Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
মাজহূল
রাবীর ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কিত ৫টি ত্রুটির মধ্যে মাজহূল হচ্ছে তৃতীয় । মাজহূলের শাব্দিক অর্থ অপরিচিত, অচেনা । পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নাম ও অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না, তাকে মাজহূল বলা হয়।
নোট : যেহেতু রাবীর পরিচয়ই জানা যায় না, সেহেতু তার ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে কেমন করে জানা যাবে! সেজন্য রাবীর অপরিচিতিকে তার ন্যায়পরায়ণতার ত্রুটি হিসাবে গণ্য করেছেন মুহাদ্দিসগণ ।
রাবী মাজহূল হওয়ার কারণ :
রাবী সাধারণত তিন কারণে মাজহূল বা অপরিচিত হয় :
১ রাবীর থেকে হাদীস বর্ণনাকারীর সংখ্যা অতি অল্প হওয়া। এই জাতীয় রাবীদের জমা করে ইমাম মুসলিম (রহঃ) একটি অতি মূল্যবান কিতাব রচনা করেছেন । যার নাম 'আল-উহুদান' ।
২ রাবীর উপাধি ও উপনাম অনেক থাকা। যার মধ্যে কোন এক নামে সে প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে অন্য কোথাও তার অপ্রসিদ্ধ উপাধি বা উপনামের মাধ্যমে কেউ হাদীস বর্ণনা করলে
পাঠকের নিকট ঐ রাবী অপরিচিত হয়ে যায়। এই জাতীয় রাবীদের বিষয়ে খত্বীব বাগদাদী (রহঃ) একটি সুন্দর কিতাব রচনা করেছেন, যার নাম 'মূযিহু আওহামিল জামঈ ওয়াত-তাফরীক্ব'।
৩ বর্ণনাকারী কখনো কখনো রাবীর নাম উল্লেখ না করে বলে 'আমাকে একজন ব্যক্তি হাদীস শুনিয়েছে' বা 'আমাকে একজন শায়খ হাদীস শুনিয়েছে'।
মাজহূলের প্রকারভেদ :
মুহাদ্দিসগণ মাজহূল হাদীস কে তিনভাগে ভাগ করেছেন। যথা-
∎ (১) মাজহুলুল আইন
∎ (২) মাজহূলুল হাল এবং
∎ (৩) মুবহাম। নিম্নে এদের পরিচয় ও হুকুম উল্লেখ করা হল :
এক ‘মাজহূলুল আইন' : পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নাম জানা যায় কিন্তু তার থেকে হাদীস বর্ণনাকারী মাত্র একজন, তাকে 'মাজহুলুল আইন' বলা হয় ।
‘মাজহুলুল আইন'-এর হুকুম :
(ক) জমহূর মুহাদ্দিসগণের নিকটে এই রকম রাবীর বর্ণিত হাদীস অগ্রহণযোগ্য।
(খ) মাজহূলুল আইন রাবীর বর্ণিত হাদীস কে অন্য কোন দুর্বল হাদীস ে শক্তি সঞ্চার করার জন্য সাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে কি? এই মর্মে সঠিক মন্তব্য হচ্ছে, গ্রহণ করা যাবে না। তবে যদি অত্যধিক সূত্রের কারণে যোগ্য কোন মুহাদ্দিসের অন্তর প্রশান্তি পায়, তাহলে গ্রহণ করতে পারে।
দুই 'মাজহুলুল হাল' : পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নিকট থেকে হাদীস বর্ণনাকারীর সংখ্যা একের অধিক। কিন্তু কোন মুহাদ্দিসের পক্ষ থেকে তার মযবূত ও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় না। সে রাবীকে 'মাজহূলুল হাল' বলা হয়। যার অপর নাম 'মাসতূর’।
নোট : অনেক মুহাদ্দিস 'মাসতুর' এবং ‘মাজহূলুল হালে'র মধ্যে পার্থক্য করেছেন। তাদের মতে মাসতূর হচ্ছে, যার প্রকাশ্য ন্যায়পরায়ণতা জানা যায়, কিন্তু অপ্রকাশ্য ন্যায়পরায়ণতা জানা যায় না। অর্থাৎ কোন একজন রাবী সম্পর্কে সাধারণভাবে এতটুকু জানা যায় যে, সে একজন মুসলিম, ৫ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে। কিন্তু তার সম্পর্কে তার পাড়া-প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করে বা তার সাথে থেকে বা সফর করে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। তার স্মৃতিশক্তি সম্পর্কে কোন মুহাদ্দিসের মন্তব্যও পাওয়া যায়না। এই রকম রাবীকে মাসতূর বলে। পক্ষান্তরে মাজহূলুল হাল হচ্ছে, যার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল প্রকার ন্যায়পরায়ণতা পর্দার আড়ালেই থেকে যায়।
‘মাজহুলুল হাল’-এর হুকুম :
ক. মাসতুর বা মাজহুলুল হালের বর্ণিত রিওয়ায়াতও জমহূর মুহাদ্দিসগণের নিকট অগ্রহণীয়। হানাফী মাযহাবের অনেক আলেম বলেছেন, যদি মাসতূর প্রথম দুই শতাব্দী হিজরীর বা তাবেঈদের যুগের মানুষ হন, তাহলে তার হাদীস গ্রহণ করা হবে।
খ. মাসতূরের বর্ণিত রিওয়ায়াতের মুতাবা'আত বা শাহেদ পাওয়া গেলে তা হাসান লি-গইরিহি পর্যায়ে উন্নিত হবে।
তিন 'মুবহাম' : মুহামের শাব্দিক অর্থ অস্পষ্ট। পারিভাষিক অর্থে, হাদীসের বর্ণনাকারী যে রাবীর নাম গোপন রাখে, সে রাবীকে মুবহাম রাবী বলা হয়।
উদাহরণ : রাবী হাদীস বর্ণনার সময় সানাদের কোন ব্যক্তির নাম গোপন করে এবং এই জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে যে, ‘আমাকে ইরাকের একজন বৃদ্ধ হাদীস শুনিয়েছেন' অথবা 'আমাকে মিশরের একজন ভাল আলেম হাদীস শুনিয়েছেন'।
‘মুবহাম'-এর হুকুম :
ততক্ষণ পর্যন্ত মুবহাম রাবীর হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না তার নাম জানা যায়।
নোট : (১) বর্ণনাকারী যদি রাবীর নাম উল্লেখ না করে এভাবে বলে, আমাকে একজন মযবূত রাবী হাদীস শুনিয়েছেন, তাহলে তার হুকুম কি হবে? জমহূর মুহাদ্দিসগণ বলেছেন, তার এই মযবূত বলা গ্রহণ করা হবে না। কেননা এই মুবহাম রাবী বর্ণনাকারীর নিকটে মযবূত হতে পারে, কিন্তু অন্য মুহাদ্দিসের তাহক্বীক্বে সে দুর্বল হতে পারে। তাই রাবীর নাম জানা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। অবশ্য যদি কোন মান্যগণ্য ইমাম এভাবে হাদীস বর্ণনা করেন, তাহলে তার 'মযবূত' মন্তব্য করাকে গ্রহণের পক্ষে অনেকেই মত দিয়েছেন। আল্লাহই ভাল জানেন ।
(২) পূর্বে আমরা দেখেছি, রাসূল (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারী রাবীর হাদীস কে মুহাদ্দিসগণ ‘মাওযূ’ বলেছেন। সাধারণ কথা-বার্তায় মিথ্যুক ব্যক্তির হাদীস কে মুহাদ্দিসগণ মাতরূক বা পরিত্যক্ত বলেছেন। কিন্তু অনুরূপভাবে মাজহূল ব্যক্তির বর্ণিত হাদীসের জন্য মুহাদ্দিসগণ স্বতন্ত্র কোন নাম প্রদান করেছেন বলে জানা যায় না; বরং মাজহূল এবং বিদা'আতীর বর্ণিত হাদীস কে 'আমভাবে যঈফ বলা হয়ে থাকে । মনে রাখা আবশ্যক যে, মাওযূ ও মাতরূকসহ অগ্রহণযোগ্য হাদীসের সকল প্রকারই ব্যাপকার্থে যঈফ-এর অন্তর্ভুক্ত।
মুবহাম ও মুহমাল :
মুবহাম রাবীর নাম গোপন রেখে শুধু ইশারা করা হয়। যেমন- কেউ বলল, আমাকে আমার চাচা বা দাদা বা আমাদের গ্রামের একজন শায়খ হাদীস শুনিয়েছে। এখানে চাচা, দাদা ও শায়খ হচ্ছে মুবহাম রাবী । অন্যদিকে মুহমাল রাবীর নাম উল্লেখ করা হয়, কিন্তু তার নিসবাত গোপন রাখা হয় । যেমন- কেউ বলল, আমাকে সুফিয়ান হাদীস শুনিয়েছেন । হাদীসের রাবীদের মধ্যে সুফিয়ান নামে দুইজন বিখ্যাত রাবী রয়েছে। সুফিয়ান ছাওরী ও সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা। রাবী অত্র সানাদে সুফিয়ান বলতে ছাওরী না ইবনু উয়াইনা তা উল্লেখ করেননি। তাই সানাদে সুফিয়ানকে মুহমাল বলা হবে।
রাবীর ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কিত ৫টি ত্রুটির মধ্যে মাজহূল হচ্ছে তৃতীয় । মাজহূলের শাব্দিক অর্থ অপরিচিত, অচেনা । পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নাম ও অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না, তাকে মাজহূল বলা হয়।
নোট : যেহেতু রাবীর পরিচয়ই জানা যায় না, সেহেতু তার ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে কেমন করে জানা যাবে! সেজন্য রাবীর অপরিচিতিকে তার ন্যায়পরায়ণতার ত্রুটি হিসাবে গণ্য করেছেন মুহাদ্দিসগণ ।
রাবী মাজহূল হওয়ার কারণ :
রাবী সাধারণত তিন কারণে মাজহূল বা অপরিচিত হয় :
১ রাবীর থেকে হাদীস বর্ণনাকারীর সংখ্যা অতি অল্প হওয়া। এই জাতীয় রাবীদের জমা করে ইমাম মুসলিম (রহঃ) একটি অতি মূল্যবান কিতাব রচনা করেছেন । যার নাম 'আল-উহুদান' ।
২ রাবীর উপাধি ও উপনাম অনেক থাকা। যার মধ্যে কোন এক নামে সে প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে অন্য কোথাও তার অপ্রসিদ্ধ উপাধি বা উপনামের মাধ্যমে কেউ হাদীস বর্ণনা করলে
পাঠকের নিকট ঐ রাবী অপরিচিত হয়ে যায়। এই জাতীয় রাবীদের বিষয়ে খত্বীব বাগদাদী (রহঃ) একটি সুন্দর কিতাব রচনা করেছেন, যার নাম 'মূযিহু আওহামিল জামঈ ওয়াত-তাফরীক্ব'।
৩ বর্ণনাকারী কখনো কখনো রাবীর নাম উল্লেখ না করে বলে 'আমাকে একজন ব্যক্তি হাদীস শুনিয়েছে' বা 'আমাকে একজন শায়খ হাদীস শুনিয়েছে'।
মাজহূলের প্রকারভেদ :
মুহাদ্দিসগণ মাজহূল হাদীস কে তিনভাগে ভাগ করেছেন। যথা-
∎ (১) মাজহুলুল আইন
∎ (২) মাজহূলুল হাল এবং
∎ (৩) মুবহাম। নিম্নে এদের পরিচয় ও হুকুম উল্লেখ করা হল :
এক ‘মাজহূলুল আইন' : পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নাম জানা যায় কিন্তু তার থেকে হাদীস বর্ণনাকারী মাত্র একজন, তাকে 'মাজহুলুল আইন' বলা হয় ।
‘মাজহুলুল আইন'-এর হুকুম :
(ক) জমহূর মুহাদ্দিসগণের নিকটে এই রকম রাবীর বর্ণিত হাদীস অগ্রহণযোগ্য।
(খ) মাজহূলুল আইন রাবীর বর্ণিত হাদীস কে অন্য কোন দুর্বল হাদীস ে শক্তি সঞ্চার করার জন্য সাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে কি? এই মর্মে সঠিক মন্তব্য হচ্ছে, গ্রহণ করা যাবে না। তবে যদি অত্যধিক সূত্রের কারণে যোগ্য কোন মুহাদ্দিসের অন্তর প্রশান্তি পায়, তাহলে গ্রহণ করতে পারে।
দুই 'মাজহুলুল হাল' : পারিভাষিক অর্থে, যে রাবীর নিকট থেকে হাদীস বর্ণনাকারীর সংখ্যা একের অধিক। কিন্তু কোন মুহাদ্দিসের পক্ষ থেকে তার মযবূত ও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় না। সে রাবীকে 'মাজহূলুল হাল' বলা হয়। যার অপর নাম 'মাসতূর’।
নোট : অনেক মুহাদ্দিস 'মাসতুর' এবং ‘মাজহূলুল হালে'র মধ্যে পার্থক্য করেছেন। তাদের মতে মাসতূর হচ্ছে, যার প্রকাশ্য ন্যায়পরায়ণতা জানা যায়, কিন্তু অপ্রকাশ্য ন্যায়পরায়ণতা জানা যায় না। অর্থাৎ কোন একজন রাবী সম্পর্কে সাধারণভাবে এতটুকু জানা যায় যে, সে একজন মুসলিম, ৫ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে। কিন্তু তার সম্পর্কে তার পাড়া-প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করে বা তার সাথে থেকে বা সফর করে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। তার স্মৃতিশক্তি সম্পর্কে কোন মুহাদ্দিসের মন্তব্যও পাওয়া যায়না। এই রকম রাবীকে মাসতূর বলে। পক্ষান্তরে মাজহূলুল হাল হচ্ছে, যার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল প্রকার ন্যায়পরায়ণতা পর্দার আড়ালেই থেকে যায়।
‘মাজহুলুল হাল’-এর হুকুম :
ক. মাসতুর বা মাজহুলুল হালের বর্ণিত রিওয়ায়াতও জমহূর মুহাদ্দিসগণের নিকট অগ্রহণীয়। হানাফী মাযহাবের অনেক আলেম বলেছেন, যদি মাসতূর প্রথম দুই শতাব্দী হিজরীর বা তাবেঈদের যুগের মানুষ হন, তাহলে তার হাদীস গ্রহণ করা হবে।
খ. মাসতূরের বর্ণিত রিওয়ায়াতের মুতাবা'আত বা শাহেদ পাওয়া গেলে তা হাসান লি-গইরিহি পর্যায়ে উন্নিত হবে।
তিন 'মুবহাম' : মুহামের শাব্দিক অর্থ অস্পষ্ট। পারিভাষিক অর্থে, হাদীসের বর্ণনাকারী যে রাবীর নাম গোপন রাখে, সে রাবীকে মুবহাম রাবী বলা হয়।
উদাহরণ : রাবী হাদীস বর্ণনার সময় সানাদের কোন ব্যক্তির নাম গোপন করে এবং এই জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে যে, ‘আমাকে ইরাকের একজন বৃদ্ধ হাদীস শুনিয়েছেন' অথবা 'আমাকে মিশরের একজন ভাল আলেম হাদীস শুনিয়েছেন'।
‘মুবহাম'-এর হুকুম :
ততক্ষণ পর্যন্ত মুবহাম রাবীর হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না তার নাম জানা যায়।
নোট : (১) বর্ণনাকারী যদি রাবীর নাম উল্লেখ না করে এভাবে বলে, আমাকে একজন মযবূত রাবী হাদীস শুনিয়েছেন, তাহলে তার হুকুম কি হবে? জমহূর মুহাদ্দিসগণ বলেছেন, তার এই মযবূত বলা গ্রহণ করা হবে না। কেননা এই মুবহাম রাবী বর্ণনাকারীর নিকটে মযবূত হতে পারে, কিন্তু অন্য মুহাদ্দিসের তাহক্বীক্বে সে দুর্বল হতে পারে। তাই রাবীর নাম জানা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। অবশ্য যদি কোন মান্যগণ্য ইমাম এভাবে হাদীস বর্ণনা করেন, তাহলে তার 'মযবূত' মন্তব্য করাকে গ্রহণের পক্ষে অনেকেই মত দিয়েছেন। আল্লাহই ভাল জানেন ।
(২) পূর্বে আমরা দেখেছি, রাসূল (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারী রাবীর হাদীস কে মুহাদ্দিসগণ ‘মাওযূ’ বলেছেন। সাধারণ কথা-বার্তায় মিথ্যুক ব্যক্তির হাদীস কে মুহাদ্দিসগণ মাতরূক বা পরিত্যক্ত বলেছেন। কিন্তু অনুরূপভাবে মাজহূল ব্যক্তির বর্ণিত হাদীসের জন্য মুহাদ্দিসগণ স্বতন্ত্র কোন নাম প্রদান করেছেন বলে জানা যায় না; বরং মাজহূল এবং বিদা'আতীর বর্ণিত হাদীস কে 'আমভাবে যঈফ বলা হয়ে থাকে । মনে রাখা আবশ্যক যে, মাওযূ ও মাতরূকসহ অগ্রহণযোগ্য হাদীসের সকল প্রকারই ব্যাপকার্থে যঈফ-এর অন্তর্ভুক্ত।
মুবহাম ও মুহমাল :
মুবহাম রাবীর নাম গোপন রেখে শুধু ইশারা করা হয়। যেমন- কেউ বলল, আমাকে আমার চাচা বা দাদা বা আমাদের গ্রামের একজন শায়খ হাদীস শুনিয়েছে। এখানে চাচা, দাদা ও শায়খ হচ্ছে মুবহাম রাবী । অন্যদিকে মুহমাল রাবীর নাম উল্লেখ করা হয়, কিন্তু তার নিসবাত গোপন রাখা হয় । যেমন- কেউ বলল, আমাকে সুফিয়ান হাদীস শুনিয়েছেন । হাদীসের রাবীদের মধ্যে সুফিয়ান নামে দুইজন বিখ্যাত রাবী রয়েছে। সুফিয়ান ছাওরী ও সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা। রাবী অত্র সানাদে সুফিয়ান বলতে ছাওরী না ইবনু উয়াইনা তা উল্লেখ করেননি। তাই সানাদে সুফিয়ানকে মুহমাল বলা হবে।