If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
শরীআতের সেসব বিষয় জানা ওয়াজিব, সেসব বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য মহিলারা বাড়ির বাহিরে গমন করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো নিম্নরূপ:
প্রথম শর্ত: অত্যাবশ্যকীয় জ্ঞান হতে হবে
সে জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশ্যক হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যে জ্ঞান অর্জন করা ছাড়া তার ওপর অর্পিত বিধান ও ইবাদত শরয়ী পদ্ধতিতে আঞ্জাম দেওয়া সম্ভবপর নয়; যেমনটি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবূ হুবাইশ রাযিয়াল্লাহু আনহা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন করে, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সবসময় ইসতিহাযা বা রক্তস্রাব হতেই থাকে। আমি কখনোই পবিত্র হই না। আমি কি সালাত ছেড়ে দেবো?’ তিনি বললেন, ‘না। এটা একটা শিরার রক্ত, হায়েয নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে সালাত ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে তখন গোসল করে তোমার শরীর হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং সালাত আদায় করবে।’[1]
যে জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন নয় বরং ফরযে কিফায়া,[2] যেমন, হাদীসশাস্ত্রের পরিভাষা কিংবা আকীদা বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করা কিংবা ভাষাশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জন করা—এমন জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হওয়া ওয়াজিব ও অপরিহার্য নয়। এমন জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হওয়ার বৈধতা-অবৈধতা নির্ভর করবে পরিবেশ-পরিস্থিতি ও কল্যাণ-অকল্যাণের দিক বিবেচনার ওপর। যখন মনে হবে বের হওয়াতে ব্যাপক কল্যাণ নিহিত আছে এবং ফিতনার কোনো রকম শঙ্কা নেই, তখন বের হওয়া জায়েয। পক্ষান্তরে যখন মনে হবে এতে অকল্যাণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার বের হওয়াটা ফিতনার কারণ হতে পারে অথবা তার স্বামী তাকে বহির্গমনের অনুমতি না দেয়, তাহলে গৃহে অবস্থান করা তার জন্য ফরয। আল্লাহ তাআলা বলেন,
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘মহিলা আবৃত থাকার জিনিস। সে যখন তার বাড়ির বাহিরে বের হয় শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। তখন সে ভাবে, আমাকে যে-ব্যক্তিই দেখেছে সে-ই বিমুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সে তার বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করবে এটাই আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়।’[5]
দ্বিতীয় শর্ত: তাকে শিক্ষা দেওয়ার মতো কোনো মাহরাম না থাকা
তার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারে এমন কোনো মাহরাম পুরুষ না থাকা, যেমন—ভাই অথবা স্বামী কিংবা পিতা। ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘যদি তার পিতা বা ভাই বা স্বামী কিংবা এমন কোনো মাহরাম না থাকে, যে তাকে ফরয বিধানসমূহ শিক্ষা দেবে এবং ওয়াজিবসমূহ সম্পাদনের পদ্ধতি অবহিত করবে―তাহলে সে বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞেস ও জানার জন্য গৃহের বাহিরে গমন করতে পারবে।’
তৃতীয় শর্ত: বহির্গমন ফিতনার কারণ হবে না
বহির্গমন যখন নিজের জন্য কিংবা অন্য কারোর জন্য কোনো প্রকার ফিতনার কারণ হবে না বা তাতে ফিতনার আশঙ্কা থাকবে না, তখন বহির্গমন করতে পারে।
চতুর্থ শর্ত: উপযুক্ত ব্যক্তি খোঁজ করা
যার থেকে শিখতে ইচ্ছুক বা তার থেকে জানতে ইচ্ছুক, তাকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিম্নের ধারাবাহিকতা অবলম্বন করা। প্রথমেই মহিলাদের মাঝে যারা অভিজ্ঞ আলিমা এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে। যদি আলিমা পাওয়া না যায় তাহলে বয়স্ক বিজ্ঞ পুরুষ আলিমকে খুঁজে বের করতে হবে। যুবকদের ওপর বয়স্কদের প্রাধান্য দিতে হবে।
ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘যদি সে কোনো জ্ঞানী মহিলা থেকে জানতে সক্ষম হয় তাহলে তার থেকেই বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল জানবে। যদি জ্ঞানী মহিলা না পাওয়া যায় তাহলে বয়স্ক অভিজ্ঞ কোনো পুরুষ থেকে জানবে। নির্জনে জিজ্ঞেস করবে না। যতটুকু জানা প্রয়োজন ঠিক ততটুকু জেনেই ক্ষান্ত হবে। দ্বীনের ব্যাপারে তার কোনো নব্য প্রশ্নের উদয় হলে তাকে প্রশ্ন করবে। এতে কোনো লজ্জাবোধ করবে না। কেননা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সত্য বলতে কোনো লজ্জাবোধ করেন না।’
পঞ্চম শর্ত: শরীআতসম্মত পোশাক পরিধান করতে হবে
শরয়ী হিজাব পরিধান করে বের হতে হবে। তাই কোনো মহিলা রূপসজ্জা করে, সুগন্ধি মেখে, ধুপ লাগিয়ে বহির্গমন করবে না। অনুরূপভাবে শাইখ অথবা প্রশ্নকৃত ব্যক্তির সাথে অতিরিক্ত কোনো আলাপে জড়াবে না। নিছক প্রশ্ন ও উত্তরের মাঝেই ক্ষান্ত থাকবে। কৃত প্রশ্নের উদ্দিষ্ট জবাব জানা হয়ে গেলে তার সাথে কথা আর বেশি দীর্ঘায়িত করবে না। অতঃপর জানা শেষে মহিলা তার বাড়ি প্রত্যাবর্তন করবে। মনের অজান্তে কোনো পাপ হয়ে গেল কি না, এ জন্য সে রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
এসব বিষয়ে আমি বিস্তারিত দলীল-আদিল্লা আমার ‘আল-আদাবুশ শারঈয়্যাহ ফী তলাবিল ইলম লিন-নিসা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। এখানে তা পুনরায় উল্লেখ প্রয়োজন নেই।[6]
[1] সহীহুল বুখারী, ২২৪; সুনানুত তিরমিযী, ১২৫; সুনানুন নাসাঈ, ২১২; সুনানু ইবনি মাজাহ, ৬২১
[2] ফরযে কিফায়া বলতে বোঝায়, যা পালন করা প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয় বরং কিছু লোক তা পালন করলে সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যায় কিন্তু কেউ পালন না করলে সবাই গুনাহগার হবে। যেমন, কেউ মারা গেলে তারা জানাযা পড়া প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং কিছু লোক তার জানাযা পড়লে, সবার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে, সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ না পড়লে এলাকার সবাই গুনাহগার হবে।—সম্পাদক
[3] সূরা আহযাব, ৩৩:৩৩
[4] সুনানু আবী দাঊদ, ৫৬৭; মুসনাদু আহমাদ, ৫৪৬৮; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, ১৬৮৪, হাদীসটি সহীহ
[5] আল-মুজামুল কাবীর লিত-তাবারানী, ৯/৩৪১, হাদীসটি সহীহ
[6] ‘নারীদের জ্ঞানার্জনে শরয়ী সীমারেখা’ নামে বইটি আমি অনুবাদ করেছি।—সম্পাদক
প্রথম শর্ত: অত্যাবশ্যকীয় জ্ঞান হতে হবে
সে জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশ্যক হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যে জ্ঞান অর্জন করা ছাড়া তার ওপর অর্পিত বিধান ও ইবাদত শরয়ী পদ্ধতিতে আঞ্জাম দেওয়া সম্ভবপর নয়; যেমনটি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবূ হুবাইশ রাযিয়াল্লাহু আনহা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন করে, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সবসময় ইসতিহাযা বা রক্তস্রাব হতেই থাকে। আমি কখনোই পবিত্র হই না। আমি কি সালাত ছেড়ে দেবো?’ তিনি বললেন, ‘না। এটা একটা শিরার রক্ত, হায়েয নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে সালাত ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে তখন গোসল করে তোমার শরীর হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং সালাত আদায় করবে।’[1]
যে জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন নয় বরং ফরযে কিফায়া,[2] যেমন, হাদীসশাস্ত্রের পরিভাষা কিংবা আকীদা বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করা কিংবা ভাষাশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জন করা—এমন জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হওয়া ওয়াজিব ও অপরিহার্য নয়। এমন জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হওয়ার বৈধতা-অবৈধতা নির্ভর করবে পরিবেশ-পরিস্থিতি ও কল্যাণ-অকল্যাণের দিক বিবেচনার ওপর। যখন মনে হবে বের হওয়াতে ব্যাপক কল্যাণ নিহিত আছে এবং ফিতনার কোনো রকম শঙ্কা নেই, তখন বের হওয়া জায়েয। পক্ষান্তরে যখন মনে হবে এতে অকল্যাণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার বের হওয়াটা ফিতনার কারণ হতে পারে অথবা তার স্বামী তাকে বহির্গমনের অনুমতি না দেয়, তাহলে গৃহে অবস্থান করা তার জন্য ফরয। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ
‘তোমরা তোমাদের বাড়িতে অবস্থান করো।’[3]নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لاَ تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ
তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের বাড়ি তাদের জন্য উত্তম।’[4]সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘মহিলা আবৃত থাকার জিনিস। সে যখন তার বাড়ির বাহিরে বের হয় শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। তখন সে ভাবে, আমাকে যে-ব্যক্তিই দেখেছে সে-ই বিমুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সে তার বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করবে এটাই আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়।’[5]
দ্বিতীয় শর্ত: তাকে শিক্ষা দেওয়ার মতো কোনো মাহরাম না থাকা
তার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারে এমন কোনো মাহরাম পুরুষ না থাকা, যেমন—ভাই অথবা স্বামী কিংবা পিতা। ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘যদি তার পিতা বা ভাই বা স্বামী কিংবা এমন কোনো মাহরাম না থাকে, যে তাকে ফরয বিধানসমূহ শিক্ষা দেবে এবং ওয়াজিবসমূহ সম্পাদনের পদ্ধতি অবহিত করবে―তাহলে সে বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞেস ও জানার জন্য গৃহের বাহিরে গমন করতে পারবে।’
তৃতীয় শর্ত: বহির্গমন ফিতনার কারণ হবে না
বহির্গমন যখন নিজের জন্য কিংবা অন্য কারোর জন্য কোনো প্রকার ফিতনার কারণ হবে না বা তাতে ফিতনার আশঙ্কা থাকবে না, তখন বহির্গমন করতে পারে।
চতুর্থ শর্ত: উপযুক্ত ব্যক্তি খোঁজ করা
যার থেকে শিখতে ইচ্ছুক বা তার থেকে জানতে ইচ্ছুক, তাকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিম্নের ধারাবাহিকতা অবলম্বন করা। প্রথমেই মহিলাদের মাঝে যারা অভিজ্ঞ আলিমা এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে। যদি আলিমা পাওয়া না যায় তাহলে বয়স্ক বিজ্ঞ পুরুষ আলিমকে খুঁজে বের করতে হবে। যুবকদের ওপর বয়স্কদের প্রাধান্য দিতে হবে।
ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘যদি সে কোনো জ্ঞানী মহিলা থেকে জানতে সক্ষম হয় তাহলে তার থেকেই বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল জানবে। যদি জ্ঞানী মহিলা না পাওয়া যায় তাহলে বয়স্ক অভিজ্ঞ কোনো পুরুষ থেকে জানবে। নির্জনে জিজ্ঞেস করবে না। যতটুকু জানা প্রয়োজন ঠিক ততটুকু জেনেই ক্ষান্ত হবে। দ্বীনের ব্যাপারে তার কোনো নব্য প্রশ্নের উদয় হলে তাকে প্রশ্ন করবে। এতে কোনো লজ্জাবোধ করবে না। কেননা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সত্য বলতে কোনো লজ্জাবোধ করেন না।’
পঞ্চম শর্ত: শরীআতসম্মত পোশাক পরিধান করতে হবে
শরয়ী হিজাব পরিধান করে বের হতে হবে। তাই কোনো মহিলা রূপসজ্জা করে, সুগন্ধি মেখে, ধুপ লাগিয়ে বহির্গমন করবে না। অনুরূপভাবে শাইখ অথবা প্রশ্নকৃত ব্যক্তির সাথে অতিরিক্ত কোনো আলাপে জড়াবে না। নিছক প্রশ্ন ও উত্তরের মাঝেই ক্ষান্ত থাকবে। কৃত প্রশ্নের উদ্দিষ্ট জবাব জানা হয়ে গেলে তার সাথে কথা আর বেশি দীর্ঘায়িত করবে না। অতঃপর জানা শেষে মহিলা তার বাড়ি প্রত্যাবর্তন করবে। মনের অজান্তে কোনো পাপ হয়ে গেল কি না, এ জন্য সে রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
এসব বিষয়ে আমি বিস্তারিত দলীল-আদিল্লা আমার ‘আল-আদাবুশ শারঈয়্যাহ ফী তলাবিল ইলম লিন-নিসা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। এখানে তা পুনরায় উল্লেখ প্রয়োজন নেই।[6]
মুসলিম নারীর পূর্ণাঙ্গ মাসাইল
• মূল: আল্লামা মুহাদ্দিস আমর আবদুল মুনঈম সালিম
• অনুবাদ ও সম্পাদনা : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
• মূল: আল্লামা মুহাদ্দিস আমর আবদুল মুনঈম সালিম
• অনুবাদ ও সম্পাদনা : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
[1] সহীহুল বুখারী, ২২৪; সুনানুত তিরমিযী, ১২৫; সুনানুন নাসাঈ, ২১২; সুনানু ইবনি মাজাহ, ৬২১
[2] ফরযে কিফায়া বলতে বোঝায়, যা পালন করা প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয় বরং কিছু লোক তা পালন করলে সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যায় কিন্তু কেউ পালন না করলে সবাই গুনাহগার হবে। যেমন, কেউ মারা গেলে তারা জানাযা পড়া প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং কিছু লোক তার জানাযা পড়লে, সবার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে, সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ না পড়লে এলাকার সবাই গুনাহগার হবে।—সম্পাদক
[3] সূরা আহযাব, ৩৩:৩৩
[4] সুনানু আবী দাঊদ, ৫৬৭; মুসনাদু আহমাদ, ৫৪৬৮; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, ১৬৮৪, হাদীসটি সহীহ
[5] আল-মুজামুল কাবীর লিত-তাবারানী, ৯/৩৪১, হাদীসটি সহীহ
[6] ‘নারীদের জ্ঞানার্জনে শরয়ী সীমারেখা’ নামে বইটি আমি অনুবাদ করেছি।—সম্পাদক