‘যুহ্দ’ শব্দের অর্থ দুনিয়াবিমুখতা। পার্থিব জীবনকে পরিপূর্ণ বর্জনের নাম যুহ্দ বা দুনিয়াবিমুখতা নয়। বরং আল্লাহ থেকে বিমুখ করে এমন সকল পার্থিব কার্যক্রম পরিহার করাকে যুহ্দ বা দুনিয়াবিমুখতা বলে (লিসানুল আরর, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৯৬)।
তবে আল্লাহর আনুগত্যে সহায়ক ও তার অধিকার আদায়ের জন্য কৃত পার্থিব কার্যক্রমগুলো পরিহার করাকে দুনিয়াবিমুখতা বলে না। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়াবিমুখতার ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা অগ্রগামী ছিলেন।
সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফাতাওয়া বোর্ড ‘ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ’-কে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, ‘যুহ্দ মানে এই নয় যে- তালি দেয়া কাপড় পরা, মানুষকে এড়িয়ে চলা, সমাজ থেকে দূরে থাকা, প্রতিদিন সিয়াম রাখা। কারণ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহুদ অবলম্বনকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। কিন্তু তিনি নতুন কাপড় পরতেন। কোন প্রতিনিধি দল আসলে সেজন্য পরিপাটি হতেন। জুমু‘আর দিন ও ঈদের দিনে নিজেকে পরিপাটি করতেন। মানুষের সাথে মিশতেন। মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করতেন, দ্বীনী বিষয়াদি শিক্ষা দিতেন। তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে প্রতিদিন সিয়াম রাখা থেকে বারণ করতেন। বরং যুহুদ মানে হচ্ছে- হারাম থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহ যা অপসন্দ করেন সেটা থেকেও বেঁচে থাকা। বিলাসিতা প্রকাশ ও অতিমাত্রায় দুনিয়া উপভোগ থেকে দূরে থাকা। পরকালের জন্য উত্তম সম্বল গ্রহণ করা। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনীতে যুহদের সবচেয়ে উত্তম ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ২৪তম খণ্ড, পৃ. ৩৬৯)।
তাই সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও লোক দেখানোর জন্য ছিঁড়া ফাটা তালি লাগানো, পুরাতন, অপরিষ্কার কাপড় পড়া এবং জীর্ণশীর্ণ হয়ে ভান ধরে জীবন যাপন করা যুহ্দ নয়, বরং একপ্রকার ভণ্ডামী এবং মূর্খদের অন্ধভক্তি পাওয়ার নগ্ন লালসা ও প্রতারণা। কারণ এগুলো আল্লাহ পসন্দ করেন না। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করে আল্লাহ প্রদত্ত নে‘মত কাজে লাগানোকেই আল্লাহ পসন্দ করেন (সহীহ মুসলিম, হা/৯১; মিশকাত, হা/৫১০৮)।
তবে আল্লাহর আনুগত্যে সহায়ক ও তার অধিকার আদায়ের জন্য কৃত পার্থিব কার্যক্রমগুলো পরিহার করাকে দুনিয়াবিমুখতা বলে না। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়াবিমুখতার ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা অগ্রগামী ছিলেন।
সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফাতাওয়া বোর্ড ‘ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ’-কে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, ‘যুহ্দ মানে এই নয় যে- তালি দেয়া কাপড় পরা, মানুষকে এড়িয়ে চলা, সমাজ থেকে দূরে থাকা, প্রতিদিন সিয়াম রাখা। কারণ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহুদ অবলম্বনকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। কিন্তু তিনি নতুন কাপড় পরতেন। কোন প্রতিনিধি দল আসলে সেজন্য পরিপাটি হতেন। জুমু‘আর দিন ও ঈদের দিনে নিজেকে পরিপাটি করতেন। মানুষের সাথে মিশতেন। মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করতেন, দ্বীনী বিষয়াদি শিক্ষা দিতেন। তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে প্রতিদিন সিয়াম রাখা থেকে বারণ করতেন। বরং যুহুদ মানে হচ্ছে- হারাম থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহ যা অপসন্দ করেন সেটা থেকেও বেঁচে থাকা। বিলাসিতা প্রকাশ ও অতিমাত্রায় দুনিয়া উপভোগ থেকে দূরে থাকা। পরকালের জন্য উত্তম সম্বল গ্রহণ করা। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনীতে যুহদের সবচেয়ে উত্তম ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ২৪তম খণ্ড, পৃ. ৩৬৯)।
তাই সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও লোক দেখানোর জন্য ছিঁড়া ফাটা তালি লাগানো, পুরাতন, অপরিষ্কার কাপড় পড়া এবং জীর্ণশীর্ণ হয়ে ভান ধরে জীবন যাপন করা যুহ্দ নয়, বরং একপ্রকার ভণ্ডামী এবং মূর্খদের অন্ধভক্তি পাওয়ার নগ্ন লালসা ও প্রতারণা। কারণ এগুলো আল্লাহ পসন্দ করেন না। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করে আল্লাহ প্রদত্ত নে‘মত কাজে লাগানোকেই আল্লাহ পসন্দ করেন (সহীহ মুসলিম, হা/৯১; মিশকাত, হা/৫১০৮)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: