মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁর খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের যুগে ঈদগাহে মিম্বর ব্যবহার করা হত না। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন মিম্বর বের করেন এবং নামাযের পূর্বে খুতবা দেন। এ দেখে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ‘হে মারওয়ান! আপনি সুন্নাহর বিপরীত কাজ করলেন; ঈদের দিন মিম্বর বের করেছেন। অথচ তা ইতিপূর্বে বের করা হত না। আর নামাযের আগে খুতবাও দান করেছেন!’
আবূ সাঈদ (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ঐ প্রতিবাদকারী কে?’ লোকেরা বলল, ‘অমুকের বেটা অমুক।’ তিনি বললেন, ‘ও তো নিজ কর্তব্য পালন করে দিল। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তি কোন আপত্তিকর কাজ ঘটতে দেখে এবং নিজ হাত দ্বারা তা পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখে, সে যেন তা পরিবর্তন করে। তাতে সমর্থ না হলে নিজ জিভ দ্বারা, তাতেও সক্ষম না হলে নিজ অন্তর দ্বারা (ঘৃণা জানবে)। আর এটি হল দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।’’[1]
কিন্তু জাবের (রাঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যখন (খুতবা) শেষ করলেন, তখন নেমে মহিলাদের কাছে এলেন---।’[2] এর থেকে বুঝা যায় যে, তিনি কোন উঁচু জায়গাতে চড়েই খুতবা দিতেন। সুতরাং মিম্বর ব্যবহার করা ও না করার ব্যাপারে যে প্রশস্ততা আছে, তা বলাই বাহুল্য।[3]
[1] (আহমাদ, মুসনাদ ৩/১০, ৫২, সহীহ আবূ দাঊদ ১০০৯, তিরমিযী ২১৭২, ইবনে মাজাহ ১২৭৫, হাদীসটির মূল রয়েছে মুসলিমে ৪৯নং)
[2] (বুখারী ৯৬১, ৯৭৮, মুসলিম ৮৮৫, আবূ দাঊদ ১১৪১নং)
[3] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৩-৪পৃঃ)
আবূ সাঈদ (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ঐ প্রতিবাদকারী কে?’ লোকেরা বলল, ‘অমুকের বেটা অমুক।’ তিনি বললেন, ‘ও তো নিজ কর্তব্য পালন করে দিল। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তি কোন আপত্তিকর কাজ ঘটতে দেখে এবং নিজ হাত দ্বারা তা পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখে, সে যেন তা পরিবর্তন করে। তাতে সমর্থ না হলে নিজ জিভ দ্বারা, তাতেও সক্ষম না হলে নিজ অন্তর দ্বারা (ঘৃণা জানবে)। আর এটি হল দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।’’[1]
কিন্তু জাবের (রাঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যখন (খুতবা) শেষ করলেন, তখন নেমে মহিলাদের কাছে এলেন---।’[2] এর থেকে বুঝা যায় যে, তিনি কোন উঁচু জায়গাতে চড়েই খুতবা দিতেন। সুতরাং মিম্বর ব্যবহার করা ও না করার ব্যাপারে যে প্রশস্ততা আছে, তা বলাই বাহুল্য।[3]
[1] (আহমাদ, মুসনাদ ৩/১০, ৫২, সহীহ আবূ দাঊদ ১০০৯, তিরমিযী ২১৭২, ইবনে মাজাহ ১২৭৫, হাদীসটির মূল রয়েছে মুসলিমে ৪৯নং)
[2] (বুখারী ৯৬১, ৯৭৮, মুসলিম ৮৮৫, আবূ দাঊদ ১১৪১নং)
[3] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৩-৪পৃঃ)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী