বিনয়-নম্রতা বা কোমলতা মানুষের একটি সদগুণ। এ গুণের কারণে মানুষ মানুষের চোখে সুন্দর হয়, সংসারে সুখী হয়।
কিন্তু বিনয় কি? প্রত্যেকের কাছ থেকে হক কথা মেনে নেওয়ার নামই হল বিনয়। কথায় ও কাজে গর্ব ও অহংকার বর্জন করার নামই হল বিনয়। হাসান বাসরী (রহ:) বলেন, তুমি বাড়ির বাইরে গিয়ে যাকে দেখবে, তাকেই তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম বলে মনে করবে। এরই নাম বিনয়।
বকর বিন আব্দুল্লাহ বলেন, তোমার থেকে বয়সে কাউকে বড় দেখলে মনে মনে বলো, ইসলাম ও নেক আমলেও সে আমার চেয়ে অগ্রণী, অতএব সে আমার থেকে উত্তম। তোমার চেয়ে বয়সে কাউকে ছোট দেখলে বলো, ওর চেয়ে আমি পাপে অগ্রণী, অতএব ও আমার চেয়ে উত্তম।
লোকেরা তোমার সম্মান করলে মনে করো, এটা আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। আর তারা তোমাকে অসম্মান করলে মনে করো তোমার কোনো অসমীচীন ব্যবহারের ফলশ্রুতি। [উয়ূনুল আখবার, ১/২৬৭]
নিজেকে যে সবার চেয়ে মর্যাদায় ছোট ভাবে, আমলে পাপী ভাবে এবং অপরকেই ঈমানে-ধনে-মানে-জ্ঞানে ও আমলে বড় ভাবে সেই হল বিনয়ী মানুষ।
লণ্ঠনের আলো যতই উজ্জ্বলতা এবং প্রখরতা দান করুক না কেনো, মোমের আলোর মত স্নিগ্ধতা দিতে পারে না। মানুষের মনে-মুখে যতই আস্ফালন থাকুক না কেন, ভদ্র-নম্র মানুষের মত সামাজিক উপকার অন্য কেউ করতে পারে না। কারণ, কোমল-চিত্তের মানুষই অপরকে কাছে টানতে পারে, নিজের আদর্শ অপরের মনে বদ্ধমূল করতে সক্ষম হয়। যেহেতু সে সুন্দর হয় অপরের চোখে ।
মহান আল্লাহ মহানবী (স.)-কে বলেন, আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল-চিত্ত হয়েছিলে, অন্যথা যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর হৃদয় হতে, তাহলে তারা তোমার আশপাশ হতে সরে পড়তো।
বিনম্র মানুষই নেতৃত্বের অধিকার ও যোগ্যতা রাখে বেশী। বিনয়ী দুনিয়াতে যেমন চরম শান্তি পায়, তেমনি আখেরাতে পায় পরম সুখের ঘর।
মহান আল্লাহ বলেন, এ পরলোকের গৃহ, যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। আর শুভ পরিণাম পরহেযগারদের। [সূরা কাসাস, আয়াত- ৮৩]
মহানবী (স.) বলেন, “যে ব্যক্তি সরল, সিধা ও বিনম্র হবে, আল্লাহ তাকে দোযখের জন্য হারাম করে দেবেন” [সহিহুল জামে: ৬৪৮৪]
উদ্ধৃত মানুষ আসলে শয়তানের গোলাম। পক্ষান্তরে বিনম্র মানুষ আল্লাহর গোলাম। আল্লাহ নিজ খাস গোলামের খাস গুণ বর্ণনা করে বলেন,
রহমান (আল্লাহর) বান্দাগণ তারা, যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে তখন তারা প্রশান্ত ভাবে জবাব দেয়। [সূরা ফুরকান, আয়াত- ৬৩]
বিনয়ী মানুষ কারো উপর অত্যাচার করে না, নিজ মুখে নিজ প্রশংসা করে না, আত্মশ্লাঘা ও গর্ব করে না, বহু বড় হয়েও লোক মাঝে গুপ্ত থাকতে পছন্দ করে, প্রসিদ্ধ হতে চায় না, সুনাম নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে না, তার মনে কোনো প্যাঁচ থাকে না, তার হৃদয় কোঠায় থাকে সরলতা ও অকপটতা।
[বই- সুখের সন্ধান, লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইজী আল মাদানী; প্রকাশনী: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরি]
কিন্তু বিনয় কি? প্রত্যেকের কাছ থেকে হক কথা মেনে নেওয়ার নামই হল বিনয়। কথায় ও কাজে গর্ব ও অহংকার বর্জন করার নামই হল বিনয়। হাসান বাসরী (রহ:) বলেন, তুমি বাড়ির বাইরে গিয়ে যাকে দেখবে, তাকেই তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম বলে মনে করবে। এরই নাম বিনয়।
বকর বিন আব্দুল্লাহ বলেন, তোমার থেকে বয়সে কাউকে বড় দেখলে মনে মনে বলো, ইসলাম ও নেক আমলেও সে আমার চেয়ে অগ্রণী, অতএব সে আমার থেকে উত্তম। তোমার চেয়ে বয়সে কাউকে ছোট দেখলে বলো, ওর চেয়ে আমি পাপে অগ্রণী, অতএব ও আমার চেয়ে উত্তম।
লোকেরা তোমার সম্মান করলে মনে করো, এটা আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। আর তারা তোমাকে অসম্মান করলে মনে করো তোমার কোনো অসমীচীন ব্যবহারের ফলশ্রুতি। [উয়ূনুল আখবার, ১/২৬৭]
নিজেকে যে সবার চেয়ে মর্যাদায় ছোট ভাবে, আমলে পাপী ভাবে এবং অপরকেই ঈমানে-ধনে-মানে-জ্ঞানে ও আমলে বড় ভাবে সেই হল বিনয়ী মানুষ।
লণ্ঠনের আলো যতই উজ্জ্বলতা এবং প্রখরতা দান করুক না কেনো, মোমের আলোর মত স্নিগ্ধতা দিতে পারে না। মানুষের মনে-মুখে যতই আস্ফালন থাকুক না কেন, ভদ্র-নম্র মানুষের মত সামাজিক উপকার অন্য কেউ করতে পারে না। কারণ, কোমল-চিত্তের মানুষই অপরকে কাছে টানতে পারে, নিজের আদর্শ অপরের মনে বদ্ধমূল করতে সক্ষম হয়। যেহেতু সে সুন্দর হয় অপরের চোখে ।
মহান আল্লাহ মহানবী (স.)-কে বলেন, আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল-চিত্ত হয়েছিলে, অন্যথা যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর হৃদয় হতে, তাহলে তারা তোমার আশপাশ হতে সরে পড়তো।
বিনম্র মানুষই নেতৃত্বের অধিকার ও যোগ্যতা রাখে বেশী। বিনয়ী দুনিয়াতে যেমন চরম শান্তি পায়, তেমনি আখেরাতে পায় পরম সুখের ঘর।
মহান আল্লাহ বলেন, এ পরলোকের গৃহ, যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। আর শুভ পরিণাম পরহেযগারদের। [সূরা কাসাস, আয়াত- ৮৩]
মহানবী (স.) বলেন, “যে ব্যক্তি সরল, সিধা ও বিনম্র হবে, আল্লাহ তাকে দোযখের জন্য হারাম করে দেবেন” [সহিহুল জামে: ৬৪৮৪]
উদ্ধৃত মানুষ আসলে শয়তানের গোলাম। পক্ষান্তরে বিনম্র মানুষ আল্লাহর গোলাম। আল্লাহ নিজ খাস গোলামের খাস গুণ বর্ণনা করে বলেন,
রহমান (আল্লাহর) বান্দাগণ তারা, যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে তখন তারা প্রশান্ত ভাবে জবাব দেয়। [সূরা ফুরকান, আয়াত- ৬৩]
বিনয়ী মানুষ কারো উপর অত্যাচার করে না, নিজ মুখে নিজ প্রশংসা করে না, আত্মশ্লাঘা ও গর্ব করে না, বহু বড় হয়েও লোক মাঝে গুপ্ত থাকতে পছন্দ করে, প্রসিদ্ধ হতে চায় না, সুনাম নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে না, তার মনে কোনো প্যাঁচ থাকে না, তার হৃদয় কোঠায় থাকে সরলতা ও অকপটতা।
[বই- সুখের সন্ধান, লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইজী আল মাদানী; প্রকাশনী: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরি]