Abdul fattah
Well-known member
- Joined
- Mar 16, 2023
- Threads
- 64
- Comments
- 66
- Solutions
- 1
- Reactions
- 512
- Thread Author
- #1
আবু মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাতের দ্বারা ইয়ামেনের দিকে ইশারা করে বললেন, ঈমান এদিকে। দেখো কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য ঐ সব চিৎকারকারী লোকদের মধ্যে যারা উটের লেজের কাছে অবস্থান করে; যেখান থেকে শয়তানের শিং দু’টি উদয় হবে অর্থাৎ রাবী‘আ ও মুদার গোত্রদ্বয়ের মধ্যে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩০২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫১।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, الفَدَّادِينَ শব্দটি দাল বর্ণে তাশদীদ যোগে فداد এর বহুবচন। অর্থ কঠিন আওয়াজ। অর্থাৎ যারা তাদের উট, ঘোড়া ও শস্যক্ষেতে উচ্চ স্বরে কথা বলে।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাণী, « عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الإِبِلِ» এর অর্থ উট চরানোর সময় তারা চিরাচরিত অভ্যাস মতো চিৎকার করে থাকে; যদিও তারা উটের লেজের কাছেই থাকে।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
« حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ فِي رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ» এর মধ্যে «فِي رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ» অংশ « فِي الفَدَّادِينَ» থেকে বদল হয়েছে। অর্থাৎ কঠোরতা আছে রাবী‘আ ও মুদার গোত্রের রাখালদের মাঝে। আর « قَرْنَا الشَّيْطَانِ» এর অর্থ শয়তানের শিং। এখানে উদ্দেশ্য হলো পূর্বাঞ্চলে শয়তানের ভ্রষ্টতা ও ধোঁকা বেশি। এছাড়াও অন্য হাদীসে এসেছে, «رأس الكفر نحو المشرق» পূর্বাঞ্চল হলো কুফুরীর মূল। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসে সামনে এ ব্যাপারে আলোচনা আসবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা তাঁর যুগে বলে গেছেন। আর পূর্বদিক থেকেই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। (দেখুন, ইবন সালাহ লিখিত ‘সিয়ানাতু সহীহ মুসলিম’)।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি যে, “গর্ব-অহংকার পশম নির্মিত তাঁবুতে বসবাসকারীর মধ্যে যারা উট-গরু হাঁকাতে চিৎকার করে। আর শান্তভাব বকরী পালকদের মধ্যে রয়েছে। ঈমান ইয়ামেনে আর হিকমাতও ইয়ামানবাসীদের মধ্যে বদ্ধমূল রয়েছে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২: ৮৮।
সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে,
“গর্ব-অহংকার উটের মালিকের মধ্যে আর শান্ত-শিষ্টতা বকরী পালকদের মধ্যে রয়েছে”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কাছে ইয়ামেনবাসীরা এসেছে। তারা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও দরদী। ঈমান হলো ইয়ামানীদের, হিকমত হলো ইয়ামানীদের। আর আত্মম্ভরিতা ও অহংকার রয়েছে উট পালনকারীদের মধ্যে, প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য আছে বকরী পালকদের মধ্যে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৮৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে,
“তোমাদের কাছে ইয়ামানবাসীরা এসেছে। তারা মনের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও অন্তরের দিক থেকে খুব দুর্বল”।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৯০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে,
“আর ফিতনার (বিপর্যয়ের) গোড়া হলো ওখানে, যেখানে উদিত হয় শয়তানের শিং”।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৮৯।
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ: أَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ نَحْوَ اليَمَنِ فَقَالَ «الإِيمَانُ يَمَانٍ هَا هُنَا، أَلاَ إِنَّ القَسْوَةَ وَغِلَظَ القُلُوبِ فِي الفَدَّادِينَ، عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الإِبِلِ، حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ فِي رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ».
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩০২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫১।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, الفَدَّادِينَ শব্দটি দাল বর্ণে তাশদীদ যোগে فداد এর বহুবচন। অর্থ কঠিন আওয়াজ। অর্থাৎ যারা তাদের উট, ঘোড়া ও শস্যক্ষেতে উচ্চ স্বরে কথা বলে।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাণী, « عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الإِبِلِ» এর অর্থ উট চরানোর সময় তারা চিরাচরিত অভ্যাস মতো চিৎকার করে থাকে; যদিও তারা উটের লেজের কাছেই থাকে।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
« حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ فِي رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ» এর মধ্যে «فِي رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ» অংশ « فِي الفَدَّادِينَ» থেকে বদল হয়েছে। অর্থাৎ কঠোরতা আছে রাবী‘আ ও মুদার গোত্রের রাখালদের মাঝে। আর « قَرْنَا الشَّيْطَانِ» এর অর্থ শয়তানের শিং। এখানে উদ্দেশ্য হলো পূর্বাঞ্চলে শয়তানের ভ্রষ্টতা ও ধোঁকা বেশি। এছাড়াও অন্য হাদীসে এসেছে, «رأس الكفر نحو المشرق» পূর্বাঞ্চল হলো কুফুরীর মূল। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসে সামনে এ ব্যাপারে আলোচনা আসবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা তাঁর যুগে বলে গেছেন। আর পূর্বদিক থেকেই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। (দেখুন, ইবন সালাহ লিখিত ‘সিয়ানাতু সহীহ মুসলিম’)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «الفَخْرُ، وَالخُيَلاَءُ فِي الفَدَّادِينَ أَهْلِ الوَبَرِ، وَالسَّكِينَةُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ، وَالإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ».
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি যে, “গর্ব-অহংকার পশম নির্মিত তাঁবুতে বসবাসকারীর মধ্যে যারা উট-গরু হাঁকাতে চিৎকার করে। আর শান্তভাব বকরী পালকদের মধ্যে রয়েছে। ঈমান ইয়ামেনে আর হিকমাতও ইয়ামানবাসীদের মধ্যে বদ্ধমূল রয়েছে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২: ৮৮।
সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে,
«وَالْفَخْرُ وَالْخُيَلَاءُ فِي أَصْحَابِ الْإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ فِي أَصْحَابِ الشَّاءِ».
“গর্ব-অহংকার উটের মালিকের মধ্যে আর শান্ত-শিষ্টতা বকরী পালকদের মধ্যে রয়েছে”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالفَخْرُ وَالخُيَلاَءُ فِي أَصْحَابِ الإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالوَقَارُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ».
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কাছে ইয়ামেনবাসীরা এসেছে। তারা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও দরদী। ঈমান হলো ইয়ামানীদের, হিকমত হলো ইয়ামানীদের। আর আত্মম্ভরিতা ও অহংকার রয়েছে উট পালনকারীদের মধ্যে, প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য আছে বকরী পালকদের মধ্যে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৮৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে,
«جاءكم أَهْلُ الْيَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً، وأضعف قلوبا»
“তোমাদের কাছে ইয়ামানবাসীরা এসেছে। তারা মনের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও অন্তরের দিক থেকে খুব দুর্বল”।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৯০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫২।
সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে,
«وَالفِتْنَةُ هَا هُنَا، هَا هُنَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ»
“আর ফিতনার (বিপর্যয়ের) গোড়া হলো ওখানে, যেখানে উদিত হয় শয়তানের শিং”।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৮৯।