যদি জানা যায় যে মৃত ব্যক্তি বেনামাযী ছিল, তবে তার জানাযা আদায় করা নাজায়েয। বেনামাযী মৃতের অভিভাবকদের জন্য বৈধ নয়; তার লাশকে মুসলমানদের সামনে জানাযার জন্য উপস্থিত করা। কেননা সে কাফের মুরতাদ। আবশ্যক হচ্ছে, তার জানাযা না পড়া এবং মুসলমানদের গোরস্থান ছাড়া অন্য যে কোন স্থানে গর্ত খনন করে তার লাশ সেখানে নিক্ষেপ করা। তার কোনই মর্যাদা নেই। কেননা ক্বিয়ামত দিবসে তার হাশর হবে ফিরাউন, হামান, ক্বারূন ও উবাই বিন খালাফের সাথে।
কিন্তু যে ব্যক্তির অবস্থা অজ্ঞাত বা সন্দেহপূর্ণ তার জানাযা পড়তে হবে। কেননা আসল হচ্ছে সে মুসলিম এবং নামাযী। যতক্ষণ না প্রমাণিত হবে যে সে মুসলমান নয়। তবে সন্দেহ হলে দু’আর ক্ষেত্রে শর্ত করা যায়। দু’আয় এরূপ বলবে: اللهم إن كان مؤمنا فاغفر له وارحمه “হে আল্লাহ্! লোকটি যদি মু’মিন হয় তবে তাকে ক্ষমা কর, দয়া কর,,,,। আর দু’আয় শর্ত করা বৈধ আছে। লে’আনের মাসআলায় স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরকে ব্যাভিচারের দোষারোপ করে এবং তাদের মধ্যে কেউ চারজন স্বাক্ষী উপস্থিত করতে না পারে, তবে লে’আন করবে। পুরুষ পঞ্চমবারে বলবে, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই, তবে আমার উপর আল্লাহ্র লা’নত।” আর স্ত্রীও পঞ্চমবারে বলবে, “আমার উপর আল্লাহ্র লা’নত, যদি আমি মিথ্যাবাদী হই।”
গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন।
কিন্তু যে ব্যক্তির অবস্থা অজ্ঞাত বা সন্দেহপূর্ণ তার জানাযা পড়তে হবে। কেননা আসল হচ্ছে সে মুসলিম এবং নামাযী। যতক্ষণ না প্রমাণিত হবে যে সে মুসলমান নয়। তবে সন্দেহ হলে দু’আর ক্ষেত্রে শর্ত করা যায়। দু’আয় এরূপ বলবে: اللهم إن كان مؤمنا فاغفر له وارحمه “হে আল্লাহ্! লোকটি যদি মু’মিন হয় তবে তাকে ক্ষমা কর, দয়া কর,,,,। আর দু’আয় শর্ত করা বৈধ আছে। লে’আনের মাসআলায় স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরকে ব্যাভিচারের দোষারোপ করে এবং তাদের মধ্যে কেউ চারজন স্বাক্ষী উপস্থিত করতে না পারে, তবে লে’আন করবে। পুরুষ পঞ্চমবারে বলবে, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই, তবে আমার উপর আল্লাহ্র লা’নত।” আর স্ত্রীও পঞ্চমবারে বলবে, “আমার উপর আল্লাহ্র লা’নত, যদি আমি মিথ্যাবাদী হই।”
গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন।