আল্লাহ তা'আলা যাকারিয়া (আ:) সম্পর্কে বলেন, "তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত, তারা আশা ও ভীতির সাথে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত"। [সূরা আম্বিয়া ২১:৯০]
এবং আল্লাহ অন্যত্র বলেন, "আর তারা কাঁদতে কাঁদতে নতমস্তকে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে"। [সূরা বনী ইসরাইল ১৭:১০৯]
এ ইবাদতের ক্ষেত্রে কতিপয় উপদেশ:
১. হে আল্লাহর বান্দা! আপনার রবের প্রতি আন্তরিকভাবে বিনীত হওয়া, অনুগত্যে অবনত হওয়া উচিত। অনুরূপ আপনার ইবাদতে যাঁর কোন শরীক নেই যিনি একক তাঁর নিকট বিনিময়ের আকাঙ্ক্ষা জরুরী।
২. অহঙ্কার হতে সতর্ক হোন। আবূ হুারাইরা (রাদি:) হতে বর্ণিত হাদীসে কুদসীতে নবী (সা:) বলেন, (আল্লাহ বলেছেন)- "আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দু’টির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো"। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৪১৭৪; আহমাদ, হা/৮৮৯৪]
৩. ইবাদতের ক্ষেত্রে এমন কি আপনার আদত অভ্যাসেও তাকওয়া-আল্লাহর ভয় অর্জন করা উচিত। যেমন: আপনার পানাহার, পোশাক- পরিচ্ছদ ইত্যাদিতে আল্লাহর নিকট সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা করা। সুতরাং আপনার জীবনের প্রত্যেক কর্ম আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নেক ও সত্য নিয়তে পালন করুন। যেমন আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (সা:) কে বলেন,"বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোন অংশী নেই এবং আমি এ সম্বন্ধেই আদিষ্ট হয়েছি। আর আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)দের মধ্যে আমিই প্রথম"। [সূরা আনআম ৬: ১৬২-১৬৩]
৪. শয়ন করার সময় নআী (সা:) বর্ণিত দুআ করা উত্তম। আর তা হলো- বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নিজ বিছানায় বিশ্রাম নিতে যেতেন, তখন তিনি ডান পাশের উপর নিদ্রা যেতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আমার সত্তাকে আপনার কাছে সমর্পণ করলাম, আর আমার বিষয় ন্যস্ত করলাম আপনার দিকে এবং আমার চেহারা আপনারই দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আপনার রহমতের আশায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শয়নকালে এ দু‘আগুলো পড়বে, আর এ রাতেই তার মৃত্যু হবে সে স্বভাব ধর্ম ইসলামের উপরই মরবে। [বুখারী, হা/৬৩১৫; মুসলিম, হা/২৭১০]
৫. আপনি আপনার নামাজে বিনমী ও নম্র হোন। নবী (সা:) নামাজে ভুলকারী সাহাবীকে বলেন, "অতঃপর এমনভাবে রুকু করবে যেন তুমি রুকু অবস্থায় একেবারে বিনয়-প্রশান্তির সাথে স্থির হয়ে যাও"। [বুখারী, হা/৭৫৭, ৭৯৩; মুসলিম, হা/৩৯৭]
আর বিনয়-নম্রতা ও একাগ্রতা অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করে। অনুরূপ আপনার উচিত আপনি এমনভাবে নামাজ আদায় করবেন যেন, এ নামাজই আপনার শেষ নামাজ। যেমন: নবী (সা:) বলেন, " এমনভাবে নামাজ আদায় করো তা যেন বিদায়ী নামাজের মতো"। [ইবনু মাজাহ; আহমাদ, হা/২৩৪৯৮ (সহীহ)]
৬. নবী (সা:) হতে যে দুআ বর্ণিত হয়েছে তা আপনার রুকু ও সিজদাহতে বলা উত্তম হবে-
"আপনার জন্যই আমার শ্রবণ, আমার দৃষ্টি, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড় ও আমার স্নায়ু আপনাকেই ভয় করে থাকে"। [মুসলিম, হা/৭৭১]
মুসলমানদের উচিত যেন চিন্তা ভাবনা করে যে, নামাজে তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রকৃতই বিনয় ও একাগ্রতা অর্জন করতে পারে কি না।
- তাওহীদুল ইবাদাহ: একমাত্র আল্লাহর ইবাদত তাৎপর্য ও বিশ্লেষণ, দ্বিতীয় অধ্যায়; (দারুল কারার পাবলিকেশন্স)
এবং আল্লাহ অন্যত্র বলেন, "আর তারা কাঁদতে কাঁদতে নতমস্তকে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে"। [সূরা বনী ইসরাইল ১৭:১০৯]
এ ইবাদতের ক্ষেত্রে কতিপয় উপদেশ:
১. হে আল্লাহর বান্দা! আপনার রবের প্রতি আন্তরিকভাবে বিনীত হওয়া, অনুগত্যে অবনত হওয়া উচিত। অনুরূপ আপনার ইবাদতে যাঁর কোন শরীক নেই যিনি একক তাঁর নিকট বিনিময়ের আকাঙ্ক্ষা জরুরী।
২. অহঙ্কার হতে সতর্ক হোন। আবূ হুারাইরা (রাদি:) হতে বর্ণিত হাদীসে কুদসীতে নবী (সা:) বলেন, (আল্লাহ বলেছেন)- "আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দু’টির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো"। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৪১৭৪; আহমাদ, হা/৮৮৯৪]
৩. ইবাদতের ক্ষেত্রে এমন কি আপনার আদত অভ্যাসেও তাকওয়া-আল্লাহর ভয় অর্জন করা উচিত। যেমন: আপনার পানাহার, পোশাক- পরিচ্ছদ ইত্যাদিতে আল্লাহর নিকট সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা করা। সুতরাং আপনার জীবনের প্রত্যেক কর্ম আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নেক ও সত্য নিয়তে পালন করুন। যেমন আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (সা:) কে বলেন,"বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোন অংশী নেই এবং আমি এ সম্বন্ধেই আদিষ্ট হয়েছি। আর আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)দের মধ্যে আমিই প্রথম"। [সূরা আনআম ৬: ১৬২-১৬৩]
৪. শয়ন করার সময় নআী (সা:) বর্ণিত দুআ করা উত্তম। আর তা হলো- বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নিজ বিছানায় বিশ্রাম নিতে যেতেন, তখন তিনি ডান পাশের উপর নিদ্রা যেতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আমার সত্তাকে আপনার কাছে সমর্পণ করলাম, আর আমার বিষয় ন্যস্ত করলাম আপনার দিকে এবং আমার চেহারা আপনারই দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আপনার রহমতের আশায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শয়নকালে এ দু‘আগুলো পড়বে, আর এ রাতেই তার মৃত্যু হবে সে স্বভাব ধর্ম ইসলামের উপরই মরবে। [বুখারী, হা/৬৩১৫; মুসলিম, হা/২৭১০]
৫. আপনি আপনার নামাজে বিনমী ও নম্র হোন। নবী (সা:) নামাজে ভুলকারী সাহাবীকে বলেন, "অতঃপর এমনভাবে রুকু করবে যেন তুমি রুকু অবস্থায় একেবারে বিনয়-প্রশান্তির সাথে স্থির হয়ে যাও"। [বুখারী, হা/৭৫৭, ৭৯৩; মুসলিম, হা/৩৯৭]
আর বিনয়-নম্রতা ও একাগ্রতা অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করে। অনুরূপ আপনার উচিত আপনি এমনভাবে নামাজ আদায় করবেন যেন, এ নামাজই আপনার শেষ নামাজ। যেমন: নবী (সা:) বলেন, " এমনভাবে নামাজ আদায় করো তা যেন বিদায়ী নামাজের মতো"। [ইবনু মাজাহ; আহমাদ, হা/২৩৪৯৮ (সহীহ)]
৬. নবী (সা:) হতে যে দুআ বর্ণিত হয়েছে তা আপনার রুকু ও সিজদাহতে বলা উত্তম হবে-
"আপনার জন্যই আমার শ্রবণ, আমার দৃষ্টি, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড় ও আমার স্নায়ু আপনাকেই ভয় করে থাকে"। [মুসলিম, হা/৭৭১]
মুসলমানদের উচিত যেন চিন্তা ভাবনা করে যে, নামাজে তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রকৃতই বিনয় ও একাগ্রতা অর্জন করতে পারে কি না।
- তাওহীদুল ইবাদাহ: একমাত্র আল্লাহর ইবাদত তাৎপর্য ও বিশ্লেষণ, দ্বিতীয় অধ্যায়; (দারুল কারার পাবলিকেশন্স)