এক হাদীসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, জান্নাতের একশো স্তর রয়েছে। প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝখানে রয়েছে একশো বছরের ব্যবধান। (সুনানুত তিরমিজি, হা. ২৫২৯; সহীহ)
এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্য হাদীসে বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতে একশোটি স্তর প্রস্তুত রেখেছেন। দুই স্তরের ব্যবধান আসমান ও জমিনের দূরত্বের বরাবর। তোমরা আল্লাহর নিকট চাইলে ফেরদাউস চাইবে। কেননা এটাই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত। (বুখারী, হা. ২৭৯০)
অন্য হাদীস থেকে বোঝা যায়, জান্নাতের স্তরের সংখ্যা কুরআনের আয়াতের সংখ্যার পরিমাণ। নবী (ﷺ) বলেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের বাহককে বলা হবে, পাঠ করতে থাকো ও ওপরে আরোহণ করতে থাক এবং দুনিয়াতে যেভাবে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে ঠিক সেরূপে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাকো। যে আয়াতে তোমার পাঠ সমাপ্ত হবে, সেখানেই তোমার স্থান। এ হাদীসের ভিত্তিতে আয়েশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলতেন, কুরআনের আয়াত সমপরিমাণ জান্নাতের স্তর সংখ্যা। (শুআবুল ঈমান, হা. ১৯৯৭; সহীহ)
আমরা দেখতে পেলাম, প্রথম দুই হাদীসে জান্নাতের স্তরের সংখ্যা একশোটি বলা হয়েছে আবার তৃতীয় হাদীসে বলা হয়েছে কুরআনের আয়াতের সংখ্যা সমপরিমাণ। এই দুই সংখ্যার মাঝে আলিমগণ এভাবে সমন্বয় করেছেন।
ক. যে দুই হাদীসে একশো স্তর বলা হয়েছে, তা দ্বারা কুরআনের আয়াত সংখ্যক স্তরকে নাকচ করা হয়নি। বরং উভয় হাদীসে কুরআনের আয়াত সমপরিমাণ স্তর থেকে একশোটি জান্নাতের কথা বলা হয়েছে। (ফাতহুল বারী, ১৩/৪২৪)
খ. কিছু কিছু স্তর আছে বড়ো; যার মাঝে একাধিক স্তর রয়েছে। কাজেই যে দুই হাদীসে একশোটি স্তরের কথা বলা হয়েছে তা দ্বারা বড়ো বড়ো স্তর উদ্দেশ্য। আর যে হাদীসে কুরআনের আয়াত সংখ্যক স্তর বলা হয়েছে, তা দ্বারা বড়ো স্তরের অন্তর্ভুক্ত ছোটো ছোটো স্তর উদ্দেশ্য। (ফাইযুল কাদীর, ৪/৪৪৭)
সূত্রঃ 'যে আমলে জান্নাতে স্তর ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়' বই থেকে (বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স)
এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্য হাদীসে বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতে একশোটি স্তর প্রস্তুত রেখেছেন। দুই স্তরের ব্যবধান আসমান ও জমিনের দূরত্বের বরাবর। তোমরা আল্লাহর নিকট চাইলে ফেরদাউস চাইবে। কেননা এটাই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত। (বুখারী, হা. ২৭৯০)
অন্য হাদীস থেকে বোঝা যায়, জান্নাতের স্তরের সংখ্যা কুরআনের আয়াতের সংখ্যার পরিমাণ। নবী (ﷺ) বলেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের বাহককে বলা হবে, পাঠ করতে থাকো ও ওপরে আরোহণ করতে থাক এবং দুনিয়াতে যেভাবে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে ঠিক সেরূপে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাকো। যে আয়াতে তোমার পাঠ সমাপ্ত হবে, সেখানেই তোমার স্থান। এ হাদীসের ভিত্তিতে আয়েশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলতেন, কুরআনের আয়াত সমপরিমাণ জান্নাতের স্তর সংখ্যা। (শুআবুল ঈমান, হা. ১৯৯৭; সহীহ)
আমরা দেখতে পেলাম, প্রথম দুই হাদীসে জান্নাতের স্তরের সংখ্যা একশোটি বলা হয়েছে আবার তৃতীয় হাদীসে বলা হয়েছে কুরআনের আয়াতের সংখ্যা সমপরিমাণ। এই দুই সংখ্যার মাঝে আলিমগণ এভাবে সমন্বয় করেছেন।
ক. যে দুই হাদীসে একশো স্তর বলা হয়েছে, তা দ্বারা কুরআনের আয়াত সংখ্যক স্তরকে নাকচ করা হয়নি। বরং উভয় হাদীসে কুরআনের আয়াত সমপরিমাণ স্তর থেকে একশোটি জান্নাতের কথা বলা হয়েছে। (ফাতহুল বারী, ১৩/৪২৪)
খ. কিছু কিছু স্তর আছে বড়ো; যার মাঝে একাধিক স্তর রয়েছে। কাজেই যে দুই হাদীসে একশোটি স্তরের কথা বলা হয়েছে তা দ্বারা বড়ো বড়ো স্তর উদ্দেশ্য। আর যে হাদীসে কুরআনের আয়াত সংখ্যক স্তর বলা হয়েছে, তা দ্বারা বড়ো স্তরের অন্তর্ভুক্ত ছোটো ছোটো স্তর উদ্দেশ্য। (ফাইযুল কাদীর, ৪/৪৪৭)
সূত্রঃ 'যে আমলে জান্নাতে স্তর ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়' বই থেকে (বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স)