‘রিয়া’ তথা লোক দেখানো আমল ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। অতএব ‘রিয়া’ থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিম্নের আমলগুলো সহায়ক। (১) যিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা (তওবা ৯/১২৯; ফাতেহা ১/০৪)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া ও ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে সূরা ফাতেহার ৪ আয়াত অর্থাৎ ‘আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি’ (ফাতেহা ১/০৪)। (২) নফস তথা কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করা। যখনই মনে আসবে তখনই তা দমন করবে (আনকাবূত ২৯/৬৯)। (৩) আমল গোপনে করা তথা নাম প্রকাশ না করা (আ‘রাফ ৭/৫৫; বাক্বারাহ ২/২৭১)। (৪) রিয়ার কুফল ও এর ভয়াবহ শাস্তির ব্যাপারে সচেতন থাকা (বুখারী হা/৬৪৯৯; মিশকাত হা/৫৩১৬)। (৫) রিয়া হয় এমন কর্ম ও স্থান পরিহার করা (মুখতাছার মিনহাজুল ক্বাছেদীন ৩/৭৫)। (৬) সর্বদা আল্লাহ্কে হাযির-নাযির জেনে আমল করা (নিসা ৪/১; আহযাব ৩৩/৫২; ক্বা-ফ ৫০/১৮)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। যদি তুমি তাঁকে দেখতে সক্ষম না হও, তাহ’লে মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন’ (বুখারী হা/৫০; মিশকাত হা/২)। (৭) আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। রাসূল (ছাঃ) তার দো‘আয় বলতেন, ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়া মিন শাররি মা লাম আ‘মালু।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার নিকট আমার কৃত কর্মের (পাপের) অনিষ্ট হ’তে এবং আমি যা করিনি তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি (মুসলিম হা/২৭১৬; মিশকাত হা/২৪৬২)। অতএব উপরোক্ত আমলগুলো করতে সক্ষম হ’লে রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
আত তাহরীক
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। যদি তুমি তাঁকে দেখতে সক্ষম না হও, তাহ’লে মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন’ (বুখারী হা/৫০; মিশকাত হা/২)। (৭) আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। রাসূল (ছাঃ) তার দো‘আয় বলতেন, ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়া মিন শাররি মা লাম আ‘মালু।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার নিকট আমার কৃত কর্মের (পাপের) অনিষ্ট হ’তে এবং আমি যা করিনি তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি (মুসলিম হা/২৭১৬; মিশকাত হা/২৪৬২)। অতএব উপরোক্ত আমলগুলো করতে সক্ষম হ’লে রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
আত তাহরীক