জান্নাতের অবস্থান:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“কখনো নয়, নিশ্চয় নেককার লোকদের আমলনামা থাকবে ইল্লিয়্যীনে । কিসে তোমাকে জানাবে ‘ইল্লিয়্যীন’ কী।” [সূরা মুতাফফিফীন: ১৮-১৯]
আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ বলেন, ‘ইল্লিয়্যীন’ অর্থ জান্নাত, অথবা সপ্তম আকাশে আরশের নিচে অবস্থিত একটি স্থান। [1]
ইমাম ইবন্ কাসীর রহ. আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ইল্লিয়্যিন শব্দটি ‘উলু শব্দ হতে নির্গত। যখন কোন বস্তু উপরে অবস্থান করে, তখন তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার মহত্ব বাড়তে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বড়ত্ব ও মহত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
“কিসে তোমাকে জানাবে ‘ইল্লিয়্যীন’ কী”? [2]
ইমাম ইবন্ কাসির রহ. আল্লাহর তা‘আলার নিন্মোক্ত বাণীর তাফসীরে বলেন,
“আকাশে রয়েছে তোমাদের রিযিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।” [সূরা আয-যারিয়াত: ২২]
এখানে তোমাদের রিযিক অর্থ বৃষ্টি আর তোমাদের যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তার অর্থ হল, জান্নাত। [3]
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
“তোমরা যখন আল্লাহর নিকট জান্নাত কামনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করবে। কারণ, তা হল, উত্তম, উৎকৃষ্ট ও উন্নত জান্নাত। এ জান্নাতের উপর রয়েছে পরম করুণাময় আল্লাহর আরশ, সেখান থেকেই জান্নাতের নহরসমূহ প্রবাহিত হয়।” [4]
[1] .তাফসীরে বগবী: ৪৬০/৪, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪৮৭/৪।
[2]. আল্লামা ইবন্ কাসীর: ৪৮৭/৪।
[3] .আল্লামা ইবনে কাসীর: ২৩৬/৪।
[4] বুখারী, হাদীস নং: ২৭৯০।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿كَلَّآ إِنَّ كِتَٰبَ ٱلۡأَبۡرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ ١٨ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا عِلِّيُّونَ ١٩﴾ [المطففين: ١٨، ١٩]
“কখনো নয়, নিশ্চয় নেককার লোকদের আমলনামা থাকবে ইল্লিয়্যীনে । কিসে তোমাকে জানাবে ‘ইল্লিয়্যীন’ কী।” [সূরা মুতাফফিফীন: ১৮-১৯]
আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ বলেন, ‘ইল্লিয়্যীন’ অর্থ জান্নাত, অথবা সপ্তম আকাশে আরশের নিচে অবস্থিত একটি স্থান। [1]
ইমাম ইবন্ কাসীর রহ. আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ইল্লিয়্যিন শব্দটি ‘উলু শব্দ হতে নির্গত। যখন কোন বস্তু উপরে অবস্থান করে, তখন তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার মহত্ব বাড়তে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বড়ত্ব ও মহত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا عِلِّيُّونَ ١٩﴾ [المطففين: ١٩]
“কিসে তোমাকে জানাবে ‘ইল্লিয়্যীন’ কী”? [2]
ইমাম ইবন্ কাসির রহ. আল্লাহর তা‘আলার নিন্মোক্ত বাণীর তাফসীরে বলেন,
﴿وَفِي ٱلسَّمَآءِ رِزۡقُكُمۡ وَمَا تُوعَدُونَ ٢٢﴾ [الذاريات: ٢٢]
“আকাশে রয়েছে তোমাদের রিযিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।” [সূরা আয-যারিয়াত: ২২]
এখানে তোমাদের রিযিক অর্থ বৃষ্টি আর তোমাদের যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তার অর্থ হল, জান্নাত। [3]
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ، فَإِنَّهَا أَوْسَطُ الْجَنَّةِ، وَأَعْلَى الْجَنَّةِ، وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَمِنْهُ يُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ »
“তোমরা যখন আল্লাহর নিকট জান্নাত কামনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করবে। কারণ, তা হল, উত্তম, উৎকৃষ্ট ও উন্নত জান্নাত। এ জান্নাতের উপর রয়েছে পরম করুণাময় আল্লাহর আরশ, সেখান থেকেই জান্নাতের নহরসমূহ প্রবাহিত হয়।” [4]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] .তাফসীরে বগবী: ৪৬০/৪, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪৮৭/৪।
[2]. আল্লামা ইবন্ কাসীর: ৪৮৭/৪।
[3] .আল্লামা ইবনে কাসীর: ২৩৬/৪।
[4] বুখারী, হাদীস নং: ২৭৯০।