আবু যার আল-গিফারি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
মুহাদ্দিসদের ঐকমত্যে হাদীসটির সনদ দয়ীফ জিদ্দান। কিন্তু এ হাদীসের রাবি আবু ইদরীস আল-খাওলানি (রাহি.) বলেছেন, ‘হাদীসের ভান্ডারে এ হাদীসটি যেন স্বর্ণ খনির খাঁটি সোনা।’
কারণ হাদীসটির ভাষ্য প্রকৃত অর্থেই যুহদের সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছে। হয়তো ইমাম ইবনু মাজাহ তাঁর ‘সুনান’ গ্রন্থের ‘কিতাবুয যুহদ’ এ হাদীস দ্বারাই শুরু করেছেন। ওয়াল্লাহু আ’লাম।
[1] সুনানুত তিরমিযি, হা.২৩৪০; সুনান ইবন মাজাহ, হা.৪১০০; আহমাদ, আয-যুহদ, (মাকতু সূত্রে), হা.৯৬; ইবনু তাইমিয়াহ, আয-যুহদ ওয়াল ওয়ারঊ ওয়াল ইবাদাহ, ১:৭৩; জামিঊল উলুম ওয়াল হিকাম ২:১৭৯
[2] সুনান ইবন মাজাহ, হা.৪১০৫; ইবনু আবি আসিম, আয-যুহদ, হা.১৬৩; মিসবাহুয যুজাজাহ, হা.৩৫৪১; ইমাম বূসীরি হাদীসটির সনদ সহীহ বলেছেন।
الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِتَحْرِيمِ الْحَلاَلِ وَلاَ إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنَّ الزَّهَادَةَ فِي الدُّنْيَا أَنْ لاَ تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ مِمَّا فِي يَدَىِ اللَّهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أَنْتَ أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ
“হালাল বস্তুকে হারাম করে নেওয়া এবং ধনসম্পদ দূরে সরিয়ে দেওয়ার নাম দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি (যুহদ) নয়। বরং দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি হলো, আল্লাহর নিকট যা আছে তার চেয়ে তোমার নিকট যা আছে তার উপর অধিক নির্ভরশীল না হওয়া এবং তুমি কোনো বিপদে পড়লে তার বিনিময়ে সওয়াবের আশার তুলনায় ‘বিপদে না পড়া’ তোমার নিকট অধিকতর কাঙ্ক্ষিত না হওয়া।”[1]মুহাদ্দিসদের ঐকমত্যে হাদীসটির সনদ দয়ীফ জিদ্দান। কিন্তু এ হাদীসের রাবি আবু ইদরীস আল-খাওলানি (রাহি.) বলেছেন, ‘হাদীসের ভান্ডারে এ হাদীসটি যেন স্বর্ণ খনির খাঁটি সোনা।’
কারণ হাদীসটির ভাষ্য প্রকৃত অর্থেই যুহদের সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছে। হয়তো ইমাম ইবনু মাজাহ তাঁর ‘সুনান’ গ্রন্থের ‘কিতাবুয যুহদ’ এ হাদীস দ্বারাই শুরু করেছেন। ওয়াল্লাহু আ’লাম।
- যায়িদ বিন সাবিত (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি,
مَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَمْرَهُ وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ مَا كُتِبَ لَهُ وَمَنْ كَانَتِ الآخِرَةُ نِيَّتَهُ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَهُ وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ
“পার্থিব চিন্তা যাকে মোহগ্রস্ত করবে, আল্লাহ তার কাজকর্মে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, দারিদ্র্য তার নিত্যসঙ্গী হবে এবং পার্থিব স্বার্থ ততটুকুই লাভ করতে পারবে, যতটুকু তার তাকদীরে লিপিবদ্ধ আছে। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখিরাতের, আল্লাহ তার সবকিছু সুষ্ঠু করে দিবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করবেন এবং দুনিয়া স্বয়ং তার সামনে এসে হাজির হবে।”[2][1] সুনানুত তিরমিযি, হা.২৩৪০; সুনান ইবন মাজাহ, হা.৪১০০; আহমাদ, আয-যুহদ, (মাকতু সূত্রে), হা.৯৬; ইবনু তাইমিয়াহ, আয-যুহদ ওয়াল ওয়ারঊ ওয়াল ইবাদাহ, ১:৭৩; জামিঊল উলুম ওয়াল হিকাম ২:১৭৯
[2] সুনান ইবন মাজাহ, হা.৪১০৫; ইবনু আবি আসিম, আয-যুহদ, হা.১৬৩; মিসবাহুয যুজাজাহ, হা.৩৫৪১; ইমাম বূসীরি হাদীসটির সনদ সহীহ বলেছেন।