‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

যারা সাহাবীদের গালি দেয় তাদের শাস্তি

যখন রাফিযী সম্প্রদায় সাহাবীদের গালি গালাজ শুরু করল, তখন আলিমগণ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, যারাই সাহাবীদেরকে গালি দিবে তাদেরকেই শাস্তি প্রদান করতে হবে। তারপরও রাফিযী সম্প্রদায় সাহাবীদেরকে কাফির প্রতিপন্ন করা ছাড়া আরো বহু বাড়াবাড়ি করেছে। আমি ইতোপূর্বে বহু স্থানে তার উল্লেখ করেছি এবং ঐ কাজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শারয়ী বিধানও বর্ণনা করেছি। সে সময় ইয়াযীদ বিন মুয়াবিয়ার বিষয়ে কেউই কোনো কথা উপস্থাপন করেনি। তার বিষয়টি দীনী কোনো আলোচনার বিষয়ও ছিল না। পরবর্তীতে তার বিষয়ে বহু কাল্পনিক ইতিহাস রচনা করা হয়েছে। কোনো কোনো দল তাকে অভিসম্পাত প্রদান করেছে। হয়তো এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্যদের অভিশাপের দরজা খুলে দেয়া।

কিন্তু অধিকাংশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত কাউকে নির্দিষ্টভাবে অভিসম্পাত করা কখনো পছন্দ করেননি। সুন্নাতের প্রতি আজ্ঞাবহ কতক মুসলিম (আহলে সুন্নাত কর্তৃক) অভিসম্পাত না করার বিষয়টি জানতে পেরে মনে করল ইয়াজিদ ছিল অনেক বড় নেককার ও হিদায়াতের বিশেষ ইমাম। (অথচ এটা তাদের ভুল ধারণা)। বস্তুত ইয়াজিদের বিষয়ে দুই দিক থেকে বিপরীত মুখী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে অর্থাৎ একদল তার সম্পর্কে বলে, সে কাফির, দীন-চ্যুত মুরতাদ। কারণ, সে রাসূল এর নাতীকে হত্যা করেছে, তার নানা উতাহ ইবনে রাবীআহ ও তার মামা ওয়ালিদসহ যাদেরকে কাফির মনে করে হত্যা করা হয়েছিল তাদের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য তিনি আনসার ও তার বংশধরকে হাররা নামক স্থানে হত্যা করেছে, প্রকাশ্য মদ খাওয়া, দিবালোকে গর্হিত কার্যাবলী সম্পাদনসহ নানা অশ্লীল কাজে জড়িত ছিলেন বলে তারা উল্লেখ করেন।
পক্ষান্তরে প্রশংসাকারীগণ বিশ্বাস করেন যে, তিনি সুপথ প্রাপ্ত পথ প্রদর্শক ন্যায়পরায়ণ নেতা ছিলেন। তিনি সাহাবী বা শীর্ষ স্থানীয় সাহাবীদের অন্যতম একজন। তিনি আল্লাহর ওলীদের বিশেষ একজন। কখনো কখনো কেউ এও বিশ্বাস করতো যে তিনি নাবীদের একজন ছিলেন। তারা আরো বলেছেন যারা ইয়াযীদের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বিরত রাখবেন।

তারা শাইখ হাসান ইবনে আদী রহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইয়াজিদ এরূপ এরূপ মহাগুণের অধিকারী মহান ওলী ছিলেন। যারা ইয়াজিদের সমালোচনা থেকে বিরত হবে তারা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবে। শাইখ হাসানের সমকালীন ঐসব ভক্তরা মহামান্য শাইখ আদীর মতের বিরুদ্ধে তার ও ইয়াজিদের বিষয়ে তারা বহু ভ্রান্ত কবিতা, বাড়াবাড়িমূলক বহু রচনাবলী তার নামে ছড়িয়ে দিয়েছে। তারা শাইখ আদি ও ইয়াজিদ বিষয়ে এমন বাড়াবাড়ি করে যা শাইখ আদি যে মতের উপর ছিলেন তা তার বিরুদ্ধে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে যে সব অপবাদ দেয়া হয়, তা হতে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তার মধ্যে এ ধরনের কোন দি'আত ছিল না, যার অপবাদ তারা রটিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি রাফেযীদের দ্বারা আক্রান্ত হন এবং তাদের রোষানলে পড়েন। তারা শাইখ হাসানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুসলিম জাহানে ফিতনার কালো ছায়া নেমে আসে যা আল্লাহ ও তার রাসূল কখনো পছন্দ করেননি। এ হলো ইয়াজিদের বিষয়ে দু'দিক থেকে বিপরীতমুখী বাড়াবাড়ির সংক্ষিপ্ত ভাষা চিত্র। ইয়াজিদ সম্পর্কে উভয় পক্ষের পরস্পর বিরোধী এ ধরনের বাড়াবাড়ি মুসলিম সমাজ ও আলিমদের ঐকমত্যের সম্পূর্ণ বিরোধী কার্যকলাপ ।

কেননা, ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়াহ উসমান ইবনে আফফান (রা.) এর খিলাফতে জন্ম গ্রহণ করে। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাত পাননি। আলিমদের ঐকমত্য অনুযায়ী তিনি সাহাবী ছিলেন না। দীন ও যথাযোগ্য কাজের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুসলিম যুবকদের একজন। তিনি কাফির বা দীনচ্যুত মুরতাদ ছিলেন না। তার পিতার মৃত্যুর পর কিছু সংখ্যক মুসলিমদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং কিছু সংখ্যক মুসলিমদের সম্মতিতে তিনি মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্র ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হন। তার ছিল বহু বীরত্ব ও সুমহান বদান্য, তিনি প্রকাশ্য অশ্লীল কাজে জড়িত ছিলেন না। যেমন কিছু সংখ্যক বিরুদ্ধবাদীরা বর্ণনা করে থাকে।

ইয়াজিদের শাসন আমলের কতক বড় বড় ঘটনা

এক: হুসাইন (রা.) এর হত্যা কার্য তার অন্যতম। তিনি হুসাইন (রা.) কে হত্যার নির্দেশ দেননি এবং তার হত্যার সংবাদে আনন্দ প্রকাশ করেননি। তার সম্মানহানী করে দন্তের উপর লাঠির আঘাত করে ঠাট্টা বিদ্রূপও করেননি। হুসাইন এর মস্তক শাম এ নিয়ে যেতেও নির্দেশ দেননি। তাকে হত্যার কারণে তিনি আনন্দ প্ৰকাশ করেননি। বরং তিনি হুসাইন (রা.) কে বাধা প্রদানের নির্দেশ দেন এবং তার কর্মকে প্রতিহত করতে নির্দেশ দেন তাতে যদি যুদ্ধ করা লাগে তবুও। ইয়াযীদের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী ও প্রতিনিধি তার নির্দেশের উপর বাড়াবাড়ি করেছে।

সামর ইবনে জুল জাওশান সৈন্যদলকে উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নেতৃত্বে তাকে হত্যার জন্য উৎসাহিত করেছে। ফলে উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তার প্রতি সীমালঙ্ঘন করেছিল। তখন হুসাইন (রা.) তাকে ইয়াযীদ এর নিকট নিয়ে যাওয়া অথবা প্রহরারত অবস্থায় সুরক্ষিত সীমান্ত শহরে পাঠানো বা মক্কায় প্রত্যাবর্তন করার জন্যে
তাদের নিকট আবেদন করেছিলেন। তারা হুসাইন (রা.) এর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। সে উমার ইবনে সা'দকে নির্দেশ দেন সে যেন হুসাইন (রা.) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ফলে তারা তাকে ও তার পরিবারের কিছু সংখ্যক ব্যক্তিবর্গকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তার হত্যাকান্ড ছিল ভয়াবহ বিপদসমূহের অন্যতম। কেননা হুসাইন ও তার পূর্বে উসমান (রা.) কে হত্যা করা এ উম্মতের ভয়াবহ ফিতনাসমূহের মধ্যে আনহ উল্লেখযোগ্য। তাদের দু'জনকে তারাই হত্যা করেছে যারা আল্লাহর নিকট সৃষ্টির নিকৃষ্টতম জীব।

তারপর হুসাইন (রা.) এর পরিবারবর্গ যখন তার দরবারে এসেছিলেন, তিনি তাদেরকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাদেরকে সসম্মানে মদীনায় পাঠিয়ে ছিলেন। ইয়াযীদ কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, তিনি হুসাইন (রা.) এর হত্যার জন্য উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদকে অভিশম্পাত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি ইরাকের অনুসারীদের বিষয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম শুধুমাত্র হুসাইন (জন) এর হত্যা ছাড়া। তা সত্ত্বেও তিনি তার হত্যার কোন প্রতিবাদ করেছেন এমন কোন কর্ম তার থেকে প্রকাশ পায়নি। তার হত্যার প্রতিশোধ বা বদলা নেননি অথচ এটা তার উপর ওয়াজিব ছিল। তাই হকপন্থীরা তার অন্যান্য কার্যকলাপের সাথে এ গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব পরিত্যাগ করার সমালোচনা করেছেন। পক্ষান্তরে যারা তার সঙ্গে শত্রুতামূলক আচরণ করে, তারা তার উপর বহু মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে দেয়।

দুই: মদীনাবাসীগণ তার সঙ্গে আনুগত্যের শপথ গ্রহণের পর তা ভঙ্গ করেছিল, তার প্রেরিত প্রতিনিধিকে পরিবারসহ সেখান থেকে বের করে দিয়েছিল। অতঃপর তিনি একটি সৈন্যদলকে এ মর্মে প্রেরণ করেন যে, মদীনাবাসীর নিকট তারা আনুগত্য কামনা করবে, এতে যদি তারা সম্মত না হয় তাহলে তারা তিন দিন পর্যন্ত তাদের বুঝার সুযোগ দিবে। তারপর বাধা দিলে তারা অস্ত্রের সাহায্যে মদীনায় প্রবেশ করবে। তিন দিন পর তাদের রক্তকে তারা হালাল হিসাবে গ্রহণ করবে। নির্দেশ মোতাবেক সৈন্যদল তিন দিন পর্যন্ত মদীনায় অপেক্ষায় ছিল। তারপর তারা গণহত্যা শুরু করে, লুটতরাজ আরম্ভ করে, হারামকৃত মহিলাদেরকে জোড় পূর্বক যৌনক্রিয়ার পাত্রে পরিণত করে। তারপর সে অপর একটি সৈন্য বাহিনীকে মক্কায় প্রেরণ করে, তারা মক্কা অবরোধ করে। ইয়াজিদের মৃত্যু পর্যন্ত তারা মক্কা অবরোধ করে রেখেছিল। এ ছিল ইয়াজিদের অত্যাচার ও সীমালঙ্ঘনের সংক্ষিপ্ত চিত্র, যা তার নির্দেশে সংঘটত হয়েছিল। এ জন্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদা হলো তারা তাকে গালিও দিবে না আর ভালোও বাসবে না ৷

ছালিহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, আমি আমার বাবাকে বললাম, জনগণ বলে, তারা ইয়াযীদকে ভালোবাসে। তিনি বললেন, হে আমার বৎস্য, যে আল্লাহ তা'আলা ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে কি ইয়াযীদকে ভালোবাসতে পারে! আমি বললাম, হে আমার বাবা! তাহলে আপনি তাকে অভিসম্পাত করেন না কেন? তিনি বললেন, হে আমার বৎস্য! তুমি কি কখনও তোমার বাবাকে কারো প্রতি অভিশাপ দিতে দেখেছ?
তার কর্তৃক বর্ণিত আছে- তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো: ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়া কর্তৃক হাদীছ বর্ণনা করুন। তিনি জবাবে বললেন, না। ইসলামে তার কোন সম্মানিত স্থান নেই। সে কি ঐ ব্যক্তি নয় যে মদীনাবাসীর উপর এই এই অপকর্ম ও অত্যাচার করেছিল?
মুসলিম নেতৃবর্গ আলিমদের নিকট ইয়াযীদ হলো রাজতান্ত্রিক বাদশাদের অন্যতম। আল্লাহর ওলী ও সৎ মানুষদের মতো তারা তাকে ভালোবাসেন না। তাকে তারা গালিও দেন না। কেননা, কোন নির্দিষ্ট মুসলিমকে অভিশাপ দেয়া তারা পছন্দ করেন না ।
কেননা, ইমাম বুখারী সহীহ বুখারীতে উমার ইবনে খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু কর্তৃক সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি যাকে হিমার (গাধা) বলা হতো। সে খুব বেশী মদ পান করত। আর যখন মদ খেত তখন আল্লাহর রাসূলের নিকট আনা হতো এবং মদ পানের শাস্তি স্বরূপ তাকে প্রহার করা হতো। একবার এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহ তোমার প্রতি অভিশাপ করুন! কারণ, তুমি বারবার আল্লাহর নাবীর নিকট এ অপরাধ নিয়ে আস ।
তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে বললেন:
"لا تلعنه فإنه يحب الله ورسوله"
তাকে অভিশাপ করো না। কারণ, সে আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে ভালোবাসে।
তা সত্ত্বেও আহলে সুন্নাহর একদল লোক তাকে অভিশাপ করা বৈধ মনে করেন। কেননা, তারা বিশ্বাস করেন তিনি এমন নির্মম অত্যাচার করেছিলেন, যে অত্যাচার করার কারণে সে অত্যাচারীকে অভিশাপ করা যেতে পারে।

