উল্লেখিত হাদীস সমূহ ‘‘আবু ইসমাঈল আল হারউই (রহঃ)'' একটি কিতাব ‘‘কিতাব আল-আরবাইন ফি আদিল্লাতিত** তাওহীদ’’ এর থেকে সংকলন করেছেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শাইখ আবু খাদিজাহ হাফিজাহুল্লাহ । যা তার তার ওয়েবসাইটে ‘‘4o Ahadiths on Tawheed’’ নামে ধারাবাহিক সিরিজে আপলোড করেছেন । মূল লেখক বিস্তর আলোচনা আনলেও শায়েখ শুধুমাত্র হাদীসগুলো এনেছেন, এবং কোথাও কোথাও কিছু নোটসও দিয়েছেন । ইংশাল্লাহ আমরা ধারাবাহিকভাবে ৫ টা করে হাদীস নিয়ে ১টি করে পর্ব সাজিয়ে তা আপলোড করবো....
১.আবু ইসমাঈল আল হারউই (রহঃ) ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিঃ) এর সূত্রে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেণ,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لاِمْرِئٍ مَا نَوَى
‘‘কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’’ [সমাপ্ত]
সম্পূর্ণ হাদীসটি হলো,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
‘‘কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।’’
[ সহীহুল বুখারী ৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; সহীহুল মুসলিম ২৩/৪৫ #১৯০৭; আহমাদ ১৬৮ ]
২.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিঃ) থেকে বর্ণমা করেণ, তিনি বলেন,
‘‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়’আত গ্রহণ করেছি সালাত কায়িম করার, যাকাত প্রদান করার এবং সমস্ত মুসলিমের মঙ্গল কামনা করার।’’
[ সহীহুল বুখারী ৫২৪, ১৪০১, ২১৫৭, ২৭১৪, ২৭১৫, ৭২০৪; সহীহুল মুসলিম ১/২৩ #৫৬ ; আহমাদ ৩২৮১]
৩.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেণ। তিনি বলেন,
‘“যে ব্যক্তি ইলম গোপন করবে, আল্লাহ তাকে (কিয়ামতের দিন) আগুনের লাগাম পরিয়ে দিবেন।”
[ সনদ সহীহ | মুস্তাদরাক আল-হাকিম (কিতাবুল ঈমান) ১/১০২ ]
৪.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) বর্ণনা করেণ উবাইদাহ থেকে, যিনি বর্ণনা করেণ আব্দুল্লাহ (রাদিঃ) থেকে। তিনি বলেন,
এক ইয়াহূদী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল,
‘‘হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ্ কিয়ামতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকী সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই।’’
এতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন,
وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ
‘‘তারা আল্লাহ্ তা’আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি দেয়নি।’’
ফুদায়ল এবং সুফিয়ান (রাদিঃ) আরো বলেন, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্মিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন।
[সহীহুল বুখারি, ৭৪১৪, ৭৪৫১, ৭৫১৩; সহীহুল মুসলিম, ৪/২১৪৭; জামে তিরমিযী, ৩২৯১ ]
৫.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) সাবিত আল বুনানী হতে আনাস বিন মালিক (রাদিঃ) থেকে বর্ণনা করেণ। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বলেছিলেন,
فَلَمَّا تَجَلَّىٰ رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا
‘‘অতঃপর তার রাব্ব যখন পাহাড়ে জ্যোতিস্মান হলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল’’
আনাস (রাদিঃ) তার কনিষ্ঠ আঙুলের ডগা দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন একারণে সাবিত আল বুনানীও তাই করেছিলেন।
তাখন (বর্ণনা করার সময়) হুমাইদ ইবন আত তাওয়েল (৩য় পর্যায়ের রাবী) তাকে বললেন, “হে আবু মুহাম্মদ (সাবিত) এটা করে আপনি কী অর্জন করতে চান?
তখন সাবিত তার বুকে জোরে আঘাত করে বললেন,
“তুমি নিজেকে কী মনে করো হুমাইদ!? আর তুমি কি হুমাইদ?! আনাস ইবনু মালিক (রাদিঃ) আমার কাছে নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন এভাবে আর তুমি জিজ্ঞেস করছো, ‘এটা করে আমি কী অর্জন করতে চাই?’’
[ মুসনাদে আহমাদ ৩/১২৫ ; মুস্তাদরাক আল-হাকিম ২/৩২০ । আল-হাকিম বলেন (ইমাম) মুসলিমের শর্তে হাদীসটি সহীহ । ইমাম যাহাবীও একই মত পোষন করেছেন ]
১.আবু ইসমাঈল আল হারউই (রহঃ) ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিঃ) এর সূত্রে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেণ,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لاِمْرِئٍ مَا نَوَى
‘‘কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।’’ [সমাপ্ত]
সম্পূর্ণ হাদীসটি হলো,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
‘‘কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।’’
[ সহীহুল বুখারী ৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; সহীহুল মুসলিম ২৩/৪৫ #১৯০৭; আহমাদ ১৬৮ ]
২.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিঃ) থেকে বর্ণমা করেণ, তিনি বলেন,
‘‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়’আত গ্রহণ করেছি সালাত কায়িম করার, যাকাত প্রদান করার এবং সমস্ত মুসলিমের মঙ্গল কামনা করার।’’
[ সহীহুল বুখারী ৫২৪, ১৪০১, ২১৫৭, ২৭১৪, ২৭১৫, ৭২০৪; সহীহুল মুসলিম ১/২৩ #৫৬ ; আহমাদ ৩২৮১]
৩.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেণ। তিনি বলেন,
‘“যে ব্যক্তি ইলম গোপন করবে, আল্লাহ তাকে (কিয়ামতের দিন) আগুনের লাগাম পরিয়ে দিবেন।”
[ সনদ সহীহ | মুস্তাদরাক আল-হাকিম (কিতাবুল ঈমান) ১/১০২ ]
৪.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) বর্ণনা করেণ উবাইদাহ থেকে, যিনি বর্ণনা করেণ আব্দুল্লাহ (রাদিঃ) থেকে। তিনি বলেন,
এক ইয়াহূদী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল,
‘‘হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ্ কিয়ামতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকী সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই।’’
এতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন,
وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ
‘‘তারা আল্লাহ্ তা’আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি দেয়নি।’’
ফুদায়ল এবং সুফিয়ান (রাদিঃ) আরো বলেন, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্মিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন।
[সহীহুল বুখারি, ৭৪১৪, ৭৪৫১, ৭৫১৩; সহীহুল মুসলিম, ৪/২১৪৭; জামে তিরমিযী, ৩২৯১ ]
৫.আবু ইসমাঈল আল হারাউই (রহঃ) সাবিত আল বুনানী হতে আনাস বিন মালিক (রাদিঃ) থেকে বর্ণনা করেণ। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বলেছিলেন,
فَلَمَّا تَجَلَّىٰ رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا
‘‘অতঃপর তার রাব্ব যখন পাহাড়ে জ্যোতিস্মান হলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল’’
আনাস (রাদিঃ) তার কনিষ্ঠ আঙুলের ডগা দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন একারণে সাবিত আল বুনানীও তাই করেছিলেন।
তাখন (বর্ণনা করার সময়) হুমাইদ ইবন আত তাওয়েল (৩য় পর্যায়ের রাবী) তাকে বললেন, “হে আবু মুহাম্মদ (সাবিত) এটা করে আপনি কী অর্জন করতে চান?
তখন সাবিত তার বুকে জোরে আঘাত করে বললেন,
“তুমি নিজেকে কী মনে করো হুমাইদ!? আর তুমি কি হুমাইদ?! আনাস ইবনু মালিক (রাদিঃ) আমার কাছে নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন এভাবে আর তুমি জিজ্ঞেস করছো, ‘এটা করে আমি কী অর্জন করতে চাই?’’
[ মুসনাদে আহমাদ ৩/১২৫ ; মুস্তাদরাক আল-হাকিম ২/৩২০ । আল-হাকিম বলেন (ইমাম) মুসলিমের শর্তে হাদীসটি সহীহ । ইমাম যাহাবীও একই মত পোষন করেছেন ]
Attachments
Last edited: