মুসলিমদের অনেকেরই ধারণা হলো, শেষ নাবি মুহাম্মাদ এর ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছিল। কেননা তাঁকে আল্লাহ সপ্ত আকাশ ভেদ করে এমন এক সীমানা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন যেখানে ফেরেশতাদেরও যাওয়ার অনুমতি নেই। অথচ নাবি (সা.) এর স্ত্রী, আইশাহ (রা.) এর কাছে মাসরুক (রা.) যখন জানতে চেয়েছিলেন, নাবি (সা.) তাঁর রবকে দেখেছেন কি না, তখন তিনি উত্তরে বলেন, “তুমি যা জানতে চেয়েছ তার কারণে আমার শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছে! যে বলবে মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, সে অবশ্যই মিথ্যা বলল!” [সহীহ মুসলিম]
তাছাড়া নাবি (সা.) আল্লাহকে দেখেছেন কিনা এ ব্যাপারে আবু যার নাবি (সা.) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “সেখানে ছিল শুধুই জ্যোতি, আমি কীভাবে তাঁকে দেখতে পারতাম।” [সহীহ মুসলিম]
অন্য এক ঘটনায় নাবি (সা.) এই জ্যোতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ওই জ্যোতিই স্বয়ং আল্লাহ নন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ নিদ্রা যান না, আর নিদ্রা তাঁর জন্য শোভনীয়ও নয়। তিনিই কিন্ত বা ইনসাফের মানদণ্ড হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটান। তাঁর নিকট রাতের পূর্বেই দিনের সকল আমল উত্থিত হয় এবং দিনের পূর্বেই রাতের আমল উত্থিত হয়। জ্যোতি হলো তাঁর আচ্ছাদন।” [সহীহ মুসলিম]
অতএব এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, পূর্ববর্তী নাবিগণের মতো নাবি মুহাম্মাদ (সা.) নিজেও তাঁর জীবদ্দশায়, জাগ্রত অবস্থায় আল্লাহ্ কে দেখেননি। তাই যারা এই জীবনে আল্লাহকে চাক্ষুষ দেখেছে বলে দাবি করে তাদের সকলের দাবিই মিথ্যা। সমগ্র মানবজাতির মধ্য থেকে আল্লাহ যাদেরকে তাঁর নাবি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন, সেই নাবিগণই যদি আল্লাহকে দেখতে সক্ষম না হন, তাহলে অন্য কোনো মানুষ, সে যতই সৎকর্মশীল হোক না কেন, কীভাবে আল্লাহকে দেখতে পারে? আল্লাহকে এবং কুফরি বক্তব্য। দেখতে পাওয়ার দাবি করা মূলত একটা ঈমান বিধ্বংসী কারণ এ দাবি ইঙ্গিত করে যে, সে নাবিদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
উৎস- এক, পৃষ্ঠা: ১৭১-১৭২, লেখক: ড. বিলাল ফিলিপস, শারঈ সম্পাদক: ড. মানজুরে ইলাহী ; সিয়ান পাবলিকেশন
তাছাড়া নাবি (সা.) আল্লাহকে দেখেছেন কিনা এ ব্যাপারে আবু যার নাবি (সা.) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “সেখানে ছিল শুধুই জ্যোতি, আমি কীভাবে তাঁকে দেখতে পারতাম।” [সহীহ মুসলিম]
অন্য এক ঘটনায় নাবি (সা.) এই জ্যোতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ওই জ্যোতিই স্বয়ং আল্লাহ নন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ নিদ্রা যান না, আর নিদ্রা তাঁর জন্য শোভনীয়ও নয়। তিনিই কিন্ত বা ইনসাফের মানদণ্ড হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটান। তাঁর নিকট রাতের পূর্বেই দিনের সকল আমল উত্থিত হয় এবং দিনের পূর্বেই রাতের আমল উত্থিত হয়। জ্যোতি হলো তাঁর আচ্ছাদন।” [সহীহ মুসলিম]
অতএব এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, পূর্ববর্তী নাবিগণের মতো নাবি মুহাম্মাদ (সা.) নিজেও তাঁর জীবদ্দশায়, জাগ্রত অবস্থায় আল্লাহ্ কে দেখেননি। তাই যারা এই জীবনে আল্লাহকে চাক্ষুষ দেখেছে বলে দাবি করে তাদের সকলের দাবিই মিথ্যা। সমগ্র মানবজাতির মধ্য থেকে আল্লাহ যাদেরকে তাঁর নাবি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন, সেই নাবিগণই যদি আল্লাহকে দেখতে সক্ষম না হন, তাহলে অন্য কোনো মানুষ, সে যতই সৎকর্মশীল হোক না কেন, কীভাবে আল্লাহকে দেখতে পারে? আল্লাহকে এবং কুফরি বক্তব্য। দেখতে পাওয়ার দাবি করা মূলত একটা ঈমান বিধ্বংসী কারণ এ দাবি ইঙ্গিত করে যে, সে নাবিদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
উৎস- এক, পৃষ্ঠা: ১৭১-১৭২, লেখক: ড. বিলাল ফিলিপস, শারঈ সম্পাদক: ড. মানজুরে ইলাহী ; সিয়ান পাবলিকেশন