সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

ফাযায়েলে আমল ফাযায়েলে কুরআন

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,566
Credits
2,602
ভূমিকা

মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কথা, তাঁর বাণী। কুরআন মহান আল্লাহর কথা, সৃষ্টি নয়। তাঁর পক্ষ থেকেই এসেছে, তাঁর দিকেই ফিরে যাবে। এই কুরআন জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-এর মাধ্যমে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শ্রবণ করেছেন। যা পাঠ করলে পুণ্য হয় এবং সেই অনুসারে পথ চললে জীবন সুন্দর ও সুখময় হয়। আল-কুরআন মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে অবর্তীণ সর্বশেষ অলৌকিক গ্রন্থ, যা অবিকৃত অবস্থায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে অবশিষ্ট থাকবে।

কুরআনের মর্যাদা (فَضَائِلُ الْقُرَانِ)

(১) আল্লাহ তা‘আলার কালাম : কুরআনের এটাই সর্বশ্রেষ্ট মু’জিযাহ। আল্লাহর তা‘আলা বলেন,

وَ اِنۡ اَحَدٌ مِّنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ اسۡتَجَارَکَ فَاَجِرۡہُ حَتّٰی یَسۡمَعَ کَلٰمَ اللّٰہِ​

‘আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়’ (সূরা আত-তাওবাহ : ৬)। এটি তাঁর ছিফাত। তাঁর কথা সত্যতা-ন্যায় ও ইনছাফের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ। তাঁর কথার কোন পরিবর্তনকারী নেই (সূরা আল-বাক্বারাহ : ৭৫; সূরা আল-ফাতহ : ১৫; সূরা আল-কাহ্ফ : ২৭; সূরা আল-আন‘আম : ১১৫)।[১]
যা সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ (সূরা আল-বুরূজ : ২১-২২)।

(২) সন্দেহমুক্ত কিতাব : কুরআনের অন্যতম মাহাত্ম্য হল, এটা সন্দেহমুক্ত কিতাব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ​

‘এটা (কুরআন) সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২)।[২]

(৩) হেদায়াত : কুরআনের অন্যতম বিশেষত্ব হল এটা মানুষের জন্য হেদায়াত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ‘এটা (কুরআন) মুত্তাক্বীদের জন্য পথ প্রদর্শক’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২)। আর হেদায়াত হল আলো[৩], ভ্রষ্টতা থেকে সঠিক পথ প্রদর্শন[৪], বিস্তারিত তথ্য[৫], সঠিক পথের বর্ণনা ও সঠিক পথ প্রদর্শন[৬], ভ্রষ্টতা ও সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে সঠিক পথ লাভ করা এবং তার মাধ্যমে উপকারী পথে চলা[৭] এবং দুনিয়া ও আখেরাতের পরিপূর্ণতার এবং সৌভাগ্যের পথ প্রদর্শনের সংযোগকারী বা পরিচালনাকারী ইত্যাদি।[৮]

(৪) পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী : এটি পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী কিতাবের সত্যায়নকারী। পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী বলতে কুরআনের পূর্বে যে সকল আসমানী কিতাব অবতরণ করা হয়েছিল, এই কুরআন সেই সকল কিতাবের সত্যায়নকারী।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

نَزَّلَ عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ​

‘তিনি হক্বসহ আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যা পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যতা প্রতিপাদনকারী’ (সূরা আলে ইমরান : ৩; সূরা আল-বাক্বারাহ : ৪১)।[৯]

(৫) সুস্পষ্ট ও উজ্জল নিদর্শন : কুরআন হল সুস্পষ্ট ও উজ্জ্বল নিদর্শন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ​

‘এবং নিশ্চয় আমরা আপনার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ৯৯)।
কুরআনের প্রতিটি হরফ, শব্দ, আয়াত এবং অর্থ হল সুস্পষ্ট ও উজ্জ্বল। যা দ্বারা তিনি তাঁর বান্দাদেরকে অন্ধকার তথা মূর্খতা, কুফরী এবং রায় থেকে আলোর পথে অর্থাৎ হেদায়াত, সুদৃঢ় বিশ্বাস এবং ঈমানের দিকে নিয়ে আসেন। এটা হালাল, হারাম, দণ্ডাদেশ এবং বিধানের বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট বিবরণ।[১০]

(৬) সত্য কিতাব : কুরআনের বাণী চিরন্তন সত্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ بِالۡحَقِّ اَنۡزَلۡنٰہُ وَ بِالۡحَقِّ نَزَلَ​

‘আমরা সত্যসহই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং সত্যসহই তা অবতীর্ণ হয়েছে’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ১০৫)। এটা সত্য দলীল।[১১] যা মানুষকে হেদায়াতের পথ দেখায়, সত্যকে মিথ্যা থেকে এবং হেদায়াতকে ভ্রষ্টতা থেকে প্রকাশ করে।[১২] আল্লাহ তা‘আলা এটাকে অবতীর্ণ করে সত্য প্রকাশ করেছেন এবং অসত্য দূর করেছেন।[১৩] কুরআনে কোন অবাস্তব, অসত্য কথা ও বিধান নেই। বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না (সূরা বানী ইসরাঈল : ১০৫)।[১৪]

(৭) সুসংবাদ ও সতর্কবার্তা : কুরআনের অন্যতম বিশেষত্ব হল এটা মুসলিম, মুমিন এবং মুহসিনদের জন্য (اَلْبُشْرَى) বা সুসংবাদ (সূরা আন-নাহল : ৮৯; সূরা আল-বাক্বারাহ : ৯৭; সূরা আল-আহক্বাফ : ১২ )। এই সুসংবাদ হল জান্নাতের সুসংবাদ।[১৫] ঠিক তদ্রুপই কুরআন হল সতর্ককারী। যারা তার বিরোধী, তাদের জন্য সতর্কবার্তা; তাদেরকে হুঁশিয়ার করে যে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম (সূরা বানী ইসরাঈল : ৯-১০)।

(৮) আল-ফুরক্বান : কুরআনের অন্যতম বিশেষত্ব হল এটা আল-ফুরক্বান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

تَبٰرَکَ الَّذِیۡ نَزَّلَ الۡفُرۡقَانَ عَلٰی عَبۡدِہٖ​

‘কত বরকতময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফুরক্বান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ১)। এটা হক্ব ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী।[১৬] এটা সুপথ ও কুপথের মধ্যে, সৌভাগ্যবান ও দুর্ভাগ্যবানের মধ্যে, বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে, ভাল ও মন্দের মধ্যে, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে, কল্যাণ ও অকল্যাণের মধ্যে, গ্রহণীয় ও বর্জনীয়র মধ্যে, আলো ও অন্ধকার এবং দলীল ও সন্দেহের মধ্যে পার্থক্যকারী।[১৭]

(৯) জীবন-ব্যবস্থা : কুরআনের অন্যতম মর্যাদা হল, এটা মানুষ ও জিন জাতির জীবন-ব্যবস্থা এবং সংবিধান।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ کَذٰلِکَ اَنۡزَلۡنٰہُ حُکۡمًا عَرَبِیًّا​

‘আর এভাবেই আমরা কুরআনকে অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায় বিধানরূপে’ (সূরা আর-রা‘দ : ৩৭)। এ বিধান সকল মানুষের জন্য ন্যায় ও ইনছাফে পরিপূর্ণ। সকল স্থান ও কালের জন্য চিরন্তন সত্য বিধান। মানুষের ব্যক্তি ও বৈষয়িক জীবন অর্থাৎ ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীক, অর্থনৈতিক এবং মানুষের প্রয়োজনীয় সকল বিধান, নীতি ও আইন আছে এ কুরআনে (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২১৩)।

(১০) সর্বোত্তম বাণী : কুরআনের অন্যতম বিশেষত্ব হল এটা সর্বোত্তম বাণী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

اَللّٰہُ نَزَّلَ اَحۡسَنَ الۡحَدِیۡثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِہًا مَّثَانِیَ​

‘আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী অবতীর্ণ করেছেন-এমন কিতাব যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার বিষয়াবলী পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে’ (সূরা আয-যুমার : ২৩)।

(১১) সকল কিছুর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা গ্রন্থ : কুরআনের অন্যতম বিশেষত্ব হল এটা সকল বিষয়াবলীর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা গ্রন্থ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّکُلِّ شَیۡءٍ​

‘আমরা আপনার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি যা প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা’ (সূরা আন-নাহল : ৮৯)। কুরআন আমাদেরকে হালাল-হারাম, আদেশ-নিষেধসহ সবকিছুর সুস্পষ্ট জ্ঞান বর্ণনা করেছে এবং সবকিছু জানিয়েছে।[১৮]

(১২) যিকর ও উপদেশ : কুরআনের অন্যতম মর্যাদা হল এটা যিকর এবং কল্যাণময় ও বিজ্ঞানময় উপদেশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ الۡقُرۡاٰنِ ذِی الذِّکۡرِ​

‘শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের’ (সূরা ছোয়াদ : ১)। কুরআনে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের সবকিছুর উপকারী বিবরণ।[১৯]

(১৩) সকল কিছুর বিশদ বিবরণী গ্রন্থ : কুরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটা সকল কিছুর বিশদ বিবরণী গ্রন্থ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

کِتٰبٌ اُحۡکِمَتۡ اٰیٰتُہٗ ثُمَّ فُصِّلَتۡ مِنۡ لَّدُنۡ حَکِیۡمٍ خَبِیۡرٍ​

‘এ (কুরআন) এমন গ্রন্থ যার আয়াতগুলো (সুবিন্যস্ত) করা হয়েছে, অতঃপর বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞাতার পক্ষ থেকে’ (সূরা হূদ : ১)। এর মধ্যে প্রত্যেকটি বিষয় এবং কথা খুলে খুলে ও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। যাতে কোন গোপনীয়তা, অস্পষ্টতা, দুর্বোধ্যতা, রহস্য, অনিশ্চয়তা, ক্রটি ও খুত নেই।[২০] হালাল-হারাম, শরী‘আতের আহকাম, দ্বীনের উছূল এবং শাখার স্পষ্ট ও পরিস্কার বিবরণী রয়েছে। তিনি এটার মাধ্যমে বাতিল থেকে সত্যকে এবং দুর্বল থেকে সঠিক ও সহীহ জিনিসের বিস্তারিত বিবরণী পেশ করেছেন।[২১]

কুরআনের সূরার মর্যাদা

কুরআনের বিভিন্ন সূরার বিশেষ বিশেষ ফযীলত রয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপভাবে তা পেশ করা হল-

সূরা আল-ফাতিহার ফযীলত :

১. এটা কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ সূরা।[২২]

২. ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা।[২৩]

৩. এটা এমন একটি সূরা যার মত কোন সূরা তাওরাত, ইনযীল, যাবূর এমনকি কুরআনেও অবতীর্ণ হয়নি।[২৪]

৪. এটি নূরের জ্যোতির সুসংবাদ যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেয়া হয়েছে এবং তাঁর পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি।[২৫]

৫. এটা হল সপ্তপদী (সূরা) যা সালাতে পুনঃপুনঃ আবৃত হয়।[২৬]৬. এ সূরার একটি অক্ষর পাঠের মাধ্যমে চাওয়া বস্তুও দেয়া হবে।[২৭]

সূরা আল-বাক্বারাহর ফযীলত :

১. শয়তান সেই ঘর হতে পলায়ন করে এবং প্রবেশ করতে পারে না, যে ঘরে সূরা আল-বাক্বারাহ তেলাওয়াত করা হয়।[২৮]

২. এটি হল কুরআনের চূড়া এবং শয়তান-বিরোধী মন্ত্র।[২৯]

৩. এ সূরা তেলাওয়াত করলে ফেরেশতাগণ ছায়ার আকৃতিতে আলোকবর্তিকার মত অবতরণ করেন।[৩০]

৪. এ সূরা পাঠে বরকত লাভ হয় এবং পাঠ না করা অনুতাপ ও দুর্ভাগ্যের কারণ। যে ব্যক্তি এ সূরা পাঠ করে তার উপর কোন আহলে বাতিল তথা জাদুকরের জাদু কখনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা।[৩১]

সূরা আল-বাক্বারাহ ও সূরা আলে ‘ইমরানের ফযীলত :

১. এ দু’টি উজ্জ্বল সূরা। ক্বিয়ামতের দিন এ দু’টি মেঘখণ্ড অথবা দু’টি শামিয়ানা অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পক্ষী ঝাঁক ধরে আসবে।[৩২]

২. ক্বিয়ামত দিবসে কুরআন ও কুরআনের ধারক-বাহকগণ যারা দুনিয়াতে তদনুযায়ী আমল করবে এমন ভাবে উপস্থিত হবে যে, সূরা আল-বাক্বারাহ এবং সূরা আলে ‘ইমরান তাদের আগে আগে থাকবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সূরা দু’টি আগমনের তিনটি উদাহরণ দিয়েছেন। (ক) এ সূরা দু’টি ছায়ার মত আসবে, আর এতদুভয়ের মাঝে থাকবে আলো (খ) অথবা এ দু’টি কালো মেঘ খ-ের ন্যায় (গ) অথবা ডানা বিস্তার করে ছায়াদানকারী পাখীর ন্যায় আসবে এবং তাদের সাথীর পক্ষ হয়ে বিতর্ক করবে।[৩৩]

সূরা আল-কাহ্ফের ফযীলত :

১. যে ব্যক্তি সূরা আল-কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে।[৩৪]

২. এ সূরা পাঠ করার সময় সাকীনাহ বা প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়।[৩৫]

সূরা আল-মুলকের ফযীলত :

১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সূরা পাঠ না করে ঘুমাতেন না।[৩৬]

২. এ সূরা পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করা হবে এমনকি তাকে ক্ষমা করা হবে।[৩৭]

৩. এ সূরা পাঠকারীর জন্য ঝগড়া করা হবে এমনকি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।[৩৮]

৪. এ সূরা পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করা হবে। তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।[৩৯]

সূরা আল-কাফিরূনের ফযীলত :

১. এ সূরা কুরআনের এক-চতুর্থাংশের সমান।[৪০]

২. এটা শিরক হতে মুক্তিপত্র।[৪১]

৩. রাসূলুল্লাহ তাওয়াফের সালাতে, ফজরের সুন্নাতে, মাগরিবের পরের সুন্নাতে এবং বিতরের সালাতে এ সূরা পড়তেন।[৪২]

সূরা আল-ইখলাছের ফযীলত :

১. এ সূরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।[৪৩]

২. যে ব্যক্তি সূরা ইখলাছ পাঠ করতে ভালবাসে। আল্লাহ তা‘আলাও তাকে ভালবাসেন।[৪৪]

৩. এই সূরার ভালবাসা জান্নাতে যাওয়ার কারণ।[৪৫]

৪. এই সূরা দশবার তেলাওয়াত করলে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন।[৪৬] অন্য বর্ণনায় আছে, তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন।[৪৭]

৫. এই সূরা যে কোন বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট।[৪৮]

সূরা আল-ফালাক্ব এবং আন-নাসের ফযীলত :

১. এই সূরা দু’টি মর্যাদাসম্পন্ন সূরা।[৪৯]

২. এই সূরা দু’টি আশ্রয় প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।[৫০]

৩. আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া জন্য এই দুই সূরা সবচেয়ে উত্তম।[৫১]

৪. এই সূরা দু’টি যে কোন বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট।[৫২]

অন্যান্য সূরার ফযীলত

১. সূরা আন-নিসা হচ্ছে সৌন্দর্যপূর্ণ।[৫৩]

২. যে ব্যক্তি সূরা আল-বাক্বারাহ, আলে ‘ইমরান ও আন-নিসা, আল-মায়িদাহ, আল-আন‘আম, আল-আ‘রাফ ও আত-তাওবাহ গ্রহণ করবে সে আলিম হিসাবে গণ্য হবে।[৫৪]

৩. (সূরা বানী ইসরাঈল, আল-কাহফ, মারইয়াম, ত্বা-হা এবং আম্বিয়া) এই সূরাগুলো প্রাচীন সম্পদ বা সর্বপ্রথম পুঁজি।[৫৫] রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিরাত্রে সূরা বানী ইসরাইল ও আয-যুমার পড়তেন।[৫৬]

৪. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু‘আর দিন ফযরের সালাতে সূরা আস-সাজদাহ ও সূরা আদ-দাহার পাঠ করতেন।[৫৭] তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা আস-সাজদাহ পাঠ না করে ঘুমাতেন না।[৫৮]

৫. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিরাত্রে সূরা আয-যুমার পড়তেন।[৫৯]

৬. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি জুমু‘আর খুৎবায় সূরা ক্বাফ তেলাওয়াত করতেন।[৬০] অনুরূপভাবে দুই ঈদের সালাতে ও অধিকাংশ সময় ফজরের সালাতে এই সূরা পাঠ করতেন।[৬১]

৭. সূরা আল-ফাতহ এমন একটি সূরা, যা সূর্যালোক পতিত সকল স্থান হতেও উত্তম।[৬২]

৮. সূরা হূদ, আল-ওয়াক্বি‘আহ, আল-মুরসিলাত, আম্মা ইয়াতাছাআলুনা এবং ইযাসসামাছু কুওয়িরাত এগুলো সূরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বৃদ্ধ করেছেন।[৬৩] রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সালাতে সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ তেলাওয়াত করতেন।[৬৪]

৯. সূরা আছ-ছাফ্ফ পাঠ করা সর্বাধিক প্রিয় আমল।[৬৫]

১০. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু‘আর সালাতে সূরা আল-জুমু‘আহ ও আল-মুনাফিকুন তেলাওয়াত করতেন।[৬৬]

১১. সূরা আল-মুরসালাত মিষ্টতায় মুখমণ্ডল সতেজ করে এবং অনিষ্ট থেকে নিরাপদ রাখে।[৬৭]

১২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই ঈদ ও জুমু‘আর সালাতে সূরা আল-আ‘লা ও আল-গাশীয়া দিয়ে সালাত আদায় করতেন। এমনকি কখনো যদি জুম‘আহ ও ঈদের সালাত একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়ে যেত তখন তিনি উভয় সালাতে এ দু’টি সূরা পড়তেন।[৬৮] রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতরের সালাতে সূরা আল-আ‘লা পড়তেন।[৬৯]

কুরআনের আয়াতের মর্যাদা (فَضَائِلُ آيَاتِ الْقُرَانِ)

আয়াতুল কুরসীর ফযীলত :

১. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন অন্তরায় থাকে না।[৭০]

২. যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণের সময় ‘আয়াতুল কুরসী’ পড়বে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ হতে সর্বদা তার জন্য একজন পাহরাদার থাকবে এবং শয়তান তার নিকট আসতে পারবে না, যতক্ষণ না সে ভোরে উঠে।[৭১]

৩. আয়াতুল কুরসী আল্লাহর কিতাবের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত।[৭২]

সূরা আল-বাক্বারাহর শেষ দু’ আয়াতের ফযীলত :

১. কেউ যদি রাতে সূরা আল-বাক্বারাহর শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটা তার জন্য যথেষ্ট।[৭৩]

২. যে ঘরে তিন রাত এ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করা হয়, শয়তান সে ঘরের নিকট আসতে পারে না।[৭৪]

৩. এই দু’টি আয়াত নূরের জ্যোতি। এর একটি অক্ষর পাঠের মাধ্যমে চাওয়া বস্তুও দেয়া হবে।[৭৫]

রাতে একশ’ আয়াত পাঠ করার ফযীলত :

যে ব্যক্তি রাত্রে একশ’ আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য সারা রাত্রি সালাতের ছওয়াব লেখা হবে।[৭৬]

সালাতে আয়াত পাঠ করার ফযীলত :

১. যে ব্যক্তি সালাতে তিনটি আয়াত পড়ে, তা তার জন্য তিনটি হৃষ্টপুষ্ট বড় কুঁজ বিশিষ্ট গর্ভধারিণী উটনী অপেক্ষা উত্তম।[৭৭]

২. যে দশ আয়াত পাঠ করবে তাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না, যে সালাতে একশ’ আয়াত পাঠ করবে তাকে সারা রাত্রি নফল আদায়কারীদের মধ্যে লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি সালাতে এক হাযার আয়াত পাঠ করবে, তাকে অধিক ছওয়াব অর্জনকারীদের মধ্যে লেখা হবে।[৭৮]

কুরআনের হারফের মর্যাদা (فَضَائِلُ حُرُوْفِ الْقُرَانِ) :

কুরআনের প্রতি হরফ তেলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে দশ নেকী।[৭৯]

কুরআন শিক্ষা ও তেলাওয়াতের মর্যাদা

১. যে কুরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দেয় সেই সর্বোত্তম ব্যক্তি।[৮০]

২. যে ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কিতাবের দু’টি আয়াত শিক্ষা দেয় বা শিক্ষা নেয়, এটা তার জন্য একটি অথবা দু’টি উটনী অপেক্ষা উত্তম! তিন আয়াত তিনটি উটনী অপেক্ষা উত্তম এবং চার আয়াত চারটি উটনী অপেক্ষা উত্তম। আর যত শিক্ষা দেয় বা শিক্ষা নেয় তত উটনী অপেক্ষা উত্তম হবে।[৮১]

৩. কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত লেখক ফিরিশতাদের সাথে থাকবেন।[৮২]

৪. যে কুরআন পড়ে কিন্তু আটকায় এবং কুরআন পড়া তার পক্ষে খুব কষ্টদায়ক হয়, তাহলে তার জন্য দুইগুণ নেকী রয়েছে।[৮৩]

৫. কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। অতঃপর সুপারিশ কবুল করা হবে।[৮৪]

৬. কুরআন তেলাওয়াতে ঈমান বৃদ্ধি পায় (সূরা আল-আনফাল : ২)।

৭. কুরআন তেলাওয়াতকারী শ্রেষ্ঠ মুমিন।[৮৫]

৮. কুরআন তেলাওয়াতকারী সালাতের ইমাম হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি।[৮৬]

৯. কুরআন তেলাওয়াত আসমানে শান্তি এবং পৃথিবীতে প্রসিদ্ধির কারণ।[৮৭]

১০. আল্লাহ তা‘আলা কুরআন তেলাওয়াতকারীর উপর প্রশান্তি নাযিল করেন, আল্লাহর রহমত তাদের ঢেকে ফেলে এবং ফেরেশতারা তাদের ঘিরে রাখে।[৮৮]

১১. কুরআন তেলাওয়াত আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভালবাসার নিদর্শন।[৮৯]

১২. ফজরে কুরআন পাঠের সময় রাতের ও দিনের ফেরেশতারা উপস্থিত থাকে (সূরা বানী ইসরাঈল : ৭৮)।[৯০]

১৩. কুরআন পাঠকারী হাফেয উচ্চ মর্যাদার অধিকারী ফেরেশতাগণের সাথে থাকবে।[৯১] এছাড়া হাফেযগণ জান্নাতে উচ্চ মর্যাদায় থাকবে।[৯২]

১৪. হাফেয ও তার মাতা-পিতাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে।[৯৩]

১৫. হাফেযে কুরআনের সম্মান হল আল্লাহর সম্মান।[৯৪]

১৬. যে অন্তর কুরআন মুখস্থ করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাকে শাস্তি দিবেন না।[৯৫] এবং

১৭. হাফেযগণ হলেন আল্লাহর আপনজন ও বিশেষ বান্দা।[৯৬]

রামাযান মাসে কুরআন তেলাওয়াতের মর্যাদা

মহাগ্রন্থ ‘আল-কুরআন’ রামাযান মাসের ক্বদরের রাত্রীতে অবতীর্ণ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৫; সূরা আল-ক্বদর : ১)।[৯৭]
এ কারণে রামাযানের সাথে কুরআনের রয়েছে গভীরতম সম্পর্ক। তাছাড়া এ মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করার মর্যাদাও অত্যধিক। রামাযানের প্রতি রাতে জিবরীল (আলাইহিস সালাম)- মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কুরআন তেলাওয়াত করতেন[৯৮], কুরআন পুনরাবৃত্তি করতেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনের শেষ বছর তিনি দু’বার কুরআন পুনরাবৃত্তি করেছেন।[৯৯]
রামাযানে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব কত তা উক্ত আলোচনায় ফুটে উঠেছে। একদিকে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসে, অন্যদিকে রামাযান মাসেই প্রতি বছর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কুরআন পেশ করতেন। তাই রামাযানে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্বের অন্ত নেই। এ মাস নেকী অর্জনের মাস। অন্যান্য মাসের তুলনায় রামাযান মাসের ইবাদত আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং মর্যাদাকর। বান্দার প্রত্যেক সৎকর্ম কয়েকগুণে বর্ধিত হয়। একটি নেকী দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়, কিন্তু সিয়ামপালনকারীর নেকী ব্যতীত। কেননা তার নেকী আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন, যত খুশি তত।[১০০] আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ।[১০১]

অতএব আমাদের উচিত, রামাযান মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা। কেননা অন্যান্য মাসের তুলনায় রামাযানে প্রত্যেক আমলের বিনিময়ে দশ গুন নেকি প্রদান করা হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকেই বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!


তথ্যসূত্র :
[১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫২২৯; আবূ দাঊদ, হা/৪৭৩৪; তিরমিযী, হা/২৯২৫; নাসাঈ, হা/১৩১১; ইবনু মাজাহ, হা/২০১; দারেমী, হা/৩৩৫৪।
[২]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১ম খণ্ড, পৃ. ২২৯।
[৩]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৩০; তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৩।
[৪]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৩০; তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৩।
[৫]. তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৩।
[৬]. আল-জামিঊ লি-আহকামীল কুরআন, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৫৭।
[৭]. তাইসীরুল কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান, পৃ ৪০।
[৮]. আইসারুত তাফাসীর লি কালামিল ‘আলিয়্যুল কাবীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৯।
[৯]. তাফসীর ইবনে আবী হাতিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৯৬; তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৩; জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৯৯।
[১০]. মা‘আলিমুত তানযীল, ১ম খণ্ড, পৃ. ১২৬।
[১১]. আল-জামিঊ লি-আহকামীল কুরআন, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৭।
[১২]. তাইসীরুল কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান, পৃ. ৮২।
[১৩]. তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৮৪।
[১৪]. সহীহ বুখারী, হা/৭২৮৩, ‘ই‘তিছাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২; সহীহ মুসলিম, হা/২২৮৩; নাসাঈ, হা/১৫৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৩৭৩; সহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/১৭৮৫।
[১৫]. তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪২।
[১৬]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১৭তম খণ্ড, পৃ. ৩৯৪।
[১৭]. আল-জামিঊ লি-আহকামীল কুরআন, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ২; তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৯২; তাইসীরুল কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান, পৃ. ৮২; মুহাম্মাদ রাশীদ ইবনু ‘আলী রিযা, তাফসীরুল মানার (আল-হাইআতুল মিছরিয়্যাতুল ‘আম্মাতু লিল কিতাব, ১৯৯০ হি.), ৯ম খণ্ড, পৃ. ৫৩৮।
[১৮]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১৭তম খণ্ড, পৃ. ২৭৮, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৬০, ৩৯৪; তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৫৯৪।
[১৯]. তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৫১।
[২০]. আইসারুত তাফাসীর লি-কালামিল উ‘লা আল-কাবীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৭।
[২১]. জামি‘ঊল বায়ান ফী তা‘বীলিল কুরআন, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৩৯৪।
[২২]. সহীহ বুখারী, হা/৫০০৬, মিশকাত, হা/২১১৮।
[২৩]. সহীহ বুখারী, হা/৫০০৭।
[২৪]. তিরমিযী, হা/২৮৭৫।
[২৫]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৬; মিশকাত, হা/২১২৪।
[২৬]. সহীহ বুখারী, হা/৪৪৭৪; আবূ দাঊদ, হা/১৪৫৮; তিরমিযী, হা/৩১২৫।
[২৭]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৬; মিশকাত, হা/২১২৪।
[২৮]. সহীহ মুসলিম, হা/৭৮০; তিরমিযী, হা/২৮৭৭; মিশকাত, হা/২১১৯।
[২৯]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/২০২০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৮৮; সনদ হাসান।
[৩০]. সহীহ বুখারী, হা/৫০১৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭৯৬; মিশকাত, হা/২১১৬।
[৩১]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৪।
[৩২]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৪, ৮০৫; মিশকাত, হা/২১২০, ২১২১।
[৩৩]. তিরমিযী, হা/২৮৮৩।
[৩৪]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৯; সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৮৩; মিশকাত, হা/২১২৬; সনদ সহীহ।
[৩৫]. সহীহ বুখারী, হা/৩৬১৪, ৫০১১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৯৫।
[৩৬]. আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭০০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৫৪৫; তিরমিযী, হা/২৮৯২।
[৩৭]. আবূ দাঊদ, হা/১৪০০; তিরমিযী, হা/২৮৯১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৮৬।
[৩৮]. মু’জামুল আওসাত্ব, হা/৩৬৫৪; সহীহুল জামে’, হা/৩৬৪৪।
[৩৯]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৮৩৮; সহীহুল জামে’, হা/২০৯২; সনদ হাসান।
[৪০]. তিরমিযী, হা/২৮৯৩, ২৮৯৪; সনদ হাসান।
[৪১]. আবূ দাঊদ, হা/৫০৫৫; তিরমিযী, হা/৩৪০৩; দারেমী, হা/৩৪২৭; মিশকাত, হা/২১৬১।
[৪২]. সহীহ মুসলিম, হা/৭২৬, ১২১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৩৯০; তিরমিযী, হা/৪১৭; ইবনু মাজাহ, হা/১১৪৯।
[৪৩]. সহীহ মুসলিম, হা/৮১১; মিশকাত, হা/২১২৭।
[৪৪]. সহীহ বুখারী, হা/৭৩৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/৮১৩; মিশকাত, হা/২১২৯।
[৪৫]. তিরমিযী, হা/২৯০১; মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৭০৯; নাসাঈ, হা/৯৯৪; মিশকাত, হা/২১৩০, ২১৬০, সনদ সহীহ।
[৪৬]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৪৮; সনদ হাসান; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৮৯।
[৪৭]. ত¦াবারাণী কাবীর, হা/৩৯৭; সহীহুল জামে’, হা/৬৪৭২; সনদ সহীহ।
[৪৮]. আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; তিরমিযী, হা/৩৫৭৫, সনদ হাসান সহীহ।
[৪৯]. সহীহ মুসলিম, হা/৮১৪; মিশকাত, হা/২১৩১।
[৫০]. আবূ দাঊদ, হা/১৪৬৩; মিশকাত, হা/২১৬২, সনদ সহীহ।
[৫১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৯১; নাসাঈ, হা/৯৫৩, ৫৪৩৯; মিশকাত, হা/২১৬৪, সনদ সহীহ।
[৫২]. আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; তিরমিযী, হা/৩৫৭৫, সনদ হাসান সহীহ।
[৫৩]. দারেমী, হা/৩৩৯৫; সনদ যায়্যিদ।
[৫৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৪৮৭; সিলসিলা সহীহা, হা/২৩০৫; সনদ হাসান।
[৫৫]. সহীহ বুখারী, হা/৪৭৩৯।
[৫৬]. তিরমিযী, হা/২৯২০; সনদ সহীহ।
[৫৭]. সহীহ বুখারী, হা/৮৯১; সহীহ মুসলিম, হা/৮৮০।
[৫৮]. আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭০০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৫৪৫; তিরমিযী, হা/২৮৯২।
[৫৯]. তিরমিযী, হা/২৯২০; সনদ সহীহ।
[৬০]. সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৩।
[৬১]. সহীহ মুসলিম, হা/৮৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৮৭৫।
[৬২]. সহীহ বুখারী হা/৫০১২ ; মিশকাত হা/।
[৬৩]. তিরমিযী, হা/৩২৯৭।
[৬৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০৩৩; সনদ হাসান।
[৬৫]. তিরমিযী, হা/৩৩০৯; মুসতাদরাক হাকিম, হা/২৩৮৪; সনদ সহীহ।
[৬৬]. সহীহ মুসলিম, হা/৭৭৭; আবূ দাঊদ, হা/১১২৪; তিরমিযী, হা/৫১৯; ইবনু মাজাহ, হা/১১১৮।
[৬৭]. সহীহ বুখারী, হা/৩৩১৭; সহীহ মুসলিম, হা/২২৩৪।
[৬৮]. সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৮; আবূ দাঊদ, হা/১১১২; তিরমিযী, হা/৫৩৩; নাসাঈ, হা/১৪২৪; ইবনু মাজাহ, হা/১২৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৪০৭; সনদ সহীহ।
[৬৯]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৩৯০; সনদ সহীহ।
[৭০]. নাসাঈ কুবরা, হা/৯৯২৮; সহীহ তারগীব ওয়া তারহীব, হা/১৫৯৫।
[৭১]. সহীহ বুখারী, হা/২৩১১, ৫০১০; তিরমিযী, হা/১৬৮২; আবূ দাঊদ, হা/২৫৭৯; মিশকাত, হা/২১২৩।
[৭২]. সহীহ মুসলিম, হা/৮১০; মিশকাত, হা/২১২২।
[৭৩]. সহীহ বুখারী, হা/৪০০৮, ৫০০৯; সহীহ মুসলিম, হা/৮০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১০৯; তিরমিযী, হা/২৮৮১; আবূ দাঊদ, হা/১৩৯৭; ইবনু মাজাহ, হা/১৩৬৮; সহীহ ইবনু খুযাইমা, হা/১১৪১; সহীহ ইনবু হিব্বান, হা/৭৮১; দারেমী, হা/১৪৮৭; মিশকাত, হা/২১২৫।
[৭৪]. তিরমিযী, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৪৩৮; দারেমী, হা/৩৩৮৭; মিশকাত, ২১৪৫; ।
[৭৫]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৬; মিশকাত, হা/২১২৪।
[৭৬]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৯৯৯; দারেমী, হা/৩৪৫০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৬৪৪; সহীহুল জামে‘, হা/৬৪৬৮, সনদ সহীহ।
[৭৭]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০২।
[৭৮]. আবূ দাঊদ, হা/১৩৯৮; ইবনু হিব্বান, হা/২৫৭২; ইবনু খুযায়মাহ, হা/১১৪৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৬৪২; সহীহুল জামে‘, হা/৬৪৩৯, সনদ সহীহ।
[৭৯]. তিরমিযী, হা/২৯১০; মিশকাত, হা/২১৩৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৩২৭, সনদ সহীহ।
[৮০]. সহীহ বুখারী, হা/৫০২৭, ৫০২৮; তিরমিযী, হা/২৯০৭; আবূ দাঊদ, হা/১৪৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১২; সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১১৮; দারেমী, হা/৩৩৩৭; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/১৯৩০; মিশকাত, হা/২১০৯।
[৮১]. সহীহ মুসলিম, হা/৮০৩।
[৮২]. সহীহ মুসলিম, হা/৭৯৮।
[৮৩]. সহীহ মুসলিম, হা/৭৯৮।
[৮৪]. বায়হাক্বী-শু‘আবুল ঈমান, হা/১৮৩৯; হাকেম, হা/২০৩৬; মিশকাত, হা/১৯৬৩; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪২৯, সনদ সহীহ।
[৮৫]. সহীহ বুখারী, হা/৫০২০।
[৮৬]. সহীহ বুখারী, হা/৪৩০২; নাসাঈ, হা/৬৩৬; মিশকাত, হা/১১২৬।
[৮৭]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৭৯১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৫৫, সনদ সহীহ।
[৮৮]. সহীহ মুসলিম, হা/৭০২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪২১; ইবনু মাজাহ, হা/২২৫; মিশকাত, হা/২০৪।
[৮৯]. আল-মু‘জামু লিইবনিল মুক্বরী, হা/৪৯৮; হিলইয়াতুল আওলিয়া, ৭ম খ-, পৃ. ২০৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৩৪২, সনদ হাসান।
[৯০]. তিরমিযী, হা/৩১৩৫; মিশকাত, হা/৬৩৫, সনদ সহীহ।
[৯১]. সহীহ বুখারী, হা/৪৯৩৭।
[৯২]. আবূ দাঊদ, হা/১৪৬৪; তিরমিযী, হা/২৯১৪; মিশকাত, হা/২১৩৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২২৪০, সনদ সহীহ।
[৯৩]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, ৬ষ্ঠ খ-, পৃ. ৫১; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/১৪৩৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৮২৯, সনদ সহীহ।
[৯৪]. আবূ দাঊদ, হা/৪৮৪৩; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৩৫৭; মিশকাত, হা/৪৯৭২, সনদ সহীহ।
[৯৫]. দারেমী, হা/৩৩১৯; ফাৎহুল বারী, ৯/৯৯ পৃঃ, সনদ সহীহ; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬০।
[৯৬]. ইবনু মাজাহ, হা/২১৫; সহীহুল জামে‘, হা/২১৬৫, সনদ সহীহ।
[৯৭]. তাফসীর ইবনু কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫০১।
[৯৮]. সহীহ বুখারী, হা/১৯০২।
[৯৯]. সহীহ বুখারী, হা/৬২৮৬।
[১০০]. সহীহ মুসলিম, হা/২৭৬২; সহীহ বুখারী, হা/১৯০৪।
[১০১]. সহীহ বুখারী, হা/১৯৯৪।



-আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম​

 
Last edited:
Top