যারা মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে, ইভটিজিং করে, ধর্ষণ করে, তারা এক প্রকার নেকড়ে বাঘ। তারা নেকড়ের মতো ওঁত পেতে থেকে সুযোগ বুঝে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আরবীয় (জাহেলী যুগের) প্রেমিক কবি উমার বিন আবী রাবীআহ। তিনি কা'বা ঘরের তাওয়াফ করার সময় এক সুন্দরী যুবতীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। সেও পাশাপাশি তাওয়াফ করছিল। লোকেদেরকে জিজ্ঞাসা ক'রে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। জানতে পারলেন, সে ইরাকের বাসরা শহরের মেয়ে। তিনি তার সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু মেয়েটি তাঁকে পাত্তাই দিল না।
পরিশেষে সে তাঁকে বলল, 'আমার নিকট থেকে সরে যান। আপনি তো আল্লাহর হারামে আছেন, বিশাল নিষিদ্ধ স্থলে (তাওয়াফ ক'রে আল্লাহর ইবাদতে রত) রয়েছেন।'
কিন্তু নাছোড়বান্দা প্রেমিক কবি তাকে বারবার উত্যক্ত করতে থাকলেন। বিরক্ত হয়ে মেয়েটি তার এক মাহরাম আত্মীয়কে ডেকে বলল, 'আমার সাথে এসো, আমাকে (হজ্জ বা উমরার) পদ্ধতি শিখিয়ে দাও। অতঃপর আত্মীয়টিকে তার সাথে উপস্থিত থাকতে দেখে কবি দূরে সরে গেলেন। তা দেখে মেয়েটি কবি যাবারকান সা'দীর একটি কবিতাছত্র পাঠ করল,
'যার পাহারাদার কুকুর নেই, নেকড়ে তার উপর আক্রমণ চালায়। আর হিংস্র সিংহময় স্থান থেকে দূরে থাকে।'
অর্থাৎ, যে ছাগলের পালে পাহারাদার কুকুর থাকে না, সেই পালেই সুযোগ বুঝে নেকড়ে হামলা চালায়। আর সিংহময় স্থানের কাছাকাছি হয় না। যেহেতু নেকড়ে পশুরাজকে ভয় করে।
সমসাময়িক গভর্নরের নিকট উক্ত খবর পৌঁছলে, তিনি বললেন, আমি চাই যে, এই খবর যেন প্রত্যেক যুবতী শুনতে পায়। (কাশকূলুল উসরাহ ১২পৃঃ)
সাধারণতঃ ইভটিজারদের স্লোগান হল, 'সুন্দরী চলেছে একা পথে, সঙ্গী হইলে দোষ কী তাতে?' আর সাধারণতঃ মহিলা নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। পরন্তু তার কাছে তার প্রধান শত্রু হল, তার নিজের রূপযৌবন। তাই বাড়ির বাইরে তার জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী স্বামী চাই অথবা কোন মাহরাম পুরুষ চাই, যার সাথে তার চির দিনের মতো বিবাহ হারাম। তা না হলে ইভটিজার নেকড়ের হামলা হতেই পারে।
এই যুক্তিতেই শরীয়তের নির্দেশ হল, মহিলা একাকিনী সফর করতে পারে না। একদা মহানবী ﷺ বললেন,
“কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তার সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে।”
এক ব্যক্তি আবেদন করল, 'হে আল্লাহর রসূল! আমার স্ত্রী হজ্জ পালন করতে বের হয়েছে। আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি।' তিনি বললেন,
মহিলাকে সম্বোধন ক'রে এক আরবী কবি বলেছেন,
তোমার রেশমী কেশদামকে (পরপুরুষকে দেখানোর জন্য) বিন্যাস করো না। কারণ তোমার চারিপাশের লোকেরা হল নেকড়ে বাঘের দল।'
যারা অপেক্ষায় থেকে নিজেদের বিকৃত যৌন-লালসা চরিতার্থ করার জন্য তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
আর এই লক্ষ্যেই বিধিবদ্ধ হয়েছে শরয়ী পর্দা।
মহান আল্লাহ আমাদের মা-বোনেদেরকে পালন করার তওফীক দিন। আমীন।
আরবীয় (জাহেলী যুগের) প্রেমিক কবি উমার বিন আবী রাবীআহ। তিনি কা'বা ঘরের তাওয়াফ করার সময় এক সুন্দরী যুবতীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। সেও পাশাপাশি তাওয়াফ করছিল। লোকেদেরকে জিজ্ঞাসা ক'রে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। জানতে পারলেন, সে ইরাকের বাসরা শহরের মেয়ে। তিনি তার সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু মেয়েটি তাঁকে পাত্তাই দিল না।
পরিশেষে সে তাঁকে বলল, 'আমার নিকট থেকে সরে যান। আপনি তো আল্লাহর হারামে আছেন, বিশাল নিষিদ্ধ স্থলে (তাওয়াফ ক'রে আল্লাহর ইবাদতে রত) রয়েছেন।'
কিন্তু নাছোড়বান্দা প্রেমিক কবি তাকে বারবার উত্যক্ত করতে থাকলেন। বিরক্ত হয়ে মেয়েটি তার এক মাহরাম আত্মীয়কে ডেকে বলল, 'আমার সাথে এসো, আমাকে (হজ্জ বা উমরার) পদ্ধতি শিখিয়ে দাও। অতঃপর আত্মীয়টিকে তার সাথে উপস্থিত থাকতে দেখে কবি দূরে সরে গেলেন। তা দেখে মেয়েটি কবি যাবারকান সা'দীর একটি কবিতাছত্র পাঠ করল,
تعدو الذئاب على من لا كلاب له.........وتتقي مربض المستأسد الضاري
'যার পাহারাদার কুকুর নেই, নেকড়ে তার উপর আক্রমণ চালায়। আর হিংস্র সিংহময় স্থান থেকে দূরে থাকে।'
অর্থাৎ, যে ছাগলের পালে পাহারাদার কুকুর থাকে না, সেই পালেই সুযোগ বুঝে নেকড়ে হামলা চালায়। আর সিংহময় স্থানের কাছাকাছি হয় না। যেহেতু নেকড়ে পশুরাজকে ভয় করে।
সমসাময়িক গভর্নরের নিকট উক্ত খবর পৌঁছলে, তিনি বললেন, আমি চাই যে, এই খবর যেন প্রত্যেক যুবতী শুনতে পায়। (কাশকূলুল উসরাহ ১২পৃঃ)
সাধারণতঃ ইভটিজারদের স্লোগান হল, 'সুন্দরী চলেছে একা পথে, সঙ্গী হইলে দোষ কী তাতে?' আর সাধারণতঃ মহিলা নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। পরন্তু তার কাছে তার প্রধান শত্রু হল, তার নিজের রূপযৌবন। তাই বাড়ির বাইরে তার জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী স্বামী চাই অথবা কোন মাহরাম পুরুষ চাই, যার সাথে তার চির দিনের মতো বিবাহ হারাম। তা না হলে ইভটিজার নেকড়ের হামলা হতেই পারে।
এই যুক্তিতেই শরীয়তের নির্দেশ হল, মহিলা একাকিনী সফর করতে পারে না। একদা মহানবী ﷺ বললেন,
(لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ ، وَلاَ تُسَافِرُ المَرْأةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ)
“কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তার সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে।”
এক ব্যক্তি আবেদন করল, 'হে আল্লাহর রসূল! আমার স্ত্রী হজ্জ পালন করতে বের হয়েছে। আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি।' তিনি বললেন,
(انْطَلِقْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ)
“যাও, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজ্জ কর।” (বুখারী ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১নং)মহিলাকে সম্বোধন ক'রে এক আরবী কবি বলেছেন,
لا تعرضي هذا الجمال على الورى إلا لزوج أو قريب محرم
لا ترسلي الشعر الحرير مرجلاً فالناس حولك كالذئاب الحوم
'স্বামী বা বা মাহরাম আত্মীয় ছাড়া দুনিয়ার লোকেদের জন্য তোমার রূপ-সৌন্দর্য পেশ করো না।لا ترسلي الشعر الحرير مرجلاً فالناس حولك كالذئاب الحوم
তোমার রেশমী কেশদামকে (পরপুরুষকে দেখানোর জন্য) বিন্যাস করো না। কারণ তোমার চারিপাশের লোকেরা হল নেকড়ে বাঘের দল।'
যারা অপেক্ষায় থেকে নিজেদের বিকৃত যৌন-লালসা চরিতার্থ করার জন্য তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
আর এই লক্ষ্যেই বিধিবদ্ধ হয়েছে শরয়ী পর্দা।
মহান আল্লাহ আমাদের মা-বোনেদেরকে পালন করার তওফীক দিন। আমীন।
বইঃ মানবের উপমান অমানব
আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
Last edited by a moderator: