- Views: 304
- Replies: 2
আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি তাকে কিছু না দিয়ে কোনোদিন ফেরত পাঠান নি। একদিন তার নিকট একজন লোক এসে কিছু চাইলে তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মাঝ থেকে একটি ছাগল দেন। ছাগলটি নিয়ে সে তার সম্প্রদায়ে লোকদের নিকট গিয়ে বলল, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কারণ, মুহাম্মাদ এত বেশি দান করে যে, সে তার নিজের অভাবকে ভয় করে না”।[1]
লোকটির কথা স্পষ্ট প্রমাণ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত যে দানশীল ছিলেন এবং তার হাত কতটা প্রসস্থ ছিল।[2]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই আল্লাহর রাহে দান-খয়রাত করেন। আবার কখনোও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য লোকদের তিনি দান খয়রাত করেন। প্রথমে দেখা যায়, একজন লোক পার্থিব উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করে কিন্তু যখন সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকতে থাকে তখন কিছু দিন যেতে না যেতেই আল্লাহ তা‘আলা তার অন্তরে ইসলামের মুহাব্বত ও ঈমানের হাকীকত খুলে দেন। তখন তার নিকট ঈমান ও ইসলাম দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায়।[3]
এ ধরনের দৃষ্টান্ত হাদীসে অনেক আছে। যেমন, ইমাম মুসলিম তার সহীহ’তে বর্ণনা করেন,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের পর তার সাথে যেসব মুসলিম ছিল তাদের নিয়ে হুনাইনের দিকে রওয়ানা করেন। সেখানে যুদ্ধ করার পর আল্লাহ তা‘আলা ইসলাম ও মুসলিমদের বিজয় দান করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফওয়ান ইবন উমাইয়াকে একশটি উট দেন। তারপর আরও একশ তারপর আরও একশ। সাফওয়ান ইবন উমাইয়া বলে, আল্লাহর শপথ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যা দেওয়ার দিয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি আমার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন দিতে থাকেন এখন তিনি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন”।[4]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
“এমন মানুষ ছিল যারা একমাত্র পার্থিব কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই ইসলাম গ্রহণ করত। কিন্তু যখন সে ইসলাম গ্রহণ করত তখন ইসলাম তার নিকট দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা থেকে সর্বাধিক প্রিয় বস্তুতে পরিণত হত”।[5]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো দুর্বল ঈমানদার লোক দেখতেন তখন তাকে পার্থিব মালামাল বেশি দান করতেন এবং তিনি বলতেন,
“আমি যদি কোনো লোককে কোনো কিছু দিয়ে থাকি তা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয় তাকে জাহান্নামে উপর করে নিক্ষেপ করার চেয়ে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশের অনেক লোককে একশ উট দান করে দিতেন”।[6] যেমনটি হাদীসে বর্ণিত,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশের অনেক লোককে একশ উট দান করে দিতেন”।[7]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমতপূর্ণ আচরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো, দুই মশক বিশিষ্ট মুশরিক মহিলার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে তা দিলেন যে মশক দু’টি আগের চেয়ে আরও বেশি পরিপূর্ণরূপে ফিরে আসে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের বললেন, তোমরা তার জন্য একত্র কর। তখন তারা তার শুকনা খেজুর আটা ও ছাতু ইত্যাদি যোগাড় করে। প্রচুর পরিমাণ খানা একত্র করে একটি কাপড়ে রাখে এবং তার উটের উপর তুলে দেয়। তারপর কাপড়টি তার সামনে রেখে তাকে বলেন, তুমি যাও তোমার পরিবার পরিজনকে তোমরা এসব খাওয়াও। আল্লাহর শপথ অচিরেই তুমি জানতে পারবে আমরা তোমার পানি থেকে একটুও কমাই নেই। তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পান করিয়েছেন।
এখানে আরও বর্ণিত যে মহিলাটি তার কাওমের দিকে ফিরে এসে বলে, আমি বড় একজন যাদুকরের সাথে সাক্ষাৎ করছি। তারা বিশ্বাস করে সে একজন নবী। আল্লাহ তা‘আলা এ মহিলার মাধ্যমে কয়েকটি পরিবারকে দীনের দিকে হিদায়াত দেন। সে নিজে ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার মাধ্যমে আরও অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করে।[8]
মহিলাটির ইসলাম গ্রহণের কারণ দু’টি বিষয়:
এক. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ তার মশক নিয়ে যেতে সে দেখ। কিন্তু এ কারণে তার পানি একটুও কমে নি। এটি ছিল নিশ্চিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মু‘জিযা যা তার রিসালাতের সত্যতার ওপর বিশেষ প্রমাণ।
দুই. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদারতা ও দানশীলতা। কারণ, তিনি তার সাহাবীদের আদেশ দেন যাতে তারা তার জন্য অনেক খাদ্য একত্র করে। তারপর তারা যখন খাদ্য একত্র করে তা তাকে মুগ্ধ করে। আর তার কাওমের লোকেরা তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে। কারণ মুসলিমরা তার কাওমের লোকদের অবস্থার প্রতিও বিশেষ গুরুত্বারোপ করে, যাতে তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এটাই শেষ পর্যন্ত তাদের ইসলাম কবুল করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।[9]
উপরে যেসব দৃষ্টান্ত আলোচনা করা হলো, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দানশীলতা ও বদান্যতার অথৈ সমুদ্রের একটি ফোটা মাত্র। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দানশীলতা ও বদান্যতার বর্ণনা দিয়ে শেষ করা আমাদের কারো পক্ষে সম্ভব নয়। দা‘ঈদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণ, তার আদর্শ ও আখলাক থেকে এসব আচরণগুলো চয়ন করে তা তাদের যাবতীয় কর্মক্ষেত্রে ও দা‘ওয়াতী ময়দানে কাজে লাগাতে পারে। আল্লাহই আমাদের সাহায্যকারী।
[1] সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল ১৮০৬/৪।
[2] সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদব, হাদীস নং ৬০৩৩; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল, হাদীস নং ১৮০৬, ১৮০৫।
[3] দেখুন: শরহে নববী ৭২/১৫।
[4] সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল: ১৮০৬/৪, হাদীস নং ২৩১৩।
[5] পূর্বের রেফারেন্স ১৮০৬, ৫৮/২৩১২।
[6] সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাদীস নং ১৪৭৮; সহীহ মুসলিম, কিতাবুয যাকাত, হাদীস নং ১০৫৯।
[7] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৪৭।
[8] সহীহ বুখারী, কিতাবুল মানাকেব, হাদীস নং ৩৫৭১; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল মাসাজিদ, হাদীস নং ৬৮২।
[9] দেখুন: ফাতহুল বারী ৪৫৬/১।
«ما سُئل رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم على الإسلام شيئاً إلا أعطاه قال: فجاءَه رجلٌ فأعطاه غنماً بين جبلين فرجع إلى قومه فقال: يا قوم، أسلموا؛ فإن محمداً يعطي عطاءً لا يخشى الفاقة»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি তাকে কিছু না দিয়ে কোনোদিন ফেরত পাঠান নি। একদিন তার নিকট একজন লোক এসে কিছু চাইলে তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মাঝ থেকে একটি ছাগল দেন। ছাগলটি নিয়ে সে তার সম্প্রদায়ে লোকদের নিকট গিয়ে বলল, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কারণ, মুহাম্মাদ এত বেশি দান করে যে, সে তার নিজের অভাবকে ভয় করে না”।[1]
লোকটির কথা স্পষ্ট প্রমাণ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত যে দানশীল ছিলেন এবং তার হাত কতটা প্রসস্থ ছিল।[2]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই আল্লাহর রাহে দান-খয়রাত করেন। আবার কখনোও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য লোকদের তিনি দান খয়রাত করেন। প্রথমে দেখা যায়, একজন লোক পার্থিব উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করে কিন্তু যখন সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকতে থাকে তখন কিছু দিন যেতে না যেতেই আল্লাহ তা‘আলা তার অন্তরে ইসলামের মুহাব্বত ও ঈমানের হাকীকত খুলে দেন। তখন তার নিকট ঈমান ও ইসলাম দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায়।[3]
এ ধরনের দৃষ্টান্ত হাদীসে অনেক আছে। যেমন, ইমাম মুসলিম তার সহীহ’তে বর্ণনা করেন,
«أن النبي صلى الله عليه وسلم غزا غزوة الفتح – فتح مكة – ثم خرج صلى الله عليه وسلم بمن معه من المسلمين فاقتتلوا بحنين، فنصر اللَّه دينه والمسلمين، وأعطى رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم صفوان بن أمية مائة من الغنم، ثم مائة، ثم مائة. قال صفوان: واللَّه لقد أعطاني رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم ما أعطاني وإنه لأبغض الناس إليّ، فما برح يعطيني حتى إنه لأحب الناس إليَّ».
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের পর তার সাথে যেসব মুসলিম ছিল তাদের নিয়ে হুনাইনের দিকে রওয়ানা করেন। সেখানে যুদ্ধ করার পর আল্লাহ তা‘আলা ইসলাম ও মুসলিমদের বিজয় দান করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফওয়ান ইবন উমাইয়াকে একশটি উট দেন। তারপর আরও একশ তারপর আরও একশ। সাফওয়ান ইবন উমাইয়া বলে, আল্লাহর শপথ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যা দেওয়ার দিয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি আমার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন দিতে থাকেন এখন তিনি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন”।[4]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«إن كان الرجل ليسلم ما يريد إلا الدنيا، فما يسلم حتى يكون الإسلام أحب إليه من الدنيا وما عليها»
“এমন মানুষ ছিল যারা একমাত্র পার্থিব কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই ইসলাম গ্রহণ করত। কিন্তু যখন সে ইসলাম গ্রহণ করত তখন ইসলাম তার নিকট দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা থেকে সর্বাধিক প্রিয় বস্তুতে পরিণত হত”।[5]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো দুর্বল ঈমানদার লোক দেখতেন তখন তাকে পার্থিব মালামাল বেশি দান করতেন এবং তিনি বলতেন,
«إني لأعطي الرجل وغيره أحب إليّ منه خشية أن يُكبَّ في النار على وجهه».
“আমি যদি কোনো লোককে কোনো কিছু দিয়ে থাকি তা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয় তাকে জাহান্নামে উপর করে নিক্ষেপ করার চেয়ে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশের অনেক লোককে একশ উট দান করে দিতেন”।[6] যেমনটি হাদীসে বর্ণিত,
«يعطي رجالاً من قريش مائة من الإبل»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশের অনেক লোককে একশ উট দান করে দিতেন”।[7]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিকমতপূর্ণ আচরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো, দুই মশক বিশিষ্ট মুশরিক মহিলার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে তা দিলেন যে মশক দু’টি আগের চেয়ে আরও বেশি পরিপূর্ণরূপে ফিরে আসে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের বললেন, তোমরা তার জন্য একত্র কর। তখন তারা তার শুকনা খেজুর আটা ও ছাতু ইত্যাদি যোগাড় করে। প্রচুর পরিমাণ খানা একত্র করে একটি কাপড়ে রাখে এবং তার উটের উপর তুলে দেয়। তারপর কাপড়টি তার সামনে রেখে তাকে বলেন, তুমি যাও তোমার পরিবার পরিজনকে তোমরা এসব খাওয়াও। আল্লাহর শপথ অচিরেই তুমি জানতে পারবে আমরা তোমার পানি থেকে একটুও কমাই নেই। তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পান করিয়েছেন।
এখানে আরও বর্ণিত যে মহিলাটি তার কাওমের দিকে ফিরে এসে বলে, আমি বড় একজন যাদুকরের সাথে সাক্ষাৎ করছি। তারা বিশ্বাস করে সে একজন নবী। আল্লাহ তা‘আলা এ মহিলার মাধ্যমে কয়েকটি পরিবারকে দীনের দিকে হিদায়াত দেন। সে নিজে ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার মাধ্যমে আরও অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করে।[8]
মহিলাটির ইসলাম গ্রহণের কারণ দু’টি বিষয়:
এক. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ তার মশক নিয়ে যেতে সে দেখ। কিন্তু এ কারণে তার পানি একটুও কমে নি। এটি ছিল নিশ্চিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মু‘জিযা যা তার রিসালাতের সত্যতার ওপর বিশেষ প্রমাণ।
দুই. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদারতা ও দানশীলতা। কারণ, তিনি তার সাহাবীদের আদেশ দেন যাতে তারা তার জন্য অনেক খাদ্য একত্র করে। তারপর তারা যখন খাদ্য একত্র করে তা তাকে মুগ্ধ করে। আর তার কাওমের লোকেরা তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে। কারণ মুসলিমরা তার কাওমের লোকদের অবস্থার প্রতিও বিশেষ গুরুত্বারোপ করে, যাতে তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এটাই শেষ পর্যন্ত তাদের ইসলাম কবুল করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।[9]
উপরে যেসব দৃষ্টান্ত আলোচনা করা হলো, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দানশীলতা ও বদান্যতার অথৈ সমুদ্রের একটি ফোটা মাত্র। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দানশীলতা ও বদান্যতার বর্ণনা দিয়ে শেষ করা আমাদের কারো পক্ষে সম্ভব নয়। দা‘ঈদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণ, তার আদর্শ ও আখলাক থেকে এসব আচরণগুলো চয়ন করে তা তাদের যাবতীয় কর্মক্ষেত্রে ও দা‘ওয়াতী ময়দানে কাজে লাগাতে পারে। আল্লাহই আমাদের সাহায্যকারী।
[1] সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল ১৮০৬/৪।
[2] সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদব, হাদীস নং ৬০৩৩; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল, হাদীস নং ১৮০৬, ১৮০৫।
[3] দেখুন: শরহে নববী ৭২/১৫।
[4] সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল: ১৮০৬/৪, হাদীস নং ২৩১৩।
[5] পূর্বের রেফারেন্স ১৮০৬, ৫৮/২৩১২।
[6] সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাদীস নং ১৪৭৮; সহীহ মুসলিম, কিতাবুয যাকাত, হাদীস নং ১০৫৯।
[7] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৪৭।
[8] সহীহ বুখারী, কিতাবুল মানাকেব, হাদীস নং ৩৫৭১; সহীহ মুসলিম, কিতাবুল মাসাজিদ, হাদীস নং ৬৮২।
[9] দেখুন: ফাতহুল বারী ৪৫৬/১।