শায়খ ছালেহ আল-‘ফাউযান হাফিয্বাহুল্লাহ্:
আবী হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাছূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যারা তোমার নিচে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও এবং যারা তোমার ওপরে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও না, কেননা এটাই অধিক উপযুক্ত যে, তোমার আল্লাহ্’র নেয়ামতকে কম মনে করা উচিত নয়।”
[ছহীহ বুখারী, ৬৪৯০, এবং ছহীহ মুছলিম, ২৯৬৩]
এই দুনিয়ার জন্যে কোনও ব্যক্তির আকাঙ্খা থাকা উচিত নয়। না তার উপর যে মুছিবত পতিত হয় তা নিয়ে তার চিন্তিত হওয়া উচিত। তার ছবর করা উচিত এবং আল্লাহ্’র কাছে প্রতিদান চাওয়া উচিত।
সে দরিদ্র হোক, অসুস্থ হোক বা ঐ জাতীয় কিছু হোক। দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা! কাজেই তার উপর নেমে আসা পরীক্ষা ও দুর্দশার জন্য তার যন্ত্রণাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।
যা বিষয়টিকে সহজ করে তোলে তা নাবী ﷺ এই রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন:
“যারা তোমার নিচে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও এবং যারা তোমার ওপরে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও না, কেননা এটাই অধিক উপযুক্ত যে, তোমার আল্লাহ্’র নেয়ামতকে কম মনে করা উচিত নয়।”
কাজেই দরিদ্রের উচিত তার চেয়েও দরিদ্রের দিকে তাকানো এবং তার চেয়ে ধনী ব্যক্তির দিকে না তাকানো। আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন, তবে তিনি তোমাকে ঠিক তেমন দরিদ্র করে দিতেন যার একেবারে কিছুই নেই! এমনকি তার প্রতিদিনের খোরাকীও নয়! তুমি তাঁর চেয়ে ভাল পরিস্থিতিতে আছো।
এটার জন্য আল্লাহ্’র প্রসংশা করো এবং ধনীর দিকে তাকিও না। কারণ এটি তোমাকে আল্লাহ্’র প্রতি অসন্তুষ্টি এবং আল্লাহর কদরের প্রতি অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত করবে। তুমি বলবে:
“আমি কেন তার মতো এবং সম্পদশালীর মতো কেন না?”
এটাই হলো তোমার অনুগ্রহ অস্বীকার করার অর্থপ্রকাশক। যাইহোক, যখন তুমি তোমার নিম্নস্তরে থাকা [লোকদের] দিকে তাকাও, তাহলে এটা তোমাকে কৃতজ্ঞতা [প্রদর্শন করতে] অনুপ্রাণিত করবে। কারণ তোমার অবস্থা অন্য অনেক ব্যক্তিদের তুলনায় উত্তম।
যে সুস্থ সে অসুস্থ ব্যক্তির দিকে তাকায় এবং তার সুস্থতার জন্য আল্লাহ্’র শুকরিয়া আদায় করে। অসুস্থ ব্যক্তি তার চেয়েও অসুস্থ ব্যক্তির দিকে তাকায় এবং তার কম অসুস্থতার জন্য আল্লাহ্’র শুকরিয়া আদায় করে।
কাজেই এটি, একটি মহান কায়দা।
“তাদের দিকে তাকাও যারা তোমার চেয়ে নিচু স্তরে রয়েছে...”
টাকাপয়সা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে। ইবাদতের বিষয় ছাড়া! ইবাদতের ব্যাপারে তাহলে নিচের দিকে তাকাবে না! যে পড়ে না এবং যে কম পড়ে তার দিকে তাকাবে না। বরং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের দিকে তাকাও যাতে তুমি তাদের অনুকরণ করতে পারো।
অতএব, ইবাদতের ক্ষেত্রে তুমি তোমার নীচের স্তরের লোকদের দিকে তাকাবে না। বিপরীতে; দ্বীনে যারা তোমার উপরে তাদের দিকে তাকাও! তার মতো হবে না কেন? কেন মুত্তাকীদের অনুসরণ করবে না? কেন আলিম এবং তুল্লাবুল ইলমদের অনুসরণ করবে না? তুমি যখন ত্বলিবুল ইলম, তখন তোমার যা ইলম আছে তাতে সন্তুষ্ট হবে না; আরও ইলম অর্জন করো যেহেতু তুমি এখনও বেঁচে আছো। এটি দুনিয়ার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিপরীতে।❞
শারহু বুলুগুল মারাম, ৬/১৫৭-১৫৯
সোর্স: Explanation of the Hadeeth ‘Look at Those Below You’ – Shaykh Saleh al-Fawzaan
আবী হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাছূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যারা তোমার নিচে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও এবং যারা তোমার ওপরে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও না, কেননা এটাই অধিক উপযুক্ত যে, তোমার আল্লাহ্’র নেয়ামতকে কম মনে করা উচিত নয়।”
[ছহীহ বুখারী, ৬৪৯০, এবং ছহীহ মুছলিম, ২৯৬৩]
এই দুনিয়ার জন্যে কোনও ব্যক্তির আকাঙ্খা থাকা উচিত নয়। না তার উপর যে মুছিবত পতিত হয় তা নিয়ে তার চিন্তিত হওয়া উচিত। তার ছবর করা উচিত এবং আল্লাহ্’র কাছে প্রতিদান চাওয়া উচিত।
সে দরিদ্র হোক, অসুস্থ হোক বা ঐ জাতীয় কিছু হোক। দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা! কাজেই তার উপর নেমে আসা পরীক্ষা ও দুর্দশার জন্য তার যন্ত্রণাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।
যা বিষয়টিকে সহজ করে তোলে তা নাবী ﷺ এই রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন:
“যারা তোমার নিচে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও এবং যারা তোমার ওপরে আছে তাদের দিকে লক্ষ্য করিও না, কেননা এটাই অধিক উপযুক্ত যে, তোমার আল্লাহ্’র নেয়ামতকে কম মনে করা উচিত নয়।”
কাজেই দরিদ্রের উচিত তার চেয়েও দরিদ্রের দিকে তাকানো এবং তার চেয়ে ধনী ব্যক্তির দিকে না তাকানো। আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন, তবে তিনি তোমাকে ঠিক তেমন দরিদ্র করে দিতেন যার একেবারে কিছুই নেই! এমনকি তার প্রতিদিনের খোরাকীও নয়! তুমি তাঁর চেয়ে ভাল পরিস্থিতিতে আছো।
এটার জন্য আল্লাহ্’র প্রসংশা করো এবং ধনীর দিকে তাকিও না। কারণ এটি তোমাকে আল্লাহ্’র প্রতি অসন্তুষ্টি এবং আল্লাহর কদরের প্রতি অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত করবে। তুমি বলবে:
“আমি কেন তার মতো এবং সম্পদশালীর মতো কেন না?”
এটাই হলো তোমার অনুগ্রহ অস্বীকার করার অর্থপ্রকাশক। যাইহোক, যখন তুমি তোমার নিম্নস্তরে থাকা [লোকদের] দিকে তাকাও, তাহলে এটা তোমাকে কৃতজ্ঞতা [প্রদর্শন করতে] অনুপ্রাণিত করবে। কারণ তোমার অবস্থা অন্য অনেক ব্যক্তিদের তুলনায় উত্তম।
যে সুস্থ সে অসুস্থ ব্যক্তির দিকে তাকায় এবং তার সুস্থতার জন্য আল্লাহ্’র শুকরিয়া আদায় করে। অসুস্থ ব্যক্তি তার চেয়েও অসুস্থ ব্যক্তির দিকে তাকায় এবং তার কম অসুস্থতার জন্য আল্লাহ্’র শুকরিয়া আদায় করে।
কাজেই এটি, একটি মহান কায়দা।
“তাদের দিকে তাকাও যারা তোমার চেয়ে নিচু স্তরে রয়েছে...”
টাকাপয়সা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে। ইবাদতের বিষয় ছাড়া! ইবাদতের ব্যাপারে তাহলে নিচের দিকে তাকাবে না! যে পড়ে না এবং যে কম পড়ে তার দিকে তাকাবে না। বরং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের দিকে তাকাও যাতে তুমি তাদের অনুকরণ করতে পারো।
অতএব, ইবাদতের ক্ষেত্রে তুমি তোমার নীচের স্তরের লোকদের দিকে তাকাবে না। বিপরীতে; দ্বীনে যারা তোমার উপরে তাদের দিকে তাকাও! তার মতো হবে না কেন? কেন মুত্তাকীদের অনুসরণ করবে না? কেন আলিম এবং তুল্লাবুল ইলমদের অনুসরণ করবে না? তুমি যখন ত্বলিবুল ইলম, তখন তোমার যা ইলম আছে তাতে সন্তুষ্ট হবে না; আরও ইলম অর্জন করো যেহেতু তুমি এখনও বেঁচে আছো। এটি দুনিয়ার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিপরীতে।❞
শারহু বুলুগুল মারাম, ৬/১৫৭-১৫৯
সোর্স: Explanation of the Hadeeth ‘Look at Those Below You’ – Shaykh Saleh al-Fawzaan