সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সাবেক সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “কুরবানির ওপর ক্বিয়াস করে নবজাতক কন্যা শিশুর ‘আক্বীক্বাহ হিসেবে গাভীর এক সপ্তমাংশ যথেষ্ট হবে কি?”
উত্তর: “আলিমগণ বলে থাকেন, ‘আক্বীক্বাহর মধ্যে—যাকে আমরা ‘তামীমাহ’ বলে থাকি—ভাগাভাগি চলবে না। কেননা ‘আক্বীক্বাহ হলো একটি প্রাণের তরফ থেকে প্রদত্ত ফিদ্ইয়াহ (বিনিময়)। সুতরাং এ কাজের জন্য অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণী লাগবে। এর ওপর ভিত্তি করে বলতে হয়, একটি উটনী সাতটি ‘আক্বীক্বাহর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে না। এমনকি ‘আলিমগণ (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেছেন, “উট জবাই করার চেয়ে একটি বকরি (ছাগী) জবাই করা উত্তম।” অর্থাৎ, তুমি যদি একটি বকরি কিংবা একটি উট দিয়ে ‘আক্বীক্বাহ করতে চাও, তাহলে আমরা তোমাকে বলব, বকরি দিয়ে ‘আক্বীক্বাহ করাই তোমার জন্য উত্তম হবে। কেননা বকরি দিয়ে ‘আক্বীক্বাহ করার কথাই সুন্নাহ’য় বর্ণিত হয়েছে।”
তথ্যসূত্র: ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল; খণ্ড: ২৫; পৃষ্ঠা: ২৮৮; দারুস সুরাইয়্যা, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৯ হি./২০০৮ খ্রি. (১ম প্রকাশ)।