আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, যে আমার কোনো ওলী/বন্ধুর সাথে শত্রুতা করলো, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। ফরয ইবাদাতের চেয়ে অধিক প্রিয় আর কিছুর মাধ্যমে বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে না। এরপর বান্দা যখন নফল ইবাদাত করতে থাকে, তখন আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি। যখন আমি তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যার দ্বারা সে শোনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই যার দ্বারা সে দেখতে পায়। আমি তার হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে। তখন সে আমার কাছে যা চায় আমি তাকে দান করি। আমার কাছে আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিই। মুমিন বান্দাকে মৃত্যু দেয়ার বিষয়টিই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি দ্বিধাকর । সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তাকে কষ্ট দেয়া অপছন্দ করি।”[1]
হাদিসটির ব্যাখ্যা:
(১) আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানদার বান্দার কান হওয়া, চোখ হওয়া ইত্যাদির অর্থ, তিনি তাকে সাহায্য করার দায়িত্ব নেন, তিনি তার সকল অঙ্গের হিফাযতের ব্যবস্থা করেন, সেগুলোকে সঠিক পথে পরিচালত করেন, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেন, সেগুলোর সাথী হয়ে যান, আর তার জন্য নূর হয়ে যান, ফলে সে উক্ত নূরের আলোকে আল্লাহর সরল সহজ পথে অনায়াসে চলতে পারে।
(২) যখন তার অবস্থা পুরোপুরি আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তখন সে আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিস শুনতে পারে না, কেবল তার আনুগত্যের বিষয়ে সে শুনতে পায়, আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিস শুনতে পারে না, কেবল তার আনুগত্যের বিষয়ে সে শুনতে পায়, আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিসে তার হাত চলে না, কেবল তার আনুগত্যেই তার হাত চলে। আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিসে তার পা চলে না, কেবল তার আনুগত্যের দিকে তার পা চলে।
(৩) যখন আল্লাহ তা'আলা কোন বান্দাকে ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, তখন বান্দা কোন কিছু চাইলে তিনি তাকে তা প্রদান করেন। সাহায্য চালে সাহায্য করেন, আশ্রয় চাইলে আশ্রয় প্রদান করেন। তবে কখনো কখনো সেটাতে দেরি করেন, যাতে করে বান্দা। তার দিকে বেশি ধর্ণা দেয়, যাতে তাকে বেশি সাওয়াব দিতে পারেন, যাতে তাকে একটু পরীক্ষা করে খাটি করে নিতে পারেন।
[1] সহীহ বুখারী, হা. ৬৫০২ (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)
- ব্যাখ্যাকার: শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
সূত্র: 'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈনন্দিন সুন্নাত ও যিকির' বই, কাশফুল প্রকাশনী
“আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, যে আমার কোনো ওলী/বন্ধুর সাথে শত্রুতা করলো, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। ফরয ইবাদাতের চেয়ে অধিক প্রিয় আর কিছুর মাধ্যমে বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে না। এরপর বান্দা যখন নফল ইবাদাত করতে থাকে, তখন আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি। যখন আমি তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যার দ্বারা সে শোনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই যার দ্বারা সে দেখতে পায়। আমি তার হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে। তখন সে আমার কাছে যা চায় আমি তাকে দান করি। আমার কাছে আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিই। মুমিন বান্দাকে মৃত্যু দেয়ার বিষয়টিই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি দ্বিধাকর । সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তাকে কষ্ট দেয়া অপছন্দ করি।”[1]
হাদিসটির ব্যাখ্যা:
(১) আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানদার বান্দার কান হওয়া, চোখ হওয়া ইত্যাদির অর্থ, তিনি তাকে সাহায্য করার দায়িত্ব নেন, তিনি তার সকল অঙ্গের হিফাযতের ব্যবস্থা করেন, সেগুলোকে সঠিক পথে পরিচালত করেন, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেন, সেগুলোর সাথী হয়ে যান, আর তার জন্য নূর হয়ে যান, ফলে সে উক্ত নূরের আলোকে আল্লাহর সরল সহজ পথে অনায়াসে চলতে পারে।
(২) যখন তার অবস্থা পুরোপুরি আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তখন সে আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিস শুনতে পারে না, কেবল তার আনুগত্যের বিষয়ে সে শুনতে পায়, আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিস শুনতে পারে না, কেবল তার আনুগত্যের বিষয়ে সে শুনতে পায়, আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিসে তার হাত চলে না, কেবল তার আনুগত্যেই তার হাত চলে। আল্লাহর অবাধ্যতার জিনিসে তার পা চলে না, কেবল তার আনুগত্যের দিকে তার পা চলে।
(৩) যখন আল্লাহ তা'আলা কোন বান্দাকে ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, তখন বান্দা কোন কিছু চাইলে তিনি তাকে তা প্রদান করেন। সাহায্য চালে সাহায্য করেন, আশ্রয় চাইলে আশ্রয় প্রদান করেন। তবে কখনো কখনো সেটাতে দেরি করেন, যাতে করে বান্দা। তার দিকে বেশি ধর্ণা দেয়, যাতে তাকে বেশি সাওয়াব দিতে পারেন, যাতে তাকে একটু পরীক্ষা করে খাটি করে নিতে পারেন।
[1] সহীহ বুখারী, হা. ৬৫০২ (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)
- ব্যাখ্যাকার: শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
সূত্র: 'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈনন্দিন সুন্নাত ও যিকির' বই, কাশফুল প্রকাশনী
Last edited: