সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
A

বিবাহ ও দাম্পত্য বিয়েতে মেয়েরা মুখে উচ্চারণ করে কবুল বলবে, এটা কি বিধান?

A

Anonymous User

Guest

প্রশ্ন : বিয়েতে মেয়েরা মুখে উচ্চারণ করে কবুল বলবে, এটা কি বিধান? কতবার বলবে, কাদের শুনিয়ে বলতে হবে, কাজিকে কি শুনতে হবে, মুখে না বলে স্বাক্ষর করা কি যথেষ্ট নয়?

উত্তরঃ বিয়েতে মেয়েরা জোরে আওয়াজ করে, কাজিকে শুনিয়ে অথবা লোকদের শুনিয়ে কবুল বলতে হবে—এই বিধান বিয়ের মধ্যে নেই। ইসলামী বিয়ের বিধানে নেই।
আপনি কোন বিয়ের কথা বলছেন, সেটা আমার জানা নেই। এটা হয়তো সমাজে প্রচলন থাকতে পারে। এখানে কবুলের কিছুই নেই। কারণ মেয়েদের জন্য কবুলের কোনো মাসয়ালা এখানে আসেনি।
মেয়েদের শুধু অনুমতি দেওয়ার বিধান আছে। মেয়ের অভিভাবক বা ওলি তাঁকে জিজ্ঞেস করবে যে অমুকের কাছ থেকে তোমার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। আমি তাঁর কাছে তোমাকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব দিচ্ছি। তুমি রাজি আছো কি না।

ওলি যিনি হবেন, শুধু তিনিই জিজ্ঞেস করবেন, অন্য কেউ না। সেখানে কাজি, সাক্ষীর কোনো দরকার নেই। সে ক্ষেত্রে মেয়ে যদি চুপ থাকে তাহলে এটা অনুমতি, মেয়ে যদি মৌখিকভাবে বলে আমি রাজি আছি, তাহলে এটা অনুমতি। অনুমতির কতগুলো ধাপ আছে। স্বাক্ষরের বিষয়টি এখানে না, সেটি অন্য বিধান, শরিয়ার বিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

কিন্তু যদি মেয়ে জোরে আওয়াজ করে, কান্নাকাটি করে, যার মাধ্যমে তাঁর নারাজির বিষয়টি বোঝা যায় অথবা সে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলে যে, এই ব্যক্তির কাছে আমাকে বিয়ে দিতে পারবেন না, আমি রাজি নই। যখন তাঁর নারাজি স্পষ্ট হবে, তখন ওলির জন্য জায়েজ নেই এই জায়গাতে তাঁকে বিয়ে দেওয়া। কন্যার অনুমতি ছাড়া জোর করে বিয়ে দেওয়া জায়েজ নেই। যদি সে স্পষ্ট করে নিষেধ করে থাকে, তাহলে সেখানে বিয়ে দেওয়া জায়েজ নেই।

যখন ছেলের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হবে, তখন ছেলে কবুল বলবে এবং সেখানে অবশ্যই সাক্ষী থাকতে হবে। মেয়ের অভিভাবক বা ওলি যাবে ছেলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম। যাঁরা ছেলের এই কবুল শুনবেন, তাঁরা সাক্ষী থাকবেন। এই কবুলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হবে।

কবুল শুধু ছেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক অনুমতি নিলেই যথেষ্ট।

শাইখ ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ حفظه الله

 
Top