একজন ব্যক্তি নিজেকে মুসলিমের পাশাপাশি আহলেহাদীছ বা সালাফি পরিচয় দেওয়াতে প্রকৃতপক্ষে শরীয়ঈ কোন বাধা নেই । কারণ এইগুলো মুসলিমদের বৈশিষ্ট্যগত নাম । যেমন ভাবে একটি মানুষ একাধারে ছাত্র, শিক্ষক, আলেম, আনসার এইধরনের নাম ধারণ করে, ঠিক তেমনি আহলেহাদীছ বা সালাফি এমনই একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম মুসলিমদের মধ্যে । মুসলিম হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া নাম , যাকে ইংরেজীতে আমরা Noun বলি ।
আর আহলেহাদীছ , আহলুল হাদীছ বা সালাফি এইগুলা একজন মুসলিমদের বৈশষ্ট্য । যাকে আমরা Adjective বা গুণ/বৈশিষ্ট্য বলে জানি । আহলেহাদীছ এর অর্থ হাদীছের অনুসারী কিন্তু ব্যাপক অর্থে পরাভাষিক অর্থেঃ কুর’আন এবং হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারী । কারণ হাদিসের অর্থ বাণী এবং কুর’আন কে খইরাল হাদীছ বা উৎকৃষ্ট বাণী বলা হয়েছে । (রিয়াযুস স্ব-লিহীন ১ম খন্ড, হা/১৭০)
তাছাড়া, প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কোন মুসলিম যুবককে দেখলে খুশি হয়ে বলতেন, “রাসূল (সাঃ) এর অসিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে মারহাবা জানাচ্ছি ।রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে মজলিস প্রসস্থ করার ও তোমাদেরকে হাদীছ বুঝাবার নির্দেশ দিয়ে গেছেন । কারণ কেননা তোমরাই আমাদের পরবর্তি বংশধর ও পরবর্তি আহলুল হাদীছ”। (আলবানী সিলসিলাহ সহীহাহ হা/২৮০, আবু বকর আল খতীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ, (লাহোর রিপন প্রেসঃ তারিখ বিহীন) পৃঃ ১২, হাকেম সহীহ বলেছেন)
১ খ্যাতনামা তাবেঈ ইমাম শা‘বী (২২-১০৪ হিঃ) সাহাবায়ে কেরামের জামা‘আতকে ‘আহলে হাদীছ’ বলতেন । যেমন একদা তিনি বলেন, ‘এখন যেসব ঘটছে তা আগে জানলে আমি কোন হাদিস বর্ণনা করতাম না, কেবল ঐ হাদিস ব্যতীত, যার উপরে ‘আহলুল হাদীছ’ অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরাম একমত হয়েছেন’ ।(শামসুদ্দিন যাহাবী, তাযকেরাতুল হুফফায (বৈরুতঃ দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/৮৩ পৃঃ)।
২ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, ‘সর্বোত্তম হল আমার প্রজন্মের মানুষ । তারপরে এর পরে যারা আসবে তারা এবং এরপরে যারা আসবে তারা.........” (সহীহ বুখারী অনুচ্ছেদ ৮১, হা/৬৫০৫)
সুতরাং ‘আহলে হাদীছ’ কথাটি সাহাবী এবং তাবেঈ থেকে প্রমাণিত হল । তাদের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি কারণ তারা শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের মানুষ । এরপরে আরো অনেক মুজতাহিদগণ ই আহলেহাদীছদের সম্পর্কে বলেছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের কথা তুলে ধরছিঃ ইয়াযীদ ইবনে হারূণ ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল ফের্কায়ে নাজিয়া সম্পর্কে বলেন, “তারা যদি আহলেহাদীছ তবে আমি জানি না তারা কারা’’। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহা হা/২৭০ –এর ব্যাখ্যা; শারফ ১৫)
৩ ক্বাযী আয়ায বলেন, ইমাম আহমাদ (রহঃ) একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করেন, তাদেরকে বুঝিয়েছেন’।(ফৎহুল বারী ‘ইলম’ অধ্যায় ১/১৯৮ হা/৭১-এর ব্যাখ্যা ।)
৪ ইমাম হাম্বল আরো বলেন, ‘আহলে হাদিসের চেয়ে উত্তম কোন দল আমার কাছে নেই । তারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না’। (আবু বকর আল-খতিব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদিস পৃঃ ২৭ ।)
৫ ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘যখন আমি কোন আহলে হাদীছকে দেখি তখন আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জীবন্ত দেখি’ (শারফু ২৬)
৬ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেনঃ ‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানার কথা যে, আহলে হাদীছগণই হলেন, মুসলিমদের মধ্যে রাসূল (সাঃ) এর বাণীসমূহের ও তার ইলমের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের অধিক প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হতে সর্বাধিক অধিক দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধিতা সে করে থাকে ।….মুসলিমদের মধ্যে তাদের অবস্থান এত মর্যাদাপূর্ণ, যেমন সকল জাতির মধ্যে মুসলিমদের অবস্থান মর্যাদাপূর্ণ’ ।(ইবনু তাইমিয়া মিনহাজুস সুন্নাহ, ২/১৭৯ পৃঃ)
৭ তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আবু হানিফা, মালেক, শাফেঈ ও আহমাদের জন্মের বহু পূর্বে হতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের প্রাচীন একটি মাযহাব সুপরিচিত ছিল । সেটি হল সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব, যারা তাদের নবীর কাছ থেকে সরাসরি ইলম হাছিল করেছিল’ । (আহমাদ ইবনু তাইমিয়া মিনহাজুস সুন্নাহ মিশরী ছাপা, ১/২৫৬ পৃঃ ।)
৮ যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) বলেন, “আহলেহাদীছগণ হলেন তাঁরাই, যারা মুহাম্মাদ (সাঃ) ব্যতীত নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির রায়কে প্রাধান্য দেয় না, যতই বড়ই তিনি হোক না কেন । তারা তাদের বিরোধী, যারা হাদিস ও তার প্রতি আমলের তোয়াক্কা করে না, তারা যেমন কেবল তাদের ইমামদের রায়কে প্রাধান্য দেয়- অথচ ইমামগণ এ থেকে নিষেধ করে গেছেন, তেমনি আহলেহাদীছগণ একমাত্র তাদের নবীর কথাকে প্রাধান্য দেন’।তিনি অন্যত্র বলেন, ‘এই বর্ণনা থেকে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, আহলে হাদিস হবে সাক্ষী স্বরূপ’। (সিলসিলা ছহীহাহ ১/৪৮২ পৃঃ ২/২৭০ এর ব্যাখ্যা)
৯ কেউ কেউ বলে থাকেন , এখানে আহলুল হাদীছ বলতে মুহাদ্দিস কে বুঝানো হয়েছে । তাদের কাছে প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে জান্নাতে কি শুধু মুহাদ্দিসরাই যাবে ? বরং আহলেহাদীছ বলতে যুগে যুগে কুর’আন এবং হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারীদের ই বুঝানো হয়েছে । আর সালাফি শব্দের অর্থ হল পূর্বসূরীদের অনুসরণ । পরিভাষিক অর্থঃ কুর’আন এবং হাদীছের অনুসরণে সালাফ অর্থাৎ নবী (সাঃ) ও তার সাহাবি (রাঃ)গণদের ব্যাখ্যা অনুসরণ করা , তারা যেভাবে কুর’আন এবং হাদীছ বুঝেছেন আমাদেরও সেইভাবে বুঝা , সেইভাবে আমল করার নাম । সহীহ বুখারীতেও এসেছে ‘সালাফ’ শব্দটি । ইমাম বুখারী (রহঃ)সহীহ বুখারীতে, আত্বইমাহ/খাদ্য’ অনুচ্ছেদ ২৭ নং এর শিরোনাম এই বলে নির্ণয় করেন যে, ‘‘সালাফগণ তাদের বাড়ি বা সফরে যা জমা রাখতেন খাদ্য, গোশত এবং অন্য কিছু ...’’। অতঃপর তিনি কুর’বানীর গোশত জমা রাখার হাদীছ বর্ণনা করেন । (বুখারী হা/৫৪৬৩)।আল্লাহু আলাম
জুয়েল মাহমুদ সালাফি
আর আহলেহাদীছ , আহলুল হাদীছ বা সালাফি এইগুলা একজন মুসলিমদের বৈশষ্ট্য । যাকে আমরা Adjective বা গুণ/বৈশিষ্ট্য বলে জানি । আহলেহাদীছ এর অর্থ হাদীছের অনুসারী কিন্তু ব্যাপক অর্থে পরাভাষিক অর্থেঃ কুর’আন এবং হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারী । কারণ হাদিসের অর্থ বাণী এবং কুর’আন কে খইরাল হাদীছ বা উৎকৃষ্ট বাণী বলা হয়েছে । (রিয়াযুস স্ব-লিহীন ১ম খন্ড, হা/১৭০)
তাছাড়া, প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কোন মুসলিম যুবককে দেখলে খুশি হয়ে বলতেন, “রাসূল (সাঃ) এর অসিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে মারহাবা জানাচ্ছি ।রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে মজলিস প্রসস্থ করার ও তোমাদেরকে হাদীছ বুঝাবার নির্দেশ দিয়ে গেছেন । কারণ কেননা তোমরাই আমাদের পরবর্তি বংশধর ও পরবর্তি আহলুল হাদীছ”। (আলবানী সিলসিলাহ সহীহাহ হা/২৮০, আবু বকর আল খতীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ, (লাহোর রিপন প্রেসঃ তারিখ বিহীন) পৃঃ ১২, হাকেম সহীহ বলেছেন)
১ খ্যাতনামা তাবেঈ ইমাম শা‘বী (২২-১০৪ হিঃ) সাহাবায়ে কেরামের জামা‘আতকে ‘আহলে হাদীছ’ বলতেন । যেমন একদা তিনি বলেন, ‘এখন যেসব ঘটছে তা আগে জানলে আমি কোন হাদিস বর্ণনা করতাম না, কেবল ঐ হাদিস ব্যতীত, যার উপরে ‘আহলুল হাদীছ’ অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরাম একমত হয়েছেন’ ।(শামসুদ্দিন যাহাবী, তাযকেরাতুল হুফফায (বৈরুতঃ দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/৮৩ পৃঃ)।
২ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, ‘সর্বোত্তম হল আমার প্রজন্মের মানুষ । তারপরে এর পরে যারা আসবে তারা এবং এরপরে যারা আসবে তারা.........” (সহীহ বুখারী অনুচ্ছেদ ৮১, হা/৬৫০৫)
সুতরাং ‘আহলে হাদীছ’ কথাটি সাহাবী এবং তাবেঈ থেকে প্রমাণিত হল । তাদের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি কারণ তারা শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের মানুষ । এরপরে আরো অনেক মুজতাহিদগণ ই আহলেহাদীছদের সম্পর্কে বলেছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের কথা তুলে ধরছিঃ ইয়াযীদ ইবনে হারূণ ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল ফের্কায়ে নাজিয়া সম্পর্কে বলেন, “তারা যদি আহলেহাদীছ তবে আমি জানি না তারা কারা’’। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহা হা/২৭০ –এর ব্যাখ্যা; শারফ ১৫)
৩ ক্বাযী আয়ায বলেন, ইমাম আহমাদ (রহঃ) একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করেন, তাদেরকে বুঝিয়েছেন’।(ফৎহুল বারী ‘ইলম’ অধ্যায় ১/১৯৮ হা/৭১-এর ব্যাখ্যা ।)
৪ ইমাম হাম্বল আরো বলেন, ‘আহলে হাদিসের চেয়ে উত্তম কোন দল আমার কাছে নেই । তারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না’। (আবু বকর আল-খতিব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদিস পৃঃ ২৭ ।)
৫ ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘যখন আমি কোন আহলে হাদীছকে দেখি তখন আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জীবন্ত দেখি’ (শারফু ২৬)
৬ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেনঃ ‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানার কথা যে, আহলে হাদীছগণই হলেন, মুসলিমদের মধ্যে রাসূল (সাঃ) এর বাণীসমূহের ও তার ইলমের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের অধিক প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হতে সর্বাধিক অধিক দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধিতা সে করে থাকে ।….মুসলিমদের মধ্যে তাদের অবস্থান এত মর্যাদাপূর্ণ, যেমন সকল জাতির মধ্যে মুসলিমদের অবস্থান মর্যাদাপূর্ণ’ ।(ইবনু তাইমিয়া মিনহাজুস সুন্নাহ, ২/১৭৯ পৃঃ)
৭ তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আবু হানিফা, মালেক, শাফেঈ ও আহমাদের জন্মের বহু পূর্বে হতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের প্রাচীন একটি মাযহাব সুপরিচিত ছিল । সেটি হল সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব, যারা তাদের নবীর কাছ থেকে সরাসরি ইলম হাছিল করেছিল’ । (আহমাদ ইবনু তাইমিয়া মিনহাজুস সুন্নাহ মিশরী ছাপা, ১/২৫৬ পৃঃ ।)
৮ যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) বলেন, “আহলেহাদীছগণ হলেন তাঁরাই, যারা মুহাম্মাদ (সাঃ) ব্যতীত নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির রায়কে প্রাধান্য দেয় না, যতই বড়ই তিনি হোক না কেন । তারা তাদের বিরোধী, যারা হাদিস ও তার প্রতি আমলের তোয়াক্কা করে না, তারা যেমন কেবল তাদের ইমামদের রায়কে প্রাধান্য দেয়- অথচ ইমামগণ এ থেকে নিষেধ করে গেছেন, তেমনি আহলেহাদীছগণ একমাত্র তাদের নবীর কথাকে প্রাধান্য দেন’।তিনি অন্যত্র বলেন, ‘এই বর্ণনা থেকে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, আহলে হাদিস হবে সাক্ষী স্বরূপ’। (সিলসিলা ছহীহাহ ১/৪৮২ পৃঃ ২/২৭০ এর ব্যাখ্যা)
৯ কেউ কেউ বলে থাকেন , এখানে আহলুল হাদীছ বলতে মুহাদ্দিস কে বুঝানো হয়েছে । তাদের কাছে প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে জান্নাতে কি শুধু মুহাদ্দিসরাই যাবে ? বরং আহলেহাদীছ বলতে যুগে যুগে কুর’আন এবং হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারীদের ই বুঝানো হয়েছে । আর সালাফি শব্দের অর্থ হল পূর্বসূরীদের অনুসরণ । পরিভাষিক অর্থঃ কুর’আন এবং হাদীছের অনুসরণে সালাফ অর্থাৎ নবী (সাঃ) ও তার সাহাবি (রাঃ)গণদের ব্যাখ্যা অনুসরণ করা , তারা যেভাবে কুর’আন এবং হাদীছ বুঝেছেন আমাদেরও সেইভাবে বুঝা , সেইভাবে আমল করার নাম । সহীহ বুখারীতেও এসেছে ‘সালাফ’ শব্দটি । ইমাম বুখারী (রহঃ)সহীহ বুখারীতে, আত্বইমাহ/খাদ্য’ অনুচ্ছেদ ২৭ নং এর শিরোনাম এই বলে নির্ণয় করেন যে, ‘‘সালাফগণ তাদের বাড়ি বা সফরে যা জমা রাখতেন খাদ্য, গোশত এবং অন্য কিছু ...’’। অতঃপর তিনি কুর’বানীর গোশত জমা রাখার হাদীছ বর্ণনা করেন । (বুখারী হা/৫৪৬৩)।আল্লাহু আলাম
জুয়েল মাহমুদ সালাফি