জুম‘আর দিনে মূল আযানের পূর্বে আরো একটি আযান দেয়ার নিয়ম ওছমান (রাঃ) চালু করেছিলেন। মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদে নববীর অদূরে ‘যাওরা’ নামক বাজারে তিনি এ আযান দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে উক্ত আযান শুনে লোকেরা যথাসময়ে মসজিদে উপস্থিত হ’তে পারে। সায়েব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, জুম‘আর দিন রাসূল (ছাঃ), আবুবকর ও ওমর-এর যুগে যখন ইমাম মিম্বরে বসতেন তখন প্রথম আযান দেয়া হ’ত। অতঃপর যখন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল তখন ওছমান (রাঃ) যাওরাতে দ্বিতীয় আযান বৃদ্ধি করেন (বুখারী হা/৯১২, ‘জুম‘আহ’ অধ্যায়; তিরমিযী হা/৫১৬)।
খলীফার এই হুকুম ছিল স্থানিক প্রয়োজনের কারণে একটি সাময়িক রাষ্ট্রীয় ফরমান মাত্র। সেকারণ মক্কা, কূফা ও বছরা সহ ইসলামী খেলাফতের বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে এ আযান তখন চালু হয়নি। হযরত ওছমান (রাঃ) এটাকে সর্বত্র চালু করার প্রয়োজন মনে করেননি বা উম্মতকে বাধ্য করেননি। তাই সর্বদা সর্বত্র চালু করার পিছনে কোন যুক্তি নেই।
অতএব তিনি যে কারণে দ্বিতীয় আযান যাওরাতে চালু করেছিলেন, সে কারণ এখনও থাকলে তাকে নাজায়েয কিংবা বিদ‘আত বলা যাবে না। কিন্তু উক্ত কারণ যদি না থাকে, তাহ’লে বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ১৯৪-১৯৬)।
মাসিক আত-তাহরীক জুন ২০১৩
খলীফার এই হুকুম ছিল স্থানিক প্রয়োজনের কারণে একটি সাময়িক রাষ্ট্রীয় ফরমান মাত্র। সেকারণ মক্কা, কূফা ও বছরা সহ ইসলামী খেলাফতের বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে এ আযান তখন চালু হয়নি। হযরত ওছমান (রাঃ) এটাকে সর্বত্র চালু করার প্রয়োজন মনে করেননি বা উম্মতকে বাধ্য করেননি। তাই সর্বদা সর্বত্র চালু করার পিছনে কোন যুক্তি নেই।
অতএব তিনি যে কারণে দ্বিতীয় আযান যাওরাতে চালু করেছিলেন, সে কারণ এখনও থাকলে তাকে নাজায়েয কিংবা বিদ‘আত বলা যাবে না। কিন্তু উক্ত কারণ যদি না থাকে, তাহ’লে বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ১৯৪-১৯৬)।
মাসিক আত-তাহরীক জুন ২০১৩
Last edited by a moderator: