সুন্নতের উপর আমল করুন। যে সুন্নত মানুষের মাঝে মারা পড়েছে, যে সুন্নতের উপর কেউ আমল করে না, যে সুন্নতের প্রতি মানুষের অবজ্ঞা রয়েছে, সেই সুন্নতকে হিকমতের সাথে সমাজে প্রচার ও প্রচলিত করুন, উজ্জীবিত করুন; অনেক অনেক সওয়াব পাবেন।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলামে কোন ভালো রীতি (বা কর্ম প্রবর্তিত করে তার জন্য রয়েছে তার সওয়াব (প্রতিদান) এবং তাদের সমপরিমাণ সওয়াব যারা ঐ রীতির অনুকরণে আমল (কর্ম) করে। এতে তাদের কারো সওয়াব এতটুকু পরিমাণও হ্রাস করা হয় না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতি (বা কর্মের) সূচনা করে তার জন্য রয়েছে তার পাপ এবং তাদের সমপরিমাণ পাপও যারা ঐ রীতির অনুকরণে আমল (বা কৰ্ম করে। এতে তাদের কারো পাপ এতটুকু পরিমাণ হ্রাস করা হয় না। ” (মুসলিম ১০১৭নং, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
মহানবী (ﷺ)– বলেন, “যে ব্যক্তি কোন ভালো রীতি প্রবর্তন করে তার জন্য নির্দিষ্ট সওয়াব রয়েছে, যতদিন সেই রীতির উপর আমল হতে থাকবে; তার জীবনকালে এবং তার মৃত্যুর পরেও; যতক্ষণ না তা বর্জিত হয়েছে। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ রীতির প্রচলন করে তার জন্য রয়েছে তার নির্দিষ্ট পাপ, যতক্ষণ না সে রীতি (বা কর্ম) বর্জন করা হয়েছে। আবার যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা- বাহিনীর কার্যে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে পুনরুত্থিত হওয়া পর্যন্ত তার ঐ প্রতিরক্ষা-বাহিনীর কাজের সওয়াব জারী থাকে। (ত্বাবারানীর কাবীর, সহীহ তারগীব ৬২নং)
মহানবী (ﷺ)– আরো বলেন, “এই মঙ্গলসমূহের রয়েছে বহু ভান্ডার। এই ভান্ডারগুলোর জন্য রয়েছে একাধিক চাবি। সুতরাং শুভসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য যাকে আল্লাহ আযযা অজাল্ল মঙ্গলের (দরজা খোলার) চাবিকাঠি এবং অমঙ্গলের (দরজা বন্ধ করার) খিল করেছেন। আর ধ্বংস সেই বান্দার জন্য যাকে আল্লাহ অমঙ্গলের চাবিকাঠি ও মঙ্গলের (দরজা বন্ধ করার) খিল করেছেন।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, সহীহ তারগীব ৬৩নং)
সুতরাং কোন মৃত রীতি ও সুন্নতকে জীবিত করে যদি আপনি কল্যাণের চাবিকাঠি হতে পারেন, আপনার দ্বারা যদি কোন শরীয়ত-সম্মত ভালো কাজ নতুনভাবে চালু হয়ে যায়, তাহলে আপনি একজন মহান মানুষ।
হয়তো বা লোকে ‘নতুন হাদীস' বা ‘নতুন ফতোয়া' বলে আপনাকে ব্যঙ্গ করবে, তবুও আপনি তা পরোয়া না করে আমল করে যান। আল্লাহর ইচ্ছায় আজ না হয় কাল কেউ আপনার ঐ চালুকৃত সুন্নতের উপর আমল শুরু করবে এবং তার দেখাদেখি আরো অনেকে আমল করবে। আর তার ফলে তাদের সকলের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব আপনার আমলনামায় লিপিবদ্ধ হয়ে যাবে।