অপর দল তাকে মহব্বত করা পছন্দ করেন। কারণ, সে একজন মুসলিম। সাহাবীদের যুগে সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। সাহাবীগণ তার আনুগত্যের বায়'আত নিয়েছিলেন। তারা বলেন, তার বহু কল্যাণময়ী কাজও ছিল। অথবা তিনি যা করেছিলেন তাতে তিনি একজন মুজতাহিদ ছিলেন। সঠিক কথা হলো, যার প্রতি মুসলিম ইমামগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত, তা হলো তাকে বিশেষভাবে ভালোবাসারও দরকার নেই এবং তাকে অভিসম্পাত করাও যাবে না। তারপরও যদি সে যালিম ও ফাসিক হয়ে থাকে, আল্লাহ তা'আলা যালিম ও ফাসিককে ক্ষমা করে দেন। বিশেষ করে যখন সে কোন মহান কাজ করে থাকে।

ইবনে উমার (রা.) হতে ইমাম বুখারী সহীহ বুখারীতে একটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রথম যে দল কুসতুন্তনিয়্যায় (কনস্টান্টিনোপল) যুদ্ধ করবে তারা ক্ষমা প্রাপ্ত হবে ।

আর ঐ স্থানে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে। আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) ও তার সঙ্গী ছিলেন। অবশ্য ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ও তার চাচা ইয়াজিদ ইবনে আবী সুফিয়ান দু'জনের নাম এক হওয়ার কারণে সংশয় দেখা দেয়। ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ান হলেন সাহাবী । তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠতম সাহাবীদের অন্যতম। তিনি হারব কুরাইশ বংশের বিশিষ্ট ব্যক্তি। শাম এর আমীরদের মধ্যে তিনি অন্যতম যাকে আবু বকর (রা.) শাম বিজয়ের জন্যে প্রেরণ করেছিলেন। আবু বকর (রা.) তাকে বিদায়কালীন তার উষ্ট্রবাহন ধরে হেঁটে হেঁটে অছিয়ত করছিলেন। তিনি তাকে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূলের প্রতিনিধি! তুমি আরোহণ করবে নাকি আমি অবতরণ করবো? তিনি তার জবাবে বলেছিলেন, আমি আরোহী হবো না আর তুমি অবতরণকারী হবে না। আমি আশা করি আল্লাহর রাস্তায় আমার জীবনের পাপ রাশি শেষ হয়ে যাক।

উমার (রা.) এর খিলাফত আমলে শাম বিজয়ের পর যখন তিনি মারা যান, তখন উমার (রা.) তার ভাই মুয়াবিয়া (রা.) কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। তারপর উসমান ইবনে আফফান (রা.) এর খিলাফত আমলে ইয়াজিদের জন্ম হয়। মুয়াবিয়া (রা.) শামে প্রতিষ্ঠিত হলেন এবং তারপর যা ঘটার তা ঘটে গেল।

ওয়াজিব হলো এ বিষয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। ইয়াযীদ ইবনে মুয়াবিয়ার সমালোচনার দ্বারা মুসলিমদেরকে পরীক্ষায় ফেলা থেকে বিরত থাকা। কারণ এরূপ করা সম্পূর্ণ বিদ'আত, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের মাযহাব পরিপন্থী। এ সব বিভ্রান্তির ফলে কতিপয় জাহিল মনে করে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া শীর্ষ স্থানীয় সাহাবীদের অন্যতম এবং ন্যায়পরায়ণ মুসলিম ইমাম অথচ এটি সুস্পষ্ট ভুল ।

আরও পড়ুন - আল ওয়াছিইয়াতুল কুবরা (মহা উপদেশ)​

১. সহীহ বুখারী, কিতাবুল হুদুদ : ৬৭৮০।
২. সহীহ বুখারী, জিহাদপর্ব : ২৯২৪।
 

Share this page