• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্ন মিথ্যা বলার শাস্তি এবং আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া

Burhan Uddin

Member

Threads
4
Comments
7
Reactions
46
Credits
247
যারা প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে ফেলে অথবা গল্পকে অতিরঞ্জন করার জন্য বা মিথ্যা কথা দিয়ে ঘটনাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যে কথা সত্য তাদের শাস্তি কি হবে ? এখন তারা যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে কিভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবে ?
অথবা কাফফারা কিভাবে আদায় করবেন ?
এমন কি আমল করলে এই পাপ আল্লাহ মিটিয়ে দিবেন ?
 

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,102
Credits
5,779
মিথ্যা বলা বৈধ নয়। মিথ্যা বললে কবিরাহ গোনাহ হয়। রাসুল (সঃ) বলেছেন, “নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে, সেস পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে “ মহাসত্যবাদী” রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিরসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচার এর দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, সেস পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহামিথ্যাবাদি” রুপে লিপিবদ্ধ করা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)

উপহাস ছলেও মিথ্যা বলা বৈধ নয়। আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “আমি সেই ব্যক্তির জন্য একটু জান্নাতের পার্শ্বদেশ , একটু জান্নাতের মধ্যভাগ এবং অপর আর একটি জান্নাতের উপরিভাগে গৃহের জমিন হচ্ছি, যে ব্যক্তি সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও তর্ক পরিহার করে, উপহাসছলে হলেও মিথ্যা কথা বর্জন করে, আর নিজ চরিত্রকে সুন্দর করে।” (বাযযার, ত্বাবারানী, সহিহ তারগিব ১৩৪ নং )

কাউকে হাসাবার উদেশ্যেও কৌতুক করে মিথ্যা বলা বৈধ নয়। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সর্বনাশ সেই ব্যক্তির, যে লোককে হাসাবার উদেশ্যে মিথ্যা বলে। তাঁর জন্য সর্বনাশ, তাঁর জন্য সর্বনাশ।” (সহিহুল জ’মে ৭০১৩ নং)

শিশুদের ভোলাবার জন্য মিথ্যা বলা বৈধ নয়।

আব্দুল্লাহ বিন আমের (রঃ) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সঃ) একদা আমাদের বাড়িতে এলেন, আমি তখন শিশু ছিলাম। এমতবস্থায় আমি খেলার জন্য বাড়ির বাইরে বের হতে যাচ্ছিলাম। তা দেখে আমার মা আমার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আব্দুল্লাহ (বাইরে যেও না , আমার নিকট) এস, তোমাকে একটি মজা দেব।’ এ কথা শুনে নবী (সঃ) বললেন, ‘তুমি ওকে কি দেবে ইচ্ছা করেছ?’ মা বললেন, ‘খেজুর’। তখন রাসুল (সঃ) বললেন, ‘জেনে রাখ, যদি তুমি ওকে কিছু না দাও, তাহলে তোমার ওপর একটি মিথ্যা লেখা হবে।’ (আবু দাউদ ৪৯৯১, সিলসিলাহ সহিহাহ ৭৪৮ নং)

তবে তিন ক্ষেত্রে প্রয়জনে মিথ্যা বলা বৈধ। উম্মে কুলসুম বিনতে উকবাহ (রঃ ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে বলতে শুনেছি, “ওই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সৎভাব স্থাপনের জন্য (বানিয়ে) ভাল কথা পৌঁছে দেয় অথবা ভাল কথা বলে।” (বুখারি ও মুসলিম)

মুসলিমের এক বর্ণনায় বর্ধিত আকারে আছে, উম্মে কুলসুম (রঃ) বলেন, “আমি নবী (সঃ) কে কেবল মাত্র তিন অবস্থায় মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনেছিঃ যুদ্ধের ব্যাপারে, লোকের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করার সময় এবং স্বামী স্ত্রী পরস্পরের (প্রেম) আলাপ আলোচনায়।’

সোর্স: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর - শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী।
 

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,102
Credits
5,779
প্রশ্ন : আমি একদিন খুব বিপদে পড়ে আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম করেছি, এখন আমার কী করণীয়? আমার কি কাফফারা দিতে হবে? জানালে উপকার হতো।

উওর : আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম করেছেন, এর জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করবেন। ক্ষমা চাইবেন। এর জন্য কাফফরা দিতে হবে না। তবে, এটি খুব ভয়ংকর গুনাহর কাজ। এটা কবিরা গুনাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, সাতটি বিষয় রয়েছে যেগুলো মানুষের ঈমান-আমল সব নষ্ট করে। যার মধ্যে একটি হলো মিথ্যা ব্যাপারে আল্লাহর নামে কসম করা। একটা ভয়ংকর অপরাধ আপনি করে ফেলেছেন। তাই এর জন্য বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। বেশি বেশি কান্নাকাটি করুন। তওবা করুন। আল্লাহ ক্ষমাশীল। তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলেই হবে আপনার।

উত্তর দিয়েছেন - শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল-মাদানী।
 

Hasan Ali

Salafi

Salafi User
Threads
4
Comments
36
Reactions
44
Credits
37
জাজাকাল্লাহ খাইরান

আল্লাহ আমাদেরকে সকল ধরনের পাপ থেকে হেফাজত করুন
 
Top