জীবনের সময় তো গনা কয়েকটা দিন মাত্র। আপনি চেষ্টা করলেও আপনার আয়ু বৃদ্ধি করতে পারেন না। কিন্তু এমন কাজ অবশ্যই করতে পারেন, যে কাজের মাধ্যমে আপনার আয়ুর শতগুণ আমল আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলামে কোন ভালো রীতি (বা কর্ম প্রবর্তিত করে তার জন্য রয়েছে তার সওয়াব (প্রতিদান) এবং তাদের সমপরিমাণ সওয়াব যারা ঐ রীতির অনুকরণে আমল (কর্ম) করে। এতে তাদের কারো সওয়াব এতটুকু পরিমাণও হ্রাস করা হয় না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতি (বা কর্মের) সূচনা করে তার জন্য রয়েছে তার পাপ এবং তাদের সমপরিমাণ পাপও যারা ঐ রীতির অনুকরণে আমল (বা কৰ্ম করে। এতে তাদের কারো পাপ এতটুকু পরিমাণ হ্রাস করা হয় না। ” (মুসলিম ১০১৭নং, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
মহানবী (ﷺ)– বলেন, “যে ব্যক্তি কোন ভালো রীতি প্রবর্তন করে তার জন্য নির্দিষ্ট সওয়াব রয়েছে, যতদিন সেই রীতির উপর আমল হতে থাকবে; তার জীবনকালে এবং তার মৃত্যুর পরেও; যতক্ষণ না তা বর্জিত হয়েছে। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ রীতির প্রচলন করে তার জন্য রয়েছে তার নির্দিষ্ট পাপ, যতক্ষণ না সে রীতি (বা কর্ম) বর্জন করা হয়েছে। আবার যে ব্যক্তি প্রতিরক্ষা- বাহিনীর কার্যে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে পুনরুত্থিত হওয়া পর্যন্ত তার ঐ প্রতিরক্ষা-বাহিনীর কাজের সওয়াব জারী থাকে। (ত্বাবারানীর কাবীর, সহীহ তারগীব ৬২নং)
মহানবী (ﷺ)– আরো বলেন, “এই মঙ্গলসমূহের রয়েছে বহু ভান্ডার। এই ভান্ডারগুলোর জন্য রয়েছে একাধিক চাবি। সুতরাং শুভসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য যাকে আল্লাহ আযযা অজাল্ল মঙ্গলের (দরজা খোলার) চাবিকাঠি এবং অমঙ্গলের (দরজা বন্ধ করার) খিল করেছেন। আর ধ্বংস সেই বান্দার জন্য যাকে আল্লাহ অমঙ্গলের চাবিকাঠি ও মঙ্গলের (দরজা বন্ধ করার) খিল করেছেন।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, সহীহ তারগীব ৬৩নং)
সুতরাং কোন মৃত রীতি ও সুন্নতকে জীবিত করে যদি আপনি কল্যাণের চাবিকাঠি হতে পারেন, আপনার দ্বারা যদি কোন শরীয়ত-সম্মত ভালো কাজ নতুনভাবে চালু হয়ে যায়, তাহলে আপনি একজন মহান মানুষ।
হয়তো বা লোকে ‘নতুন হাদীস' বা ‘নতুন ফতোয়া' বলে আপনাকে ব্যঙ্গ করবে, তবুও আপনি তা পরোয়া না করে আমল করে যান। আল্লাহর ইচ্ছায় আজ না হয় কাল কেউ আপনার ঐ চালুকৃত সুন্নতের উপর আমল শুরু করবে এবং তার দেখাদেখি আরো অনেকে আমল করবে। আর তার ফলে তাদের সকলের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব আপনার আমলনামায় লিপিবদ্ধ হয়ে যাবে।
জীবনের সময় তো গনা কয়েকটা দিন মাত্র। আপনি চেষ্টা করলেও আপনার আয়ু বৃদ্ধি করতে পারেন না। কিন্তু এমন কাজ অবশ্যই করতে পারেন, যে কাজের মাধ্যমে আপনার আয়ুর শতগুণ আমল আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আরও পড়ুন - হাদীস ও সুন্নাহর মূল্যমান