If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
মূল: আমরা আশা করি যে, সৎকর্মশীল মুমিনগণকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তবে আমরা তাদের ব্যাপারে আশঙ্কা মুক্ত নই। আর তাদেরকে আমরা নিশ্চিত জান্নাতী বলে সাক্ষ্য প্রদান করতে পারি না। আমরা তাদের গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমরা তাদের জন্য শঙ্কা বোধ করি; কিন্তু আমরা তাদের ব্যাপারে একেবারেই নিরাশও হই না।
ব্যাখ্যা: শাইখ ইবন মানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, জেনে রাখুন! আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর আকীদা হচ্ছে, কোনো মুসলিম মারা গেলে তারা তাকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দেয় না। তবে কারো ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাক্ষ্য দিলে বা তার ব্যাপারে সংবাদ দিলে ভিন্ন কথা। তারা নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী না বললেও নেককারের ব্যাপারে জান্নাতের আশা করে এবং বদকারের ব্যাপারে শাস্তির ভয় করে।
অনেক মানুষ এমন রয়েছে, তারা যখন কোনো আলিম বা নেতা বা বাদশা বা কারো কথা উল্লেখ করে তখন বলে, ‘তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বা সে জান্নাতের বাগিচায় বাস করছে’। এর থেকে আরও ভয়াবহ হচ্ছে এ কথা বলা যে, ‘সে তার রবের ও মহান বন্ধুর সাথে মিলিত হয়েছে’। নিঃসন্দেহে এমন কথা বলা মানে না-জেনে আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলা। আর না-জেনে আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলা শিরকের সমতুল্য। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। যারা আল্লাহর সম্বন্ধে এমন কথা বলে যার জ্ঞান তোমাদের কাছে নেই।[1]
তবে আমরা মুশরিকদের ব্যাপারে জাহান্নামের সাক্ষ্য দেব। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন,
যে আল্লাহর সাথে শরীক করে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তাই জাহান্নামই তার আবাসস্থল। আর জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।[2]
মূল: তাদের কাউকে নির্দিষ্টভাবে আমরা জান্নাতী ও জাহান্নামী বলে ঘোষণা দেই না। এমনকী তাদেরকে কারো ব্যাপারে আমরা কুফর বা শিরক বা নিফাকের সাক্ষ্য প্রদান করি না, যতক্ষণ না এগুলোর কোনো একটি তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে পায়। আর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা আল্লাহর ওপর সোপর্দ করি।
ব্যাখ্যা: তবে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী ও আবদুল্লাহ ইবন সালাম প্রমুখগণের বিধান ভিন্ন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা তাদেরকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দেব। লেখক রাহিমাহুল্লাহ ৯৫ নং অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।( অনুচ্ছেদ ৯৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দশজন সাহাবীর নাম উল্লেখ করে তাদের সম্পর্কে জান্নাতের সুসংবাদ দান করেছেন, আমরা তাদের জন্য জান্নাতের সাক্ষ্য প্রদান করি। কারণ, এ সম্পর্কে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুসংবাদ দান করেছেন আর তাঁর কথা সত্য। তাঁরা হলেন: আবূ বাকর, উমার, উসমান, আলী, তালহা, যুবাইর, সাদ, সাঈদ, আবদুর রহমান ইবন আউফ এবং আমীনুল উম্মাহ তথা জাতির বিশ্বাসভাজন আবূ ওবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযিয়াল্লাহু আনহুম।) বর্তমানে কিছু লেখকের ভ্রষ্টতা ও অজ্ঞতা হচ্ছে, তারা আবদুল্লাহ ইবন সালামকে ইসলামগ্রহণ করার পূর্বে ইয়াহূদী হওয়ার কারণে কটাক্ষ করে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন; যেমনটি সহীহুল বুখারীতে রয়েছে। হায় আফসোস, ইয়াহূদী হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করা আর মূর্তিপূজক হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করার মাঝে কী পার্থক্য? যদি জাহিলী গোত্রপ্রীতি না থাকত!
হ্যাঁ, পার্থক্য রয়েছে। বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন শ্রেণির লোকের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। তন্মধ্যে এক শ্রেণি হলো, এমন আহলে কিতাব ব্যক্তি যে তার নবীর প্রতি ঈমান এনেছে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেয়ে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে, তাঁর অনুসরণ করেছে এবং তাঁকে সত্য বলে জেনেছে।’ অতএব, ইয়াহূদী থাকার পর ইসলাম গ্রহণ করলে দ্বিগুণ সওয়াব আর মূর্তিপূজক থাকার পর ইসলাম গ্রহণ করলে একগুণ সওয়াব।
ব্যাখ্যা: শাইখ ইবন মানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, জেনে রাখুন! আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর আকীদা হচ্ছে, কোনো মুসলিম মারা গেলে তারা তাকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দেয় না। তবে কারো ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাক্ষ্য দিলে বা তার ব্যাপারে সংবাদ দিলে ভিন্ন কথা। তারা নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী না বললেও নেককারের ব্যাপারে জান্নাতের আশা করে এবং বদকারের ব্যাপারে শাস্তির ভয় করে।
অনেক মানুষ এমন রয়েছে, তারা যখন কোনো আলিম বা নেতা বা বাদশা বা কারো কথা উল্লেখ করে তখন বলে, ‘তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বা সে জান্নাতের বাগিচায় বাস করছে’। এর থেকে আরও ভয়াবহ হচ্ছে এ কথা বলা যে, ‘সে তার রবের ও মহান বন্ধুর সাথে মিলিত হয়েছে’। নিঃসন্দেহে এমন কথা বলা মানে না-জেনে আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলা। আর না-জেনে আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলা শিরকের সমতুল্য। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٣
আর আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। যারা আল্লাহর সম্বন্ধে এমন কথা বলে যার জ্ঞান তোমাদের কাছে নেই।[1]
তবে আমরা মুশরিকদের ব্যাপারে জাহান্নামের সাক্ষ্য দেব। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢
যে আল্লাহর সাথে শরীক করে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তাই জাহান্নামই তার আবাসস্থল। আর জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।[2]
মূল: তাদের কাউকে নির্দিষ্টভাবে আমরা জান্নাতী ও জাহান্নামী বলে ঘোষণা দেই না। এমনকী তাদেরকে কারো ব্যাপারে আমরা কুফর বা শিরক বা নিফাকের সাক্ষ্য প্রদান করি না, যতক্ষণ না এগুলোর কোনো একটি তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে পায়। আর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা আল্লাহর ওপর সোপর্দ করি।
ব্যাখ্যা: তবে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী ও আবদুল্লাহ ইবন সালাম প্রমুখগণের বিধান ভিন্ন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা তাদেরকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দেব। লেখক রাহিমাহুল্লাহ ৯৫ নং অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।( অনুচ্ছেদ ৯৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দশজন সাহাবীর নাম উল্লেখ করে তাদের সম্পর্কে জান্নাতের সুসংবাদ দান করেছেন, আমরা তাদের জন্য জান্নাতের সাক্ষ্য প্রদান করি। কারণ, এ সম্পর্কে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুসংবাদ দান করেছেন আর তাঁর কথা সত্য। তাঁরা হলেন: আবূ বাকর, উমার, উসমান, আলী, তালহা, যুবাইর, সাদ, সাঈদ, আবদুর রহমান ইবন আউফ এবং আমীনুল উম্মাহ তথা জাতির বিশ্বাসভাজন আবূ ওবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযিয়াল্লাহু আনহুম।) বর্তমানে কিছু লেখকের ভ্রষ্টতা ও অজ্ঞতা হচ্ছে, তারা আবদুল্লাহ ইবন সালামকে ইসলামগ্রহণ করার পূর্বে ইয়াহূদী হওয়ার কারণে কটাক্ষ করে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন; যেমনটি সহীহুল বুখারীতে রয়েছে। হায় আফসোস, ইয়াহূদী হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করা আর মূর্তিপূজক হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করার মাঝে কী পার্থক্য? যদি জাহিলী গোত্রপ্রীতি না থাকত!
হ্যাঁ, পার্থক্য রয়েছে। বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন শ্রেণির লোকের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। তন্মধ্যে এক শ্রেণি হলো, এমন আহলে কিতাব ব্যক্তি যে তার নবীর প্রতি ঈমান এনেছে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেয়ে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে, তাঁর অনুসরণ করেছে এবং তাঁকে সত্য বলে জেনেছে।’ অতএব, ইয়াহূদী থাকার পর ইসলাম গ্রহণ করলে দ্বিগুণ সওয়াব আর মূর্তিপূজক থাকার পর ইসলাম গ্রহণ করলে একগুণ সওয়াব।
[1] সূরা আরাফ, আয়াত: ৩৩
[2] সূরা মায়েদাহ, আয়াত: ৭২
মূল: শারহুল-আকীদাতুত-তহাবিয়্যা : ৫৯,৭০
ব্যাখ্যা: ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ।
অনুবাদক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
সম্ভাব্য প্রকাশনায়: বিলিভার্স ভিশন
ব্যাখ্যা: ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ।
অনুবাদক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
সম্ভাব্য প্রকাশনায়: বিলিভার্স ভিশন
Attachments