উত্তর: সালাতে রাফউল ইয়াদাইন বা দুই হাত তোলা বহু হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নত। এটি ওয়াজিব বা রোকন নয়। সুতরাং কেউ যদি তা না করে তাতে সালাত বাতিল হবে না। (শিরক হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না)। এ ব্যাপারে সম্মানিত ইমামদের মাঝে কোন দ্বিমত নাই।
এখন আপনি যদি কোথাও এই হাত তুলতে গিয়ে কোন গোঁড়া ইমাম ও জাহেল লোকদের মাধ্যমে বাধার সম্মুখীন হন বা নিজের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করেন তাহলে সাময়িকভাবে হাত তুলবেন না। এতে ইনশাআল্লাহ সালাতের কোনো ক্ষতি হবে না বা কোন গুনাহ হবে না। তবে যখন বাড়িতে সুন্নত ও নফল সালাত আদায় করবেন তখন আমল করবেন বা যেখানে কারো বাধা দেয়ার আশঙ্কা নেই সেখানে আমল করবেন।
বৃহত্তর ক্ষয়ক্ষতি ও ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে আত্মরক্ষার্থে ছোট ক্ষতি মেনে নেওয়া ইসলামে জায়েজ আছে।
তবে যদি বড় ধরণের সমস্যার আশঙ্কা না থাকে তাহলে শুধু ‘মানুষ কী ভাববে’ বা ‘মানুষ আহলে হাদিস মনে করতে পারে’ এই ধারণা থেকে রফউল ইয়াদাইন এর মতো অসংখ্য হাদিস দ্বারা সুপ্রমানিত এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতটি বর্জন করা উচিত নয়।
মনে রাখতে হবে, শাখাগত মত বিরোধপূর্ণ মাসআলা-মাসায়েলগুলো নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি ও ঝগড়া-ঝাটি না করে আমাদের সকলের কর্তব্য, তাওহীদ, সুন্নাহ, শিরক, বিদআত ও আকিদার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এ সব বিষয়ে পর্যাপ্ত পড়াশোনা, গবেষণা, আলোচনা-পর্যালোচনা এবং দাওয়াতি কাজ করা। কারণ এগুলোই দ্বীনের মৌলিক বিষয়। এ সব ব্যাপারে চার মাজহাবের সম্মানিত ইমামদের মাঝেও উল্লেখযোগ্য কোন দ্বিমত ছিল না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন, সুন্নাহ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন এবং সব ধরণের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
এখন আপনি যদি কোথাও এই হাত তুলতে গিয়ে কোন গোঁড়া ইমাম ও জাহেল লোকদের মাধ্যমে বাধার সম্মুখীন হন বা নিজের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করেন তাহলে সাময়িকভাবে হাত তুলবেন না। এতে ইনশাআল্লাহ সালাতের কোনো ক্ষতি হবে না বা কোন গুনাহ হবে না। তবে যখন বাড়িতে সুন্নত ও নফল সালাত আদায় করবেন তখন আমল করবেন বা যেখানে কারো বাধা দেয়ার আশঙ্কা নেই সেখানে আমল করবেন।
বৃহত্তর ক্ষয়ক্ষতি ও ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে আত্মরক্ষার্থে ছোট ক্ষতি মেনে নেওয়া ইসলামে জায়েজ আছে।
তবে যদি বড় ধরণের সমস্যার আশঙ্কা না থাকে তাহলে শুধু ‘মানুষ কী ভাববে’ বা ‘মানুষ আহলে হাদিস মনে করতে পারে’ এই ধারণা থেকে রফউল ইয়াদাইন এর মতো অসংখ্য হাদিস দ্বারা সুপ্রমানিত এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতটি বর্জন করা উচিত নয়।
মনে রাখতে হবে, শাখাগত মত বিরোধপূর্ণ মাসআলা-মাসায়েলগুলো নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি ও ঝগড়া-ঝাটি না করে আমাদের সকলের কর্তব্য, তাওহীদ, সুন্নাহ, শিরক, বিদআত ও আকিদার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এ সব বিষয়ে পর্যাপ্ত পড়াশোনা, গবেষণা, আলোচনা-পর্যালোচনা এবং দাওয়াতি কাজ করা। কারণ এগুলোই দ্বীনের মৌলিক বিষয়। এ সব ব্যাপারে চার মাজহাবের সম্মানিত ইমামদের মাঝেও উল্লেখযোগ্য কোন দ্বিমত ছিল না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন, সুন্নাহ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন এবং সব ধরণের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।