‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️
B

প্রশ্ন পেটের ভেতরে সন্তান হত্যা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?

Burhan Uddin

Member

Threads
4
Comments
7
Reactions
46
Credits
97
বর্তমানে দেখা যায় যে পছন্দ মত সন্তান না হলে চেকআপ করানোর পর তাকে হত্যা করা হয়, অথবা অনেকে সন্তান চলে আসছে তারপর কি যে কারনে তাকে হত্যা করে ফেলে, ইসলাম কি এর অনুমোদন দিয়েছে ?
সর্বোচ্চ কত দিন বয়স পর্যন্ত হলে পেটের সন্তান হত্যা করা যায় অথবা যায় না ।
দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন ।
 
Solution
ভাই এটা তো সাধারণ জ্ঞান এটা কোনো প্রশ্ন?
এটার উত্তর দেওয়া যেতে পারে।

আপনার মূল প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামে গর্ভপাতের বিধান কি?

উত্তর: গর্ভপাত যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয়ে থাকে, কোনো ধরনের কারণ যদি এর মধ্যে না আসে তাহলে এটি হারাম। এটি যে অবস্থা বা যত দিনেই হোক না কেন। কারণ যেহেতু একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে সেটাকে ধ্বংস করা আর সেটা যদি মানবভ্রূণ হয়ে থাকে তাহলে কোনো অবস্থাতেই এটি হালাল নয়, যেহেতু রাসুল (স.) বলেছেন, ‘জা-লিকাল ওয়াদুল খাফি’ অর্থাৎ এটি গোপন হত্যা। এটি গোপনীয়ভাবেই ভ্রূণ হত্যা...

Farouk

New member

Threads
0
Comments
1
Solutions
1
Reactions
4
Credits
177
ভাই এটা তো সাধারণ জ্ঞান এটা কোনো প্রশ্ন?
এটার উত্তর দেওয়া যেতে পারে।

আপনার মূল প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামে গর্ভপাতের বিধান কি?

উত্তর: গর্ভপাত যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয়ে থাকে, কোনো ধরনের কারণ যদি এর মধ্যে না আসে তাহলে এটি হারাম। এটি যে অবস্থা বা যত দিনেই হোক না কেন। কারণ যেহেতু একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে সেটাকে ধ্বংস করা আর সেটা যদি মানবভ্রূণ হয়ে থাকে তাহলে কোনো অবস্থাতেই এটি হালাল নয়, যেহেতু রাসুল (স.) বলেছেন, ‘জা-লিকাল ওয়াদুল খাফি’ অর্থাৎ এটি গোপন হত্যা। এটি গোপনীয়ভাবেই ভ্রূণ হত্যা যেটি সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (স.) এ বিষয়ে তাহদিদ করেছেন, কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন এবং সতর্কবাণী দিয়েছেন। তাই এটি হারাম তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালা বলেছেন, কেয়ামতের দিন তাদের এই প্রশ্ন করা হবে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে হত্যা করেছে, ইয়া আয়্যিদামবিন কুতিলাত। ওয়া ইজাল মায়ুদু তুছইলাত? (অর্থাৎ কোন অপরাধে এদেরকে হত্যা করা হয়েছে? ) এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে হবে। এটি আমরা বলছিলাম ইনটেনশন সম্পর্কে।

আর আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালা তাঁর বান্দাদের, তারা যদি অপরাধ করে থাকে, ক্ষমা করবেনই। অপরাধ বোধে সত্যিকারভাবে যদি কেউ অনুতপ্ত হতে পারে এবং তওবা করে আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রত্যাবর্তন করেন, ঠিক যেভাবে প্রত্যাবর্তন করা দরকার, অবশ্যই আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করে দেবেন। হতাশ হওয়ার কারণ নেই।

আর রাসুলুল্লাহ (স.) এ বিষয়টি হাদিসের মধ্যে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, তওবাকারী ব্যক্তি হচ্ছে ওই ব্যক্তির মতো যার কোনো গুনাহই নেই। সুতরাং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি কাউকে ক্ষমা করেন, তাহলে বান্দাকে আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালা শুধু তাকে ক্ষমা করবেন এটাই নয়, বরং তাকে একেবারে গুনাহমুক্ত করে দেবেন।

উত্তর প্রদানে - শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী।
 
Solution

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
688
Comments
1,213
Solutions
17
Reactions
6,618
Credits
5,415
@Farouk উত্তর প্রদানে ভাষার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
 

Share this page