সাধারণভাবে আইনী সহায়তা কোন নাজায়েয পেশা নয়। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং অপরাধী ছাড়া না পায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও শত্রুতার কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/০২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালেম হোক অথবা মাযলূম। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাযলূমকে সাহায্য করব, তা তো বুঝলাম। কিন্তু যালেমকে কি করে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে (বুখারী হা/২৪৪৪; মিশকাত হা/৪৯৫৭; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৯/২৩১; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১১/৬০৯-৬১০)।
স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মূলতঃ বৃটিশদের রচিত। এই আইন অনুসরণের দায়ভার বর্তাবে সরকারের উপর। যতদিন উক্ত আইনের শরী‘আত বিরোধী ধারাসমূহ চালু থাকবে, ততদিন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ পাপী হ’তে থাকবে। কেননা আল্লাহর বিধানের বিপরীতে অন্যের বিধান কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় (ইউসুফ ১২/৪০, মায়েদাহ ৫/৫০ প্রভৃতি)। সুতরাং যিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ করবেন তার আবশ্যিক দায়িত্ব হবে সত্যের সাক্ষ্য দেয়ার পাশাপাশি নিজ অবস্থানে থেকে ইসলামী আইন প্রবর্তন এবং তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা। এটা