If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ভাইয়েরা আমার! কুরআন বর্জন যুবসমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি অধঃপতনের সবচেয়ে মারাত্মক কারণ। কেননা কুরআন বর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথ। আফসোস! আমাদের যুবসমাজের অধিকাংশ এমনকি অধিকাংশ মুসলিম আজ অল্প-স্বল্প ব্যতীত কুরআন পড়ে না। যারা একটু-আধটু পড়ে তারাও ভেবে-চিন্তে পড়ে না এবং তার নির্দেশিত পথ মেনে চলার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে না। ভাইয়েরা, কুরআন বর্জনের কতিপয় ধরন রয়েছে, যেমনটা আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন -
১ নিজে কুরআন তেলাওয়াত বর্জন করা এবং কেউ কুরআন তেলাওয়াত করলে মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ না করা।
২ কুরআন পড়লেও এবং তার উপর ঈমান রাখার দাবী করলেও কুরআন অনুযায়ী আমল না করা এবং কুরআনে ঘোষিত হালাল ও হারাম মেনে না চলা।
৩ দ্বীনের মৌলিক ও শাখা-প্রশাখাগত বিষয়ের মীমাংসায় কুরআনের কাছে বিচার প্রার্থনা পরিহার করা।
৪ কুরআন অনুধাবন এবং কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা না করা। কুরআনের মালিক আল্লাহ তা'আলা কুরআন থেকে কি ইচ্ছা পোষণ করেছেন তা জানার চেষ্টা না করা।
৫ আত্মার সকল রোগ-ব্যাধির চিকিৎসায় কুরআনকে মোটেও কাজে না লাগানো এবং আল্লাহ্র দেওয়া আত্মিক চিকিৎসা বাদ দিয়ে অন্যদের চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়া।
এগুলোর সবই রাসূল (ﷺ) কর্তৃক তাঁর প্রভুর সমীপে কৃত অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, 'সেদিন রাসূল বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমার উম্মত এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছিল' (ফুরক্বান ২৫/৩০)
বড় কষ্ট লাগে, বড় দুঃখ লাগে যখন দেখি, কুরআনকে বাদ দিয়ে মুসলিমরা আজ কুরআন বিরোধী আধুনিক নানা বিষয় নিয়ে মেতে আছে। হ'তে পারে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে তাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধার ফলে এমন হয়েছে, অথবা কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় তারা কুরআন বিরোধী বিষয় বেছে নিয়েছে। তারা আজ গান শোনে, গানের আড্ডায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে, কুরআনের মোকাবেলায় মানব রচিত বই- পুস্তককে প্রাধান্য দেয়, মানুষের বক্তৃতা-ভাষণ শোনে, মানুষের রচিত কবিতা আবৃত্তি করে, মানুষের সুর দেওয়া গান গায়, কিন্তু কুরআন পড়া ও শোনার কথা তারা মোটেও মনে করে না। কুরআনের সঙ্গে যারা এমন আচরণ করবে স্বাভাবিকভাবেই কুরআনের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হবে, তাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট বাড়বে, বিপদাপদও বড় হয়ে দেখা দিবে।
১ নিজে কুরআন তেলাওয়াত বর্জন করা এবং কেউ কুরআন তেলাওয়াত করলে মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ না করা।
২ কুরআন পড়লেও এবং তার উপর ঈমান রাখার দাবী করলেও কুরআন অনুযায়ী আমল না করা এবং কুরআনে ঘোষিত হালাল ও হারাম মেনে না চলা।
৩ দ্বীনের মৌলিক ও শাখা-প্রশাখাগত বিষয়ের মীমাংসায় কুরআনের কাছে বিচার প্রার্থনা পরিহার করা।
৪ কুরআন অনুধাবন এবং কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা না করা। কুরআনের মালিক আল্লাহ তা'আলা কুরআন থেকে কি ইচ্ছা পোষণ করেছেন তা জানার চেষ্টা না করা।
৫ আত্মার সকল রোগ-ব্যাধির চিকিৎসায় কুরআনকে মোটেও কাজে না লাগানো এবং আল্লাহ্র দেওয়া আত্মিক চিকিৎসা বাদ দিয়ে অন্যদের চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়া।
এগুলোর সবই রাসূল (ﷺ) কর্তৃক তাঁর প্রভুর সমীপে কৃত অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, 'সেদিন রাসূল বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমার উম্মত এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছিল' (ফুরক্বান ২৫/৩০)
বড় কষ্ট লাগে, বড় দুঃখ লাগে যখন দেখি, কুরআনকে বাদ দিয়ে মুসলিমরা আজ কুরআন বিরোধী আধুনিক নানা বিষয় নিয়ে মেতে আছে। হ'তে পারে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে তাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধার ফলে এমন হয়েছে, অথবা কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় তারা কুরআন বিরোধী বিষয় বেছে নিয়েছে। তারা আজ গান শোনে, গানের আড্ডায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে, কুরআনের মোকাবেলায় মানব রচিত বই- পুস্তককে প্রাধান্য দেয়, মানুষের বক্তৃতা-ভাষণ শোনে, মানুষের রচিত কবিতা আবৃত্তি করে, মানুষের সুর দেওয়া গান গায়, কিন্তু কুরআন পড়া ও শোনার কথা তারা মোটেও মনে করে না। কুরআনের সঙ্গে যারা এমন আচরণ করবে স্বাভাবিকভাবেই কুরআনের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হবে, তাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট বাড়বে, বিপদাপদও বড় হয়ে দেখা দিবে।
মূল: প্রফেসর ড. সুলায়মান আর-রুহাইলী
অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
