সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

ভ্রান্ত আকিদা দলিল ভিত্তিক শিয়া’দের কুফরি আকিদা সমূহ

Threads
8
Comments
18
Reactions
113
Credits
50
শিয়াদের কুফরি আকিদা সমূহঃ

১/ শিয়াদের কালিমা হচ্ছে---(লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ ‘ওয়া আলিউন ওয়ালিউল্লাহ’)
এমনকি আজানেও তারা এই বাক্যটি ব্যবহার করে এমনকি মৃত ব্যক্তিকে এই কালিমা বলে তালকীন করে। [১]

২/ আল্লাহ তায়ালা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। [২]
৩/ শিয়াদের একটি উপদল ইমামিয়্যাহ, তারা তাদের ইমামদেরকে আল্লাহ তায়ালার গুণে গুণান্নিত মনে করে। এমনকি তারা তাদেরকে আল্লহর নামেও ডাকে। [৩]
৪/ এটাও শিয়াদের আকিদা যে, আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (আ.) কে ওহি দিয়ে আলি (রা.) এর নিকট পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল করে মুহাম্মদ (স.) এর নিকট তা অবতীর্ণ করেছেন। [৪]
৫/ শিয়াদের আকিদা, বর্তমান কুরআন শরীফ অসম্পূর্ণ। [৫]
৬/ তারা বলে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ)তিনি কুরআন শরীফ সংরক্ষনে বাধা দিয়েছিলেন।[৬]
৭/ তাদের আরেকটি আকিদা হল, প্রকৃত কুরআন শরীফ ইমাম মাহাদী, উনার নিকট আছে। [৭]
৮/ শিয়াদের অধিকাংশ মুহাদ্দিছ বিশ্বাস করে যে, কুরআন শরীফ-এ অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। [৮]
৯/ তারা বলে মত হচ্ছে এটা,

যে ব্যক্তি দাবী করে যে, মহান আল্লাহ পাক, তিনি পূর্ণ কুরআন শরীফ যেভাবে নাযিল করেছেন, অনুরূপ সে তা একত্র করেছেন, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ পাক যেভাবে কুরআন শরীফ নাযিল করেছেন, হযরত আলী (রাঃ) এবং উনার পরবর্তী ইমামগণ ছাড়া কেউই তা হুবহু একত্র ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হননি। [৯]

১০/ তারা বলে, যে ব্যক্তি হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করলো সে যেন আরশে আল্লাহ তায়ালার যেয়ারত করলো। [১০]
নিচে দলিল সহ মুল কিতাবগুলো থেকে আনা হয়েছে,, শিয়াদের আকিদাহ সম্পর্কে মুল কিতাব থেকে দেখতে পারেন।

১১/ শিয়া শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে, ইমামদের কবরের দিকে হজ করা,
কাবায় হজ করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাওয়াবের কাজ। [১১]

১২/ শিয়াদের ধারণা, আলি (রা.) অদৃশ্যের খবর জানেন। তারা বলে, তিনি নাকি বলেছেন, "আমি জমিনের প্রতিপালক। আমার মাধ্যমেই জমীন স্থীর রয়েছে"।
[১২]

১৩/ তারা এটিও বিশ্বাস করে যে,
হযরত আলি (রাঃ)তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করতে পারেন। [১৩]

১৪/ শিয়া শায়খদের অভিমত, আলি (রা.) মৃত ব্যক্তিকে জিবিত করতে সক্ষম। [১৪]
১৫/ মুতা বিবাহ (সাময়ীক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ) যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে তারা হালাল ঘোষণা করে। তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষননা সে অবিভাবক ও সাক্ষি ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতা করা সত্তরবার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। [১৫]
১৬/ শিয়াদের একটি বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে তাদের ইমামদের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই ফেরেশতাদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারা হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদবে। এধরনের চার হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদতে থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সকল ফেরেশতার আল্লাহর নিকট অনুমতি চাইবে যেন তাদেরকে হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করার সুযোগ দেয়া হয়। অতএব কিছু ফেরেশতা যিয়ারত শেষে আকাশে উঠে যাবে আর অন্যরা অবতরণ করবে। [১৬]
১৭/ খোমেনী তার ইসলামী হুকুমত কিতাবের মধ্যে লিখেছে যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্যাদা রয়েছে যেখানে কোন নিকটস্থ ফেরেশতা বা কোন প্রেরিত নবীও পৌঁছাতে পারবে না।
১৮/ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইন্তিকালের পর হযরত মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারেসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই তিন ব্যক্তি ব্যতীত সমস্ত মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) মুরতাদ ছিল।
[১৭]

১৯/ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ), হযরত উমর ফারুক (রাঃ), হযরত উছমান যিন নূরাইন (রাঃ) এবং হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)
উনারা জাহান্নামের জ্বালানী কাষ্ঠ। [১৮]

২০/ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ)এর ইন্তেকালের সময় কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারেন নি [১৯]
২১/ শয়তান সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) এর কাছ থেকে তার প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়েছিল [২০]
২২/ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) এবং হযরত উমর ফারুক (রাঃ) উনারা শয়তানের চেয়ে বেশী অত্যাচারী ছিলেন [২১]
২৩/ হযরত ইমাম মাহাদী সকল সুন্নী আলিমদের হত্যা করবেন [২২]
২৪/ শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে ব্যক্তি আবুবকর, ওমর, উছমান, মুআবিয়া , আয়েশা এবং হাফসা রাদিআল্লাহু আনহুমদের প্রতি ফরজ নামাজের পর অভিসাপ দিবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অতি নৈকট্যশিল বান্দা হতে পারবে। [২৩]
২৫/ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) এবং হযরত উমর ফারুক (রাঃ) উনারা কাফির এবং যারা উনাদেরকে ওলী হিসেবে গ্রহণ করবে তারাও কাফির।
[২৪]

২৬/ শিয়াদের শায়খ আলবা ইবনে দিরা, এই ব্যক্তি মর্যাদার দিক থেকে আলি (রা.) কে রাসুল (স.) এর চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়।
একথাও বলে যে, মুহাম্মদকে (সঃ)আলি (রা.) ই পাঠিয়েছেন। তাদের ধারণা এটিও যে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছেন যেন তিনি মানুষকে আলি (রা.) এর দিকে ডাকেন। কিন্তু তা না করে তিনি মানুষকে নিজের দিকে ডাকতে শুরু করেছেন। [২৫]

২৭/ খোমেনী তার ইসলামী হুকুমত কিতাবের মধ্যে লিখেছে যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্যাদা রয়েছে যেখানে কোন নিকটস্থ ফেরেশতা বা কোন প্রেরিত নবীও পৌঁছাতে পারবে না।
২৮/ ইমাম খোমেনী এই পাপিষ্ঠ বলে, যেকোন ধরণের যৌন লালসা পুরণ করায় কোন গোনাহ নেই এমনকি তা যদি দুগ্ধজাত শিশুর সাথেও হয়। [২৬]
২৯/ শিয়াদের শায়খরা বলে, তাদের ইমামরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী ব্যতীত কথা বলে না। এব্যাপারে সকলকে ঈমান রাখতে হবে। [২৭]
৩০/ তাদের আক্বিদা যে, উসমান বিন আফফান (রা.) রাসুলের সময়ে প্রকাশ্যে ঈমানদার ছিলেন, তবে ভিতরে ভিতরে তিনি ছিলেন মুনাফিক। [২৮]
সাথে সাথে তারা এ বিশ্বাস করে যে, যে ব্যক্তি উসমান (রা.) এর ক্ষেত্রে মনের মধ্যে শত্রুতা না রাখবে এবং তাকে কাফের মনে না করবে সে আল্লাহ ও তার রাসুলের শত্রু। এবং সে কাফের। [২৯]

৩১/ এই শিয়ারা সকল মুসলমানদের মা জননী আয়েশা (রা.) কে এবং হাফসা (রা.) কে কাফের মনে করে। [৩০]
৩২/ তাদের বিশ্বাস, জাহান্নামের সাতটি দরজাই আয়েশা (রা.) এর জন্য। এবং আয়েশা (রা.) ব্যভিচারিনী। (এটি একটি বিরাট অপবাদ)। তাদের প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি তাকে জিবিত করবেন এবং তার উপর হদ কায়েম করবেন বা তার বিচার করবেন। [৩১]
৩৩/ শিয়াদের ইমাম ও ওয়ালিদের কবর বা মাজার যেয়ারত করা অন্যান্য ফরজের মত একটি ফরজ। যে ব্যক্তি এটি পরিত্যাগ করবে সে কাফের। [৩২]
৩৪/ তাদের বিশ্বাস, কেয়ামতের পুনরুত্থানের পূর্বেই অনেক মানুষ মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে সেই চেহারা ছুরত বা আকৃতি নিয়ে আবার আসবে। এটি একটি কুফুরি মতবাদ বা হিন্দুয়ানী মতবাদ। [৩৩]
৩৫/ তারা মনে করে প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। তার যখন আবির্ভাব হবে তখন তিনি তাদের নিয়ে জুমা আদায় করবেন। [৩৪]
৩৬/ শিয়াদের বিশ্বাস, তাদের ইমাম মাহদি এসে আবুবকর ও ওমর (রা.) কে জিবিত করে শুলিতে চড়াবেন। এবং প্রতিদিন তাদেরকে হাজারবার হত্যা করবেন। [৩৫]
৩৭/ তাদের বিশ্বাস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকেরা জাহান্নমী। তারা অপবিত্র, কাফের, তাই তাদের জানাযার নামাজ পড়া জায়েয হবে না। তাদের কোরবানী হালাল হবে না। এবং তারা সকলেই জারজ সন্তান। তাদেরকে হত্যা করা, তাদের সম্পদ চুরি করা, তাদের সাথে মতবিরোধ করা বৈধ। এমনকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকদের অভিসাপ দেয়া উত্তম ইবাদত। [৩৬]
৩৮/ শিয়ারা বলে, আলি (রা.) এর কবর যিয়ারত করলে প্রতিটি পদে পদে তার জন্য একটি কবুল হজ, একটি মাবরুর ওমরা এবং একশত শহীদের ছাওয়াব লেখা হবে। তার পূর্বের ও পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তার হিসাব সহজ করা হবে। ফেরেশতারা তাকে স্বাগত জানাবে। [৩৭]
৩৯/ শিয়াদের একটি বিশ্বাস যে কেয়ামতের দিন হিসাব আল্লাহ তায়ালার নিকট নয় বরং তাদের ইমামদের নিকট হিসাব দিতে হবে। [৩৮]



তথ্যসূত্র:

[১] ফুরুউল কাফী-খ.৩ পৃ.৮২
[২] মাছাবীহুল আনওয়ার ফি হাল্লি মুশকিলাতিল আখবার: খ.২ পৃ.৩৯৭
[৩] উসূলুল কাফী-খ.১ পৃ.৩১০
[৪] আল মুনিয়াহ ওয়াল আমাল ফি শারহিল মিলাল ওয়াননিহাল,পৃ. ৩০
[৫] উসুল কাফী, মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী, ১ম খন্ড, ২২৮ পৃষ্ঠা
[৬]কাশফুল আসরার, ১১১ পৃষ্ঠা
[৭] উসুল কাফী, মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী, ২য় খন্ড, ৬৩২ পৃষ্ঠা
[৮] উসূলুল কাফী, মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী, ১ম খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা
[৯] উসূলুল কাফী, মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী, ১ম খন্ড, ২৮৫ পৃষ্ঠা
[১০] আলমাযার আল মুফীদ: পৃ.৫১
[১১] ছাওয়াবুল আমাল ওয়া ইকাবুল আমাল: পৃ.১২১-১২২
[১২] মিরআতুল আনওয়ার: ৫৯
[১৩] উসুলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩০৮
[১৪] উসূলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩৪৭
[১৫] মিসবাহুত তাহাজ্জুদ: পৃ.২৫২
[১৬ কানযু জামেউল ফাওয়ায়েদ: পৃ.৩৩৪
[১৭] উসূলুল কাফী, মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী, ২খন্ড, ২৬৪পৃষ্ঠা
[১৮] তাফসীরে কুম্মী
[১৯] ইছরার-এ-মুহম্মদ, ২১১ পৃষ্ঠা
[২০] ইছরার-এ-মুহম্মদ, ৩০ পৃষ্ঠা
[২১] হক্ব-উল-ইয়াকিন, ৫০৯ পৃষ্ঠা
[২২] হক্ব-উল-ইয়াকিন, ৫২৭ পৃষ্ঠা
[২৩] ফরুউল কাফী: খ.৩ পৃ. ২২৪
[২৪] বেহারুল আনওয়ার, আল মাজলেসী, ২৯ খন্ড, ১৩৭-১৩৮ পৃষ্ঠা
[২৫] বিহারুল আনওয়ার: খ.২৫ পৃ.৩০৫
[২৬] তাহরীরুর ওয়াসিলাহ: খ.২ পৃ.২২১
[২৭] বিহারুল আনওয়ারা: খ.১৭ পৃ,১৫৫
[২৮] আনওয়ারে নোমানী: খ.১ পৃ.৮১
[২৯] নাফহাতুল উহুত ফী লানিল জিবতি ওয়াততাগুত, কায়েদা নং ৫৭
[৩০] তাফসীর কুম্মি পৃ.৫৯৭ সুরায়ে গাফের
[৩১] ইলালুশ শারায়ে খ.২ পৃ.৫৬৫
[৩২] কামেলুয যিয়ারাত পৃ. ১৮৩
[৩৩] আওয়াএলুল মাকালাত পৃ.৪৬
[৩৪] মিফতাহুল কারামাহ: খ.২ পৃ৬৯
[৩৫] বাসায়েরুদ দারাজাত: পৃ.১৮৭-১৮৮
[৩৬] বিহারুল আনওয়ার: খ.৮ পৃ ৩৬৮-৩৭০
[৩৭] তাহজীবুল আহকাম: খ.৬ পৃ.১৩০৬
[৩৮] উসূলুল আইম্মাহ: খ.১ পৃ.৪৪৬
 
COMMENTS ARE BELOW
Top