১. পিতার স্ত্রী (সৎ মা)। অনুরূপভাবে দাদার স্ত্রী (সৎ দাদী); নানার স্ত্রী (সৎ নানী)। কারণ তাদেরকে পূর্ব পুরুষদের স্ত্রী বলা হয়ে থাকে । আল্লাহ তা'আলা বলেন,
“নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছেন, তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না, তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (সেটা ক্ষমা করা হলো)। নিশ্চয়ই তা ছিল অশ্লীল, মারাত্মক ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পন্থা।” [সূরা নিসা : ২২]
২. পুত্রবধু, ছেলের পুত্রবধু (নাতবৌ), মেয়ের পুত্রবধু (নাতবৌ): অনুরূপভাবে শাখা প্রশাখার যতব ধু আছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
“আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসলাত ছেলের স্ত্রী।" [সূরা নিসা, আয়াত ২৩]
৩. স্ত্রীর মা অর্থাৎ, শাশুড়ী। অনুরূপভাবে স্ত্রীর যত “মহিলা মূল" আছে। যেমন স্ত্রীর নানী। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
“আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের শাশুড়ীকে।” [সূরা নিসা : ২৩]
বিবাহ চুক্তি হলেই এই তিন প্রকার নারী বিবাহ নিষিদ্ধ হবেন। নিষেধমূলক অন্য কোনো কারণ তাদের থাকুক বা না থাকুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
৪. স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর কন্যা। তাকে সৎ মেয়ে বলা হয়। সে মায়ের স্বামীর জন্য নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে।” [সূরা নিসা : ২৩]
সৎ মেয়ে মায়ের স্বামীর কাছে লালিত পালিত হওয়াটা হারাম হওয়ার জন্য শর্ত নয়। তবে কুরআনে নিজ গৃহে পালিত উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ অবস্থাকে বর্ণনা করার জন্য। এই মেয়েটি কোনো লোকের জন্য নিষিদ্ধ হবে তখন যখন সেই লোক তার মায়ের সাথে বাসর করবে। লোকটি যদি তার মায়ের সাথে বাসর করতে না পারে। যেমন মিলিত হওয়ার আগে মহিলাটি মারা গেল অথবা লোকটি মহিলাকে তালাক দিয়ে দিল। তখন মহিলার মেয়েটিকে বিবাহ করা এই লোকের জন্য বৈধ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
“তবে যদি তাদের সাথে তোমরা সহবাস না করে থাকো, তবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের গুনাহ নেই।” [সূরা নিসা : ২৩]
৫. নারীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মায়ের যে-কোনো স্বামীকে এবং তার মেয়ের স্বামীকে, স্বামীর ছেলেকে এবং স্বামীর বাবাকে।
উৎসঃ আল ফিকহুল মুয়াসসার, নবম অধ্যায়- বিবাহ এবং তালাক (আত তাওহীদ প্রকাশনী)
“নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছেন, তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না, তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (সেটা ক্ষমা করা হলো)। নিশ্চয়ই তা ছিল অশ্লীল, মারাত্মক ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পন্থা।” [সূরা নিসা : ২২]
২. পুত্রবধু, ছেলের পুত্রবধু (নাতবৌ), মেয়ের পুত্রবধু (নাতবৌ): অনুরূপভাবে শাখা প্রশাখার যতব ধু আছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
“আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসলাত ছেলের স্ত্রী।" [সূরা নিসা, আয়াত ২৩]
৩. স্ত্রীর মা অর্থাৎ, শাশুড়ী। অনুরূপভাবে স্ত্রীর যত “মহিলা মূল" আছে। যেমন স্ত্রীর নানী। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
“আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের শাশুড়ীকে।” [সূরা নিসা : ২৩]
বিবাহ চুক্তি হলেই এই তিন প্রকার নারী বিবাহ নিষিদ্ধ হবেন। নিষেধমূলক অন্য কোনো কারণ তাদের থাকুক বা না থাকুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
৪. স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর কন্যা। তাকে সৎ মেয়ে বলা হয়। সে মায়ের স্বামীর জন্য নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে।” [সূরা নিসা : ২৩]
সৎ মেয়ে মায়ের স্বামীর কাছে লালিত পালিত হওয়াটা হারাম হওয়ার জন্য শর্ত নয়। তবে কুরআনে নিজ গৃহে পালিত উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ অবস্থাকে বর্ণনা করার জন্য। এই মেয়েটি কোনো লোকের জন্য নিষিদ্ধ হবে তখন যখন সেই লোক তার মায়ের সাথে বাসর করবে। লোকটি যদি তার মায়ের সাথে বাসর করতে না পারে। যেমন মিলিত হওয়ার আগে মহিলাটি মারা গেল অথবা লোকটি মহিলাকে তালাক দিয়ে দিল। তখন মহিলার মেয়েটিকে বিবাহ করা এই লোকের জন্য বৈধ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
“তবে যদি তাদের সাথে তোমরা সহবাস না করে থাকো, তবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের গুনাহ নেই।” [সূরা নিসা : ২৩]
৫. নারীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মায়ের যে-কোনো স্বামীকে এবং তার মেয়ের স্বামীকে, স্বামীর ছেলেকে এবং স্বামীর বাবাকে।
উৎসঃ আল ফিকহুল মুয়াসসার, নবম অধ্যায়- বিবাহ এবং তালাক (আত তাওহীদ প্রকাশনী)