Inquisitive
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 367
- Comments
- 419
- Reactions
- 2,146
- Thread Author
- #1
আমল ও ইবাদত শুদ্ধ-অশুদ্ধ এবং তাতে সওয়াব পাওয়া- না পাওয়ার কথা নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত শুদ্ধ হলে আমল শুদ্ধ; নচেৎ না। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন, "যাবতীয় আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তির তা-ই প্রাপ্য হয়, যার সে নিয়ত করে থাকে। যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব কোন বিষয় লাভের উদ্দেশ্যে হয়, সে ব্যক্তির তা-ই প্রাপ্য হয়। যার হিজরত কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হয়, তার প্রাপ্যও তাই। যে যে নিয়তে হিজরত করবে সে তাই পেয়ে থাকবে।”
নাম নেওয়া লোক দেখানো, কোন পার্থিব স্বার্থলাভ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে কোন আমল করা এক ফিতনা; যা কানা দাজ্জালের ফিতনা অপেক্ষা বড় ও অধিকতর ভয়ঙ্কর। একদা সাহাবীগণ কানা দাজ্জালের কথা আলোচনা করছিলেন। ইত্যবসরে আল্লাহর রসূল (ﷺ) বের হয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন (ফিতনার) কথা বলে দেব না, যা আমার নিকট কানা দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে অধিকতর ভয়ানক?” সকলে বললেন, 'অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, “তা হল গুপ্ত শির্ক; লোকে নামায পড়তে দাঁড়ালে তার প্রতি অন্য লোকের দৃষ্টি খেয়াল করে তার নামাযকে আরো সুন্দর বা বেশী করে পড়তে শুরু করে।'
বলাবাহুল্য, আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভ ছাড়া অন্য কোন স্বার্থলাভের উদ্দেশ্যে কোনও আমল করলে গুপ্ত শির্ক করা হয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, “সুতরাং দুর্ভোগ সেই সকল নামাযীদের, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ে এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্যদানে বিরত থাকে।”
জ্ঞাতব্য যে, প্রত্যেক ইবাদত কবুল হওয়ার মূল বুনিয়াদ হল তাওহীদ। অতএব মুশরিকের কোন ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন প্রত্যেক ইবাদত মঞ্জুর হওয়ার জন্য মৌলিক শর্ত হল দু'টি; নিয়তের ইখলাস বা বিশুদ্ধচিত্ততা এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরীকা, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত।
১)সহীহুল বুখারী ১,সহীহ মুসলিম ১৯০৭, মিশকাত ১।
২) ইবনে মাজাহ ৪২০৪, বাইহাক্বী ৬৮৩২, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব লিল আলবানী২৭।
৩)সূরা আল-মাউন-১০৭:৪-৭।
বই: স্বলাতে মুবাশশির
নাম নেওয়া লোক দেখানো, কোন পার্থিব স্বার্থলাভ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে কোন আমল করা এক ফিতনা; যা কানা দাজ্জালের ফিতনা অপেক্ষা বড় ও অধিকতর ভয়ঙ্কর। একদা সাহাবীগণ কানা দাজ্জালের কথা আলোচনা করছিলেন। ইত্যবসরে আল্লাহর রসূল (ﷺ) বের হয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন (ফিতনার) কথা বলে দেব না, যা আমার নিকট কানা দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে অধিকতর ভয়ানক?” সকলে বললেন, 'অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, “তা হল গুপ্ত শির্ক; লোকে নামায পড়তে দাঁড়ালে তার প্রতি অন্য লোকের দৃষ্টি খেয়াল করে তার নামাযকে আরো সুন্দর বা বেশী করে পড়তে শুরু করে।'
বলাবাহুল্য, আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভ ছাড়া অন্য কোন স্বার্থলাভের উদ্দেশ্যে কোনও আমল করলে গুপ্ত শির্ক করা হয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, “সুতরাং দুর্ভোগ সেই সকল নামাযীদের, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ে এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্যদানে বিরত থাকে।”
জ্ঞাতব্য যে, প্রত্যেক ইবাদত কবুল হওয়ার মূল বুনিয়াদ হল তাওহীদ। অতএব মুশরিকের কোন ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন প্রত্যেক ইবাদত মঞ্জুর হওয়ার জন্য মৌলিক শর্ত হল দু'টি; নিয়তের ইখলাস বা বিশুদ্ধচিত্ততা এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরীকা, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত।
১)সহীহুল বুখারী ১,সহীহ মুসলিম ১৯০৭, মিশকাত ১।
২) ইবনে মাজাহ ৪২০৪, বাইহাক্বী ৬৮৩২, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব লিল আলবানী২৭।
৩)সূরা আল-মাউন-১০৭:৪-৭।
বই: স্বলাতে মুবাশশির
Last edited: