• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর নামাজে আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় দুআ করা জায়েয আছে কি?

Azzaam Fayad

New member

Threads
1
Comments
4
Reactions
19
Credits
155
নামাযে অনারব ভাষায় দুআ করা যাবে কি না এ বিষয়ে আলেমদের মাঝে দ্বিমত আছে। কেউ বলেন, জায়েয নাই। কেউ বলেছেন, জায়েয আছে। কেউ আবার যারা আরবি পারে না কেবল তাদের জন্য জায়েয বলেছেন। তবে সার্বিক বিচারে সর্বাধিক সঠিক মত হল, আরবি না জানলে নিজ ভাষাতেই দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোন কল্যাণের জন্য দুয়া করা জায়েয রয়েছে। সর্ব শেষ মতটিকেই সউদী বড় আলেমগণ সমর্থন করেছেন।

▪ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন,

أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ". أخرجه مسلم (1/350 ، رقم 482)​

“সিজদা অবস্থায় বান্দা আপন প্রভুর সবচেয়ে অধিক নিকটতম হয়ে থাকে। সুতরাং (ঐ অবস্থায়) তোমরা বেশী-বেশী করে দুআ কর।” (মুসলিম, সহীহ ১/৩৫৮, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৪৫৬নং)

▪ ইবনে মাসউদের হাদিসে যখন তিনি তাশাহহুদ শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন বলেছিলেন :

( ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعاَءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَيَدْعُوْا )​

"অত:পর তার কাছে যে দু'আ পছন্দনীয়, তা নির্বাচন করে দু'আ করবে।"

▪ অন্য এক বর্ণনায় আছে,

( ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ )​

"অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দু'আ করতে পারে।" (বুখারী হা/৮৩৫ ও মুসলিম হা/৪০২)

সুতরাং সেজদা অবস্থায় অথবা সালাম ফিরানোর পূর্বে দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল কামনা করে নিজের পছন্দমত যে কোন দু'আ করবে। পিতা-মাতা ও অন্যান্য মুসলমানের জন্য দু'আ করবে, নিজের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দুআ করবে, স্ত্রী-পরিবারের জন্য দুআ করবে...।

মোটকথা, উপরোক্ত ক্ষেত্রে নিজের মত করে যত খুশি দুআ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ফরজ অথবা নফল নামাযে কোনই পার্থক্য নেই। আরবিতে দুআ করার শর্ত করা হলে, হাদিসের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। কারণ পৃথিবীতে সব মানুষের ভাষা আরবি নয়। সুতরাং তাদের দ্বারা আরবিতে দুআ করা আদৌ সম্ভবপর নয়।

উল্লেখ্য যে, সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবীহগুলো আরবিতে পাঠ করার পর সর্ব প্রথম চেষ্টা করবে, হাদিস বা কুরআনে বর্ণিত আরবি ভাষায় দুআগুলো যথাসম্ভব পাঠ করার। তারপর নিজের সমস্যা ও চাওয়া-পাওয়া মহান রবের দরবারে নিজের ভাষায় কাকুতি-মিনতি সহ কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তুলে ধরে দুআ করবে। আল্লাহু আলাম।

- আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top