প্রশ্ন: কসর সালাত সম্পর্কে জানতে চাই।
“কসর শব্দের অর্থ সংক্ষিপ্ত করণ।
শরিয়তের বিধান অনুযায়ী সফরে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয সালাত (যেমন: যোহর, আসর ও ইশা) সংক্ষিপ্ত করে মাত্র দু রাকআত পড়া শরিয়ত সম্মত। কিন্তু দু বা তিন রাকআত বিশিষ্ট ফরয সালাতে (যেমন: ফজর ও মাগরিব সালাত) কসর প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ সেগুলো যথা নিয়মে পূর্ণই আদায় করতে হবে।
আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফরে থাকা অবস্থায় পাঁচ ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত নামাযগুলো পড়তেন না কেবল ফযরের দু রাকআত সুন্নত আর বিতির নামায ছাড়া। তাই আমাদেরও উচিত হবেনা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করেন নি তা করা।
আর সফরে থাকা অবস্থায় তাড়া থাকলে বা অসুবিধা থাকলে যোহর ও আসর এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে এক সাথে পড়া যায়। অর্থাৎ যোহরের ওয়াক্ত হলে যোহর পড়ে আসর নামাযকে এগিয়ে নিয়ে এসে যোহর ও আসর এক সাথে পড়া যায় অথবা, আসরের ওয়াক্তে যোহরকে পিছিয়ে দিয়ে যোহর ও আসর একসাথে পড়া যায়। অনুরূপ করা যায়, মাগরিব ও ইশা এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে একসাথে পড়া যায়। একে নামায “জমা করা” বলে।
উল্লেখ্য, নামায এক সাথে পড়ার যে নিয়ম বর্ণনা করা হলো এর বাইরে করা যাবেনা, যেমন ফযর ও যোহর অথবা আসর ও মাগরিব এক সাথে করা যাবে না।
এছাড়া কেউ ইচ্ছা করলে নফল নামায পড়তে পারবেন, তবে সুন্নত নামাযের নিয়তে না। বা এটা মনে করা যাবেনা যে নামায কম পড়ছি বা সুন্নত নামায পড়ছিনা তাই নফল পড়ে পূরণ করে দেই। কারণ, এই নামাযের নিয়ম আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার, তাই বাড়িতে থাকতে যে যত রাকাত নামায পড়ে অভ্যস্ত আল্লাহ তার সমপরিমান নামাযের সওয়াবই দিবেন - সুবহা'নাল্লাহ!
দলীল জানতে চাইলে দেখুনঃ সুরা নিসাঃ ১০১, বুখারী ও মুসলিম - মিশকাতঃ ১৩৩৬।
সহীহ আল-বুখারীর সালাত অধ্যায়ের নামায সংক্ষিপ্ত করার অনুচ্ছেদ দেখুন, সবগুলো হাদীস পেয়ে যাবেন।
উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi
“কসর শব্দের অর্থ সংক্ষিপ্ত করণ।
শরিয়তের বিধান অনুযায়ী সফরে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয সালাত (যেমন: যোহর, আসর ও ইশা) সংক্ষিপ্ত করে মাত্র দু রাকআত পড়া শরিয়ত সম্মত। কিন্তু দু বা তিন রাকআত বিশিষ্ট ফরয সালাতে (যেমন: ফজর ও মাগরিব সালাত) কসর প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ সেগুলো যথা নিয়মে পূর্ণই আদায় করতে হবে।
আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফরে থাকা অবস্থায় পাঁচ ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত নামাযগুলো পড়তেন না কেবল ফযরের দু রাকআত সুন্নত আর বিতির নামায ছাড়া। তাই আমাদেরও উচিত হবেনা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করেন নি তা করা।
আর সফরে থাকা অবস্থায় তাড়া থাকলে বা অসুবিধা থাকলে যোহর ও আসর এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে এক সাথে পড়া যায়। অর্থাৎ যোহরের ওয়াক্ত হলে যোহর পড়ে আসর নামাযকে এগিয়ে নিয়ে এসে যোহর ও আসর এক সাথে পড়া যায় অথবা, আসরের ওয়াক্তে যোহরকে পিছিয়ে দিয়ে যোহর ও আসর একসাথে পড়া যায়। অনুরূপ করা যায়, মাগরিব ও ইশা এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে একসাথে পড়া যায়। একে নামায “জমা করা” বলে।
উল্লেখ্য, নামায এক সাথে পড়ার যে নিয়ম বর্ণনা করা হলো এর বাইরে করা যাবেনা, যেমন ফযর ও যোহর অথবা আসর ও মাগরিব এক সাথে করা যাবে না।
এছাড়া কেউ ইচ্ছা করলে নফল নামায পড়তে পারবেন, তবে সুন্নত নামাযের নিয়তে না। বা এটা মনে করা যাবেনা যে নামায কম পড়ছি বা সুন্নত নামায পড়ছিনা তাই নফল পড়ে পূরণ করে দেই। কারণ, এই নামাযের নিয়ম আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার, তাই বাড়িতে থাকতে যে যত রাকাত নামায পড়ে অভ্যস্ত আল্লাহ তার সমপরিমান নামাযের সওয়াবই দিবেন - সুবহা'নাল্লাহ!
দলীল জানতে চাইলে দেখুনঃ সুরা নিসাঃ ১০১, বুখারী ও মুসলিম - মিশকাতঃ ১৩৩৬।
সহীহ আল-বুখারীর সালাত অধ্যায়ের নামায সংক্ষিপ্ত করার অনুচ্ছেদ দেখুন, সবগুলো হাদীস পেয়ে যাবেন।
উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi