সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

তাওবা তাওবাতুন নাছুহা কি?

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
689
Comments
1,225
Solutions
17
Reactions
6,674
Credits
5,533
মনে রাখতে হবে, তাওবা হল মানুষের অন্তরের আন্তরিক প্রচেষ্টা, অনুশোচনা। অর্থাৎ, মানুষের অন্তরে অপরাধবোধ জাগ্রত হওয়া এবং নিজেকে গুনাহের কারণে অপরাধী মনে করা যা বান্দার অন্তরে কখনো কখনো জাগ্রত হয়ে থাকে। অন্তরে এ ধরনের অনুভূতি জাগ্রত হওয়ার অর্থই হল তাওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা ও আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া। এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাকে তাওবাতুন নাছুহা বলা হয়। আরও মনে রাখবে, আত্মাকে সকল প্রকার গুনাহ, অন্যায়, পাপাচার ইত্যাদি হতে বিরত রাখার মাধ্যমে একজন বান্দা সফলকাম হতে পারে।

জনৈক আলেম তাওবার সংজ্ঞায় বলেন, আল্লাহর অসন্তোষ ও পাকড়াওয়ের ভয়ে গুনাহের ইচ্ছা ত্যাগ করা এবং সমপর্যায়ের যে সব গুনাহ তার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, তার থেকে ফিরে এসে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা। শুধু সংঘটিত গুনাহ নয়, যদি কোন গুনাহের ইচ্ছা মনে জাগ্রত হয়ে থাকে তা থেকে ফিরে আসাও এক ধরনের তাওবা। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-
"إذا تاب العبد توبة نصوحا، أحبه الله فستر عليه " فقلت: وكيف يستر عليه؟ قال: " ينسى ملكيه ما كانا يكتبان عليه، ويوحى إلى جوارحه وإلى بقاع الأرض أن اكتمي عليه ذنوبه، فيلقى الله ـ عز وجل ـ حين يلقاه وليس شيء يشهد عليه بشيء من الذنوب ".
“যখন কোন বান্দা আল্লাহর কাছে খালেস তাওবা-তাওবায়ে নাছুহা- করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে মহব্বত করেন এবং তার যাবতীয় গুনাহ গোপন করে রাখেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কীভাবে গোপন করে রাখেন? তিনি বললেন, উভয় ফেরেশতা তার বিরুদ্ধে যা লিপিবদ্ধ করত, তারা তা লিখতে ভূলে যায় এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি ও জমীনের -ভূ-খণ্ডের-প্রতি নির্দেশ দেন- তোমরা তার গুনাহগুলো গোপন রাখ! তখন তারা গুনাহগুলো গোপন রাখে। ফলে যে দিন সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন তার কোন গুনাহ থাকবে না- যা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।


জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের
সম্পাদনা: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী​
 
Top