প্রশ্ন: এক বোন যিনি কুর'আন সুন্নাহ অনুযায়ী নিজের জীবনকে সাজাতে সচেষ্ট হয়েছেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে একটু একটু করে নিজেকে বদলাতে শুরু করেছেন। পারিবারিক দিক থেকে তেমন কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু কখনো কখনো সামাজিক দিক থেকে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে যান যে, তখন কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। যেমন: মৃত ব্যক্তির নামে খাবার খাওয়ানোর যে অনুষ্ঠান করা হয় অথবা বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিনের প্রোগ্রাম..ইত্যাদিতে নিজেরা যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ওই খাবার বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়, এখন এ ক্ষেত্রে তার কি করণীয়? সে খাবার কি ফেলে দিবে? আবার তাদের খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলতেও পারছেন না। হতে পারে তাতে করে কটু কথা শুনতে হবে! কারণ এক সময় তারা নিজেরাও এই ধরণের বিদআতি কাজ করতেন। এ ধরণের পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন?
উত্তর: উক্ত বোন দ্বীন পালন শুরু করেছেন এজন্য তাকে অভিনন্দন। তার জন্য দুয়া রইল, আল্লাহ যেন তার জন্য দ্বীনের পথে চলাকে সহজ করে দেন, তাকে সাহায্য করেন এবং আমরণ এ পথে টিকে থাকার তৌফিক দান করেন।
উক্ত বোন দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে পারিবারিক ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না এটা খুবই পজেটিভ ও আশা ব্যঞ্জক দিক আল হামদুলিল্লাহ। তবে সামাজিকভাবে সমস্যা তো থাকবেই। খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। তাদের নিকট দ্বীনের সঠিক জ্ঞান পৌঁছাতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে তাদের জন্য দুয়া করতে হবে, যেন আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করেন।
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ আদৌ জানে না যে, মৃত ব্যক্তির নামে ভোজ অনুষ্ঠান, জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন, বিবাহ বার্ষিকী পালন, মিলাদ, শবিনাখানি, কুলখানি, চল্লিশা ইত্যাদি বিষয়গুলো দ্বীনের অংশ নয় বরং এগুলো কাল পরিক্রমায় মুসলিম সমাজে রোগের মত অনুপ্রবেশ করেছে। তাই এ রোগ সারাতে হলে, সুন্নাহর জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধি করতে হবে, বিদআতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং দাওয়াতি কাজের ব্যাপকতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে আল্লাহ চাহে তো এ সব দ্বীন-ধর্মের নামে কুসংস্কার ও বিদআতের প্রকোপ কমতে শুরু করবে।
অজ্ঞতা বশত: তার কোন আত্মীয়, প্রতিবেশী বা বন্ধু যদি এ সব অনুষ্ঠানে আহ্বান করে তাহলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তবে তাদের নিকট সত্যের বাণী তুলে ধরার স্বার্থে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
অনুরূপভাবে তারা যদি এ সব অনুষ্ঠানের খাবার বাড়িতে দিয়ে যায় তাহলে উক্ত খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয় যদি খাবারটা হালাল হয়। তবে যথাসম্ভব তা না খাওয়াই ভালো। কারণ তা বিদআতি উপলক্ষে বানানো হয়েছে। এটাই বিদআতের প্রতি ঘৃণা বোধের পূর্ণাঙ্গ বহিঃপ্রকাশ। তবে মুখের সামনে ফেরত দিলে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে (যা তাদের নিকট দাওয়াত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে) তাহলে তাদের মন রক্ষার্থে তা গ্রহণ করবে। কিন্তু নিজেরা না খেয়ে কোন গরিব মানুষকে দিয়ে দিবে, যেন এই আল্লাহর হালাল রিজিকটা নষ্ট না হয়।
সেই সাথে সময় ও সুযোগ অনুযায়ী বুঝাতে হবে যে, তাদেরকে এ ধরণের কার্যক্রম বিদআত।
আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমিন
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তর: উক্ত বোন দ্বীন পালন শুরু করেছেন এজন্য তাকে অভিনন্দন। তার জন্য দুয়া রইল, আল্লাহ যেন তার জন্য দ্বীনের পথে চলাকে সহজ করে দেন, তাকে সাহায্য করেন এবং আমরণ এ পথে টিকে থাকার তৌফিক দান করেন।
উক্ত বোন দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে পারিবারিক ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না এটা খুবই পজেটিভ ও আশা ব্যঞ্জক দিক আল হামদুলিল্লাহ। তবে সামাজিকভাবে সমস্যা তো থাকবেই। খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। তাদের নিকট দ্বীনের সঠিক জ্ঞান পৌঁছাতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে তাদের জন্য দুয়া করতে হবে, যেন আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করেন।
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ আদৌ জানে না যে, মৃত ব্যক্তির নামে ভোজ অনুষ্ঠান, জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন, বিবাহ বার্ষিকী পালন, মিলাদ, শবিনাখানি, কুলখানি, চল্লিশা ইত্যাদি বিষয়গুলো দ্বীনের অংশ নয় বরং এগুলো কাল পরিক্রমায় মুসলিম সমাজে রোগের মত অনুপ্রবেশ করেছে। তাই এ রোগ সারাতে হলে, সুন্নাহর জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধি করতে হবে, বিদআতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং দাওয়াতি কাজের ব্যাপকতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে আল্লাহ চাহে তো এ সব দ্বীন-ধর্মের নামে কুসংস্কার ও বিদআতের প্রকোপ কমতে শুরু করবে।
অজ্ঞতা বশত: তার কোন আত্মীয়, প্রতিবেশী বা বন্ধু যদি এ সব অনুষ্ঠানে আহ্বান করে তাহলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তবে তাদের নিকট সত্যের বাণী তুলে ধরার স্বার্থে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
অনুরূপভাবে তারা যদি এ সব অনুষ্ঠানের খাবার বাড়িতে দিয়ে যায় তাহলে উক্ত খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয় যদি খাবারটা হালাল হয়। তবে যথাসম্ভব তা না খাওয়াই ভালো। কারণ তা বিদআতি উপলক্ষে বানানো হয়েছে। এটাই বিদআতের প্রতি ঘৃণা বোধের পূর্ণাঙ্গ বহিঃপ্রকাশ। তবে মুখের সামনে ফেরত দিলে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে (যা তাদের নিকট দাওয়াত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে) তাহলে তাদের মন রক্ষার্থে তা গ্রহণ করবে। কিন্তু নিজেরা না খেয়ে কোন গরিব মানুষকে দিয়ে দিবে, যেন এই আল্লাহর হালাল রিজিকটা নষ্ট না হয়।
সেই সাথে সময় ও সুযোগ অনুযায়ী বুঝাতে হবে যে, তাদেরকে এ ধরণের কার্যক্রম বিদআত।
আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমিন
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল