উত্তরঃ এ বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্মল (রাঃ) এর নিকট উমরা করা ওয়াজিব। প্রমাণ: পবিত্র কুরআনের বাণী ‘ وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ -তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর।’ (বাকারা, ১৯২) এই অভিমতের পক্ষে বেশ কিছু হাদিসও রয়েছে তন্মধ্যে কয়েকটি হল নিম্নরূপ—
'সামর্থবান হলে জীবনে একবার উমরাহ করা ফরজ'--- সাবেক সৌদি গ্রান্ড মুফতি শাইখ বিন বায (ফতওয়া বিন বায, ১৬/৩৫৫); সাবেক সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটির সদস্য শাইখ ইবনে উসাইমিন (শারহ মুমতি, ৭/৯); ফতওয়া লাজনা আদ দায়েমাহ, ১১/৩১৭
ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্মল (রাঃ) এর নিকট উমরা করা ওয়াজিব। প্রমাণ: পবিত্র কুরআনের বাণী ‘ وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ -তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর।’ (বাকারা, ১৯২) এই অভিমতের পক্ষে বেশ কিছু হাদিসও রয়েছে তন্মধ্যে কয়েকটি হল নিম্নরূপ—
- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর কাছে এসে বললেন আমার পিতা খুব বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ-উমরা করতে অপারগ, এমনকী সফরও করতে পারেন না। উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, ‘তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা পালন করো (আবু দাউদ : হাদিস নং ১৮১০; তিরমিযী : হাদিস নং ৯৩০)
- কোনো কোনো বর্ণনায় হাদিসে জিব্রিলের একাংশে এসেছে (وأن تحج وتعتمر -তুমি হজ্জ করবে ও উমরা করবে) [ইবনে হিববান : হাদিস নং ১৭৩ ; দারা কুতনী : ২/২৮২]
- আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করলেন, নারীর ওপর কি জিহাদ ফরজ? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, তাদের ওপর জিহাদ আছে যে জিহাদে কিতাল (যুদ্ধ) নেই। আর তা হল হজ্জ ও উমরা।[ আহমদ : ২/১৬৫ ; ইবনে মাজাহ : হাদিস নং ২৯০১]
- হাদিসে এসেছে, ‘হজ্জ ও উমরা দুটি ফরজ কর্ম। এতে কিছু যায় আসে না যে তুমি কোনটি দিয়ে শুরু করলে।’[দারা কুতনী : হাদিস নং ২১৭ ]
- ইবন উমর (রাদি.) বলেন, "প্রত্যেকের উপর একবার হজ্জ ও একবার উমরাহ করা ওয়াজিব, যা অবশ্যই আদায় করতে হবে। যে এরপর অতিরিক্ত করবে, তা হবে উত্তম ও নফল" (ইবনে খুযায়মা, হা. ৩০৬৬; হাকেম, হা. ১৭৩২)
- জাবের (রাঃ) বলেন, "আল্লাহর প্রতিটি মাখলুখ (সামর্থবান মানুষ) এর উপর অবশ্যই উমরাহ করা ওয়াজিব" (ইবনে খুযায়মা, হা. ৩০৬৮)
- ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, "হজ্জ ও উমরাহ উভয়টা ওয়াজিব" (মুহালাঃ ৫/৮)
'সামর্থবান হলে জীবনে একবার উমরাহ করা ফরজ'--- সাবেক সৌদি গ্রান্ড মুফতি শাইখ বিন বায (ফতওয়া বিন বায, ১৬/৩৫৫); সাবেক সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটির সদস্য শাইখ ইবনে উসাইমিন (শারহ মুমতি, ৭/৯); ফতওয়া লাজনা আদ দায়েমাহ, ১১/৩১৭
তথ্যসূত্রঃ ইসলাম হাউজ.কম ও ইসলাম কিউএ. ইনফো
Last edited: