرِيْضَةً فِيْمَا سِوَاهُ،
‘যে ব্যক্তি রাযামানে একটি ফরয আদায় করবে, অন্য মাসে তা সত্তরটি ফরয আদায়ের সমান’।[22] হাদীসটি মুনকার।[23]
- عنأبي هريرةقال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ شَيْءٍ زَكَاةٌ وَزَكَاةُ الْجَسَدِ الصَّوْمُ-
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘প্রত্যেক বস্ত্তর যাকাত আছে, আর শরীরের যাকাত হচ্ছে ছিয়াম’।[24] হাদীসটি যঈফ।[25]
- يُسَبِّحُ لِلصَّائِمِ كُلُّ شَعْرَةٍ مِنْهُ وَيُوْضَعُ لِلصَّائِمِيْنَ وَالصَّائِمَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تَحْتَ الْعَرْشِ مَائِدَةٌ مِّنْ ذَهَبٍ-
‘ছায়েমের প্রতিটি লোমকূপ তাসবীহ পাঠ করে। আর ছিয়াম পালনকারী নারী-পুরুষের জন্য ক্বিয়ামত দিবসে আরশের নীচে স্বর্ণের দস্তরখানা বিছানো হবে’।[26] হাদীসটি যঈফ।[27]
- وَلِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ كُلَّ لَيْلَةٍ عُتَقَاءَ مِنَ النَّارِ سِتُّوْنَ أَلْفًا، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْفِطْرِ أَعْتَقَ مِثْلَ مَا أَعْتَقَ فِيْ جَمِيْعِ الشَّهْرِ ثَلَاثِيْنَ مَرَّةً سِتِّيْنَ أَلْفًا سِتِّيْنَ أَلْفًا-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রামাযান মাসের প্রত্যেক দিন ইফতারের সময় ষাট হাযার মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। অতঃপর ঈদুল ফিতরের দিনে ঐ পরিমাণ ক্ষমা করেন যে পরিমাণ তিনি পূর্ণ মাস করেছেন। ত্রিশবারে ষাট হাযার ষাট হাযার’।[28] হাদীসটি যঈফ।[29]
- إذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِّنْ شَهْرِ رَمَضَانَ نَظَرَ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ وَإِذَا نَظَرَ اللهُ إِلَى عَبْدٍ لَمْ يُعَذِّبْهُ أَبَدًا وَللهِ فِىْ كُلِّ يَوْمٍ ألْفُ ألفِ عَتَيْقٍ مِّنَ النَّارِ فَإِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ تِسْعٍ وَّعِشْرِيْنَ أَعْتَقَ اللهُ فِيْهَا مِثْلَ جَمِيْعِ مَا أَعْتَقَ فِى الشَّهْرِ كُلِّهِ-
‘রামাযানের প্রথম রাত্রিতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির দিকে তাকান। আর আল্লাহ যখন কোন বান্দার দিকে দৃষ্টি দেন তাকে আর কখনই শাস্তি দেন না। প্রতিদিন হাযার হাযার বা দশ লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর ২৯ তারিখ রাত্রিতে আল্লাহ ঐ পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করে থাকেন সারা মাসে যত লোককে ক্ষমা করে দেন’।[30] হাদীসটি মাওযূ‘।[31]
১৬. شَهْرُ رَمَضَانَ شَهْرُ أُمَّتِيْ تَرْمُضُ فِيْهِ ذُنُوْبُهُمْ، فَإِذَا صَامَهُ عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَلَمْ يَكْذِبْ وَلَمْ يَغْتَبْ وَفِطْرُهُ طِيْبٌ، خَرَجَ مِنْ ذُنُوْبِهِ كَمَا تَخْرُجُ الْحَيَّةُ مِنْ سَلَخِهَا-
রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস, যাতে তাদের গোনাহ সমূহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম বান্দা যখন ছিয়াম পালন করে, মিথ্যা বলে না, গীবত করে না এবং তার ইফতার হবে পবিত্র বস্ত্ত দ্বারা, সে তার গোনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে যায়, যেভাবে সাপ তার গর্ত থেকে বের হয়ে যায়’।[32] হাদীসটি অত্যন্ত যঈফ।[33]
- مَنْ أَدْرَكَ رَمَضَانَ بِمَكَّةَ فَصَامَ وَقَامَ مِنْهُ مَا تَيَسَّرَ لَهُ كَتَبَ اللهُ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ شَهْرِ رَمَضَانَ فِيمَا سِوَاهَا. وَكَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ يَوْمٍ عِتْقَ رَقَبَةٍ وَكُلِّ لَيْلَةٍ عِتْقَ رَقَبَةٍ وَكُلِّ يَوْمٍ حُمْلاَنَ فَرَسٍ فِى سَبِيلِ اللهِ وَفِى كُلِّ يَوْمٍ حَسَنَةً وَفِى كُلِّ لَيْلَةٍ حَسَنَةً-
‘যে ব্যক্তি মক্কায় রামাযান মাস পেল, ছিয়াম রাখল এবং যথাসাধ্য (রাতে) ইবাদত করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অন্য স্থানের তুলনায় এক লক্ষ রামাযান মাসের ছওয়াব দান করবেন এবং প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একটি গোলাম এবং প্রতিটি রাতের পরিবর্তে একটি গোলাম আযাদ করার ছওয়াব (তার আমলনামায়) লিখে দিবেন, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য একটি ঘোড়া দানের সমপরিমাণ ছওয়াব, প্রতি দিনের জন্য একটি নেকী এবং প্রতিটি রাতের জন্য একটি নেকী দান করবেন।[34] হাদীসটি মাওযূ’।[35]
- رَجبُ شَهْرُ اللهِ، وَشَعْبَانُ شَهْرِيْ، وَرَمَضَانُ شَهْرُ أُمَّتِيْ-
‘রজব আল্লাহর মাস ও শা‘বান আমার মাস। আর রামাযান আমার উম্মতের মাস’।[36] হাদীসটি যঈফ।[37]
- خيرة الله من الشهور شهر رجب، وهو شهر الله، مَن عظّم شهر الله رجب عظم أمر الله، ومن عظم أمر الله؛ أدخله جنات النعيم، وأوجب له رضوانه الأكبر. وشعبان شهري، فمن عظم شعبان فقد عظم أمري، ومن عظم أمري كنت له فرطاً وذخراً يوم القيامة، وشهر رمضان شهر أمتي، فمن عظم شهر رمضان وعظم حرمته، ولم ينتهكه، وصام نهاره، وقام ليله، وحفظ جوارحه؛ خرج من رمضان وليس عليه ذنب يطلبه الله به.
‘মাস সমূহের মধ্যে উত্তম মাস রজব। আর সেটি আল্লাহর মাস। যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করবে। সে আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশকে মর্যাদা মন্ডিত করল আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন এবং তার জন্য তাঁর মহা সন্তুষ্টি আবশ্যক করে দিবেন। আর শা‘বান আমার মাস। যে ব্যক্তি শা‘বান মাসকে সম্মান করবে। সে আমার নির্দেশকে সম্মান করবে। আর যে ব্যক্তি আমার মাসকে সম্মান করবে। আমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন অগ্রগামী ও আখিরাতের পুঁজি হয়ে যাব। আর রামাযান মাস আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রামাযান মাসকে সম্মান করবে, তার মর্যাদাকে রক্ষা করবে, এর সম্মান খাটো করবে না, এর দিনে ছিয়াম পালন ও রাতে ক্বিয়াম করবে এবং এর বিধানকে হেফাযত করবে সে রামাযান মাসকে এমনভাবে অতিক্রম করবে যে, তার কোন গুনাহ থাকবে না, যার কারণে আল্লাহ তাকে তলব করবেন’।[38] হাদীসটি মাওযূ‘।[39]
২০. عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا فِي رَمَضَانَ مِنْ كَسْبٍ حَلاَلٍ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ لَيَالِي رَمَضَانَ كُلِّهَا، وَصَافَحَهُ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ، وَمَنْ صَافَحَهُ جِبْرِيلُ تَكْثُرُ دُمُوْعُهُ، وَيَرِقُّ قَلْبُهُ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: فَلُقْمَةُ خُبْزٍ، قَالَ: أَفَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: فَقَبْضَةٌ مِنْ طَعَامٍ، قَالَ: أَفَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: فَمَذْقَةٌ مِنْ لَبَنٍ، قَالَ: أَفَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: فَشَرِبَةٌ مِنْ مَاءٍ.
সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানে কোন ছায়েমকে হালাল উপার্জন থেকে ইফতার করাবে, তার জন্য ফেরেশতাগণ রামাযানের রাত্রিগুলিতে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। ক্বদরের রাত্রিতে জিবরীল (আঃ) তার সাথে মুছাফাহা করবেন। আর জিবরীল যার সাথে মুছাফাহা করবেন, তার অশ্রু অধিক হবে এবং তার অন্তর নরম হবে। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তার কাছে যদি ঐরূপ খাদ্য না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক লোকমা রুটি (খাওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক মুষ্টি খাদ্য (খওয়াবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে এক ঢোক দুধ (পান করাবে)। লোকটি বলল, যদি তাও না থাকে? তিনি বললেন, তাহ’লে পানি পান করাবে’।[40] হাদীসটি যঈফ।[41]
এতদ্ব্যতীত আরো বহু জাল-যঈফ বর্ণনা সমাজে প্রচলিত আছে। মানুষকে দ্বীনের দিকে ফিরিয়ে আনার মানসে এ ধরনের বর্ণনা প্রচার করার প্রয়োজন নেই। কেননা এসব প্রকৃতপক্ষে রাসূলের উপরে মিথ্যাচার। এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। মানুষকে হকের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সহীহ হাদীস বর্ণনার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। জাল-যঈফ বর্ণনা প্রচার করে নিজে গোনাহগার হওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার জাল-যঈফ ও বানোয়াট বর্ণনা পরিহার করে সহীহ হাদীস প্রচার করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!
[1]. ত্বাবারাণী, কাবীর; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৮০০; আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ হা/৯৪৭।
[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৬৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২২।
[3]. বাযযার, দায়লামী; কাশফুল খাফা, হা/১৫০৪; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৪৭৭৫।
[4]. যঈফাহ হা/৩৭২৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২১।
[5]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৩৩৭; সুয়ূতী, দুররুল মানছূর ৮/৫৮২; কানযুল উম্মাল ৮/৪১০।
[6]. যঈফাহ হা/৪১৪২।
[7]. উকায়লী, কিতাবুয যু‘আফা ২/১৬২; ইবনু আদী, আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ১/১৬৫; ইবনু আবী হাতেম, কিতাবু ইলালিল হাদীস ১/২৪৯।
[8]. যঈফাহ ২/২৬২, ৪/৭০।
[9]. আল-ইরাকী, তাখরীজুল ইহইয়া ৩/৭৫; আল-কামেল ফী যু‘আফায়ির রিজাল ২/৩৫৭; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ফিল আহাদিছিল মাওযূ‘আহ ১/২৫৯; আস-সাখাবী, মাকাছীদুল হাসানাহ ১/৫৪৯; আজুলুনি, কাশফুল খাফা ২/৫৩৯।
[10]. যঈফাহ ১/৪২০, হা/২৫৩।
[11]. হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪১।
[12]. ইবনুল জাওযী, আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৮; তানযীহুশ শরী‘আহ ২/১৫৩; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/২৫৪।
[13]. ত্বাবারাণী, আল-আওসাত্ব হা/৩৬৮৮; আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ১/৩৪।
[14]. যঈফাহ হা/১৩২৫।
[15]. আবু দাউদ হা/২৩৫৮; মিশকাত হা/১৯৯৪।
[16]. ইবনুল মুলাক্কিন, খুলাছাতুল বাদরুল মুনীর ১/৩২৭, হা/১১২৬; হাফেয ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ২/২০২, হা/৯১১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৫৬; যঈফুল জামে‘ হা/৪৩৪৯।
[17]. আবূ দাউদ হা/২৩৪০; তিরমিযী হা/৬৯১; নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৩-৩৬; ইবনু মাজাহ হা/১৬৫২।
[18]. নাসাঈ, আল-কুবরা হা/২৪৩৫-৩৬।
[19]. ইরওয়াউল গালীল হা/৯০৭।
[20]. মুসনাদ ইবনে আবী আওফা ২/১২০; দায়লামী ৪/৯৩।
[21]. যঈফাহ হা/৪৬৯৬; যঈফুল জামে‘ হা/৫৯৭২।
[22]. ইবনু খুযায়মা হা/১৮৮৭; মিশকাত হা/১৯৬৫।
[23]. যঈফাহ হা/৮৭১; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।
[24]. ইবনু মাজাহ হা/১৭৪৫; মিশকাত হা/২০৭২।
[25]. যঈফাহ হা/১৩২৯।
[26]. ত্বাবারাণী, কাবীর; তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/৭০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৫০৮৮।
[27]. যঈফাহ হা/১৩২৯, ৩৮১১; যঈফ আত-তারগীব, হা/৫৭৯।
[28]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, ৩/৩০৪, হা/৩৬০৬।
[29]. যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯৯।
[30]. ইছফাহানী, আত-তারগীব ১/১৮০।
[31]. আল-মাওযূ‘আত ২/১৮৯-৯০; আল-লালিলমাছনূ‘আহ ২/১০০-১০১; যঈফাহ হা/৫৪৬৮; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৯১।
[32]. মুসনাদুল ফিরদাউস পৃঃ ২২৮।
[33]. যঈফাহ হা/৫৪০০।
[34]. ইবনু মাজাহ হা/৩১১৭।
[35]. যঈফাহ হা/৮৩২; যঈফুল জামে’ হা/৫৩৭৫; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৫।
[36]. কাশফুল খাফা হা/১৩৫৮; তানযীহুশ শরী‘আহ হা/৫০।
[37]. যঈফাহ হা/৪৪০০।
[38]. বায়হাক্বী হা/৩৮১৩, ৩/৩৭৪
[39]. যঈফাহ হা/৬১৮৮।
[40]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৯৫৫, ৩/৪১৯।
[41]. যঈফাহ হা/১৩৩৩; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯।
সূত্র: আত-তাহরীক।
Last edited: