• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর পরিবারের পক্ষ থেকে পর্দা করতে বাধা দিলে করণীয় কী?

shipa

Inquisitive

Q&A Master
Salafi User
Threads
347
Comments
400
Reactions
1,880
Credits
2,407
প্রশ্ন: আমি কয়েক মাস আগেও পর্দা করতাম না। কিন্তু দু মাস ধরে আমি পুরোপুরি পর্দা করি। যেখানেই যাই বোরখা পরিধান করি। কিন্তু আমার পরিবারের কেউ কেউ সব জায়গায় বোরখা পরে না। কিন্তু আমি পরতে চাই। তবে আমার বড়রা বলে যে, সব জায়গায় সব কিছু মানায় না। সমাজের সাথেও চলতে হয়। একা যেখানে যাও পর্দা করো। তবে পরিবারের সাথে কোথাও বেড়াতে গেলে বা দাওয়াতে গেলে বোরখা পড়া মানানসই না। হিজাব পড়লেই যথেষ্ট। এখন আমি পরিবারের জন্য পুরোপুরি পর্দা করে যেতে পারি না। তাদের সাথে যাব নাও বলতে পারি না। এখন আমার কী করণীয়?

উত্তর: আপনি পর্দা করতে শুরু করেছেন এ জন্য আপনাকে অভিনন্দন। দুয়া করি, আল্লাহ যেন আপনাকে আমরণ ইসলামের এই মহান বিধানের উপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন আর আপনার জন্য এ পথে চলা সহজ করে দেন। আমিন।

আপনার পরিবার যেহেতু সঠিক নিয়মে পর্দা করে না তাই স্বাভাবিকভাবে তারা আপনার পর্দাকে স্বাগত জানাবে না বরং নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে। কিন্তু পর্দা যেহেতু মুসলিম নারীর প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অলঙ্ঘনীয় ফরজ ইবাদত সেহেতু কোনভাবেই মানুষের সমালোচনার সামনে হার মানা যাবে না। কে কী বলল বা ভাবল তার চেয়ে বড় কথা হল, এটি রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে নির্দেশ। তার নির্দেশ উপেক্ষা করলে তিনি হয়ত জাহান্নামের কঠিন আজাবে নিক্ষেপ করবেন। পক্ষান্তরে সকল সমালোচনা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দৃঢ়তার পরিচয় দিলে তিনি জান্নাতে অভাবনীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন।

তাই মানুষের কটুকথা, ভ্রুকুঞ্চন আর তথাকথিত সামাজিকতার ওজুহাত ইত্যাদিকে উপেক্ষা করে আল্লাহ বিধানের উপর অবিচল থাকুন। সেই সাথে তাদের হেদায়েতের জন্য দুআ করার পাশাপাশি যথাসম্ভব তাদেরকে আল্লাহর ভয় দেখান, জাহান্নামের শাস্তির কথা শুনান এবং তাদের কাছে পর্দার গুরুত্ব তুলে ধরুন।

আল্লাহ যদি তাদের কপালে হেদায়েত লিখে রাখেন ইনশাআল্লাহ তারাও বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। অন্যথায় তাদের সাথে ঝগড়া-ঝাড়ি ও খারাপ ব্যবহার থেকে দূরে থেকে নিজে পূর্ণ পর্দা করতে থাকুন। নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে আখিরাতে সীমাহীন পুরস্কারে ভূষিত করবেন। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
 
Top