প্রশ্ন: আমরা কি কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে তার মেয়ের বিয়ের ব্যাবস্থা করার জন্য যাকাতের টাকা দিতে পারি? বাড়ির গরীব কর্মচারী যাদের খাওয়াব ব্যবস্থা আছে কিন্তু থাকার ঘর নাই তাদেরকে কি বাড়ি বানানর জন্য যাকাতের টাকা দিতে পারি? কারও চিকিৎসার খরচ বা কাউকে কর্মঠ করার জন্য রিক্সা বা ভ্যানগাড়ি কিনে দিতে পারি?
কোনো গরীব আত্মীয়কে কি জাকাতের টাকা থেকে প্রতি মাসে কিছু টাকা দেয়া যাবে? জাকাতটা সঠিকভাবে আদায় করা নিয়ে শাইখ দু:চিন্তার মধ্য থাকি। দয়া করে একটু সঠিক টা জানাবেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
উত্তর: যাকাত প্রদানের ৮টি খাতের মধ্যে অন্যতম হল, গরিব, অসহায়-নি:স্ব মানুষ। (সূরা তাওবা: ৬০ নং আয়াত)
অত:এব কোন অভাবী মানুষ যদি অর্থসংকটে তার কন্যার বিয়ে দিতে না পারে তাহলে তাকে এ কাজে সাহায্যের জন্য যাকাত দেয়া জায়েয আছে।
অনুরূপভাবে অসহায়-গরীব মানুষের বাসস্থান তৈরি, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজনে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েয রয়েছে।
মাসিক কিস্তিতে যাকাতের টাকা দান করা:
প্রতি মাসে গরিব মানুষকে কিস্তুিতে যাকাত দেয়ার ব্যাপারে আলেমদের মত হল, মাসিক কিস্তিতে অগ্রীম যাকাত দেয়া জায়েয আছে। কিন্তু যাকাত ফরজ হওয়ার পর এমনটি করা জায়েয হবে না।
উদাহরণ: আগামী এপ্রিল ২০১৯ এ কারো যাকাত ফরজ হবে। এখন সে যদি কোন গরিব মানুষকে চলতি এপ্রিল ২০১৮ থেকে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে উক্ত সম্পদের যাকাত প্রদান করতে থাকে যেন বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই যাকাত আদায় সম্পন্ন হয় তাহলে এতে এটা জায়েয হবে।
পক্ষান্তরে যাকাত ফরজ হওয়ার পর তা আদায়ে বিলম্ব করা জায়েয হবে না রবং তা অনতি বিলম্বে হকদারদের নিকট পৌঁছাতে হবে। কেননা, যাকাত আদায় করার পূর্বেই সে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে অথবা অর্থ-সম্পদ ক্ষয়-ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। আর তখন যাকাতের ফরয দায়িত্ব তার কাঁধে অবশিষ্ট থেকে গেল। তাই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি যাকাত বের করে হকদারদের নিকট পৌঁছিয়ে দিতে হবে; ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা যাবে না।
তবে যাকাত ফরজ হওয়ার পর যদি তা বের করে অন্য কাউকে বণ্টনের দায়িত্ব প্রদান করা হয় আর সে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মাসিক কিস্তিতে কোন গরীবকে প্রদান করে তাহলে সে ক্ষেত্রে জায়েয হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি মারা গেলে বা সম্পদ নষ্ট হয়ে গেলেও যাকাতের টাকা নষ্ট হবে না বা তা বণ্টনে সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়।
আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
কোনো গরীব আত্মীয়কে কি জাকাতের টাকা থেকে প্রতি মাসে কিছু টাকা দেয়া যাবে? জাকাতটা সঠিকভাবে আদায় করা নিয়ে শাইখ দু:চিন্তার মধ্য থাকি। দয়া করে একটু সঠিক টা জানাবেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
উত্তর: যাকাত প্রদানের ৮টি খাতের মধ্যে অন্যতম হল, গরিব, অসহায়-নি:স্ব মানুষ। (সূরা তাওবা: ৬০ নং আয়াত)
অত:এব কোন অভাবী মানুষ যদি অর্থসংকটে তার কন্যার বিয়ে দিতে না পারে তাহলে তাকে এ কাজে সাহায্যের জন্য যাকাত দেয়া জায়েয আছে।
অনুরূপভাবে অসহায়-গরীব মানুষের বাসস্থান তৈরি, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজনে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েয রয়েছে।
মাসিক কিস্তিতে যাকাতের টাকা দান করা:
প্রতি মাসে গরিব মানুষকে কিস্তুিতে যাকাত দেয়ার ব্যাপারে আলেমদের মত হল, মাসিক কিস্তিতে অগ্রীম যাকাত দেয়া জায়েয আছে। কিন্তু যাকাত ফরজ হওয়ার পর এমনটি করা জায়েয হবে না।
উদাহরণ: আগামী এপ্রিল ২০১৯ এ কারো যাকাত ফরজ হবে। এখন সে যদি কোন গরিব মানুষকে চলতি এপ্রিল ২০১৮ থেকে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে উক্ত সম্পদের যাকাত প্রদান করতে থাকে যেন বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই যাকাত আদায় সম্পন্ন হয় তাহলে এতে এটা জায়েয হবে।
পক্ষান্তরে যাকাত ফরজ হওয়ার পর তা আদায়ে বিলম্ব করা জায়েয হবে না রবং তা অনতি বিলম্বে হকদারদের নিকট পৌঁছাতে হবে। কেননা, যাকাত আদায় করার পূর্বেই সে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে অথবা অর্থ-সম্পদ ক্ষয়-ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। আর তখন যাকাতের ফরয দায়িত্ব তার কাঁধে অবশিষ্ট থেকে গেল। তাই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি যাকাত বের করে হকদারদের নিকট পৌঁছিয়ে দিতে হবে; ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা যাবে না।
তবে যাকাত ফরজ হওয়ার পর যদি তা বের করে অন্য কাউকে বণ্টনের দায়িত্ব প্রদান করা হয় আর সে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মাসিক কিস্তিতে কোন গরীবকে প্রদান করে তাহলে সে ক্ষেত্রে জায়েয হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি মারা গেলে বা সম্পদ নষ্ট হয়ে গেলেও যাকাতের টাকা নষ্ট হবে না বা তা বণ্টনে সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়।
আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Last edited by a moderator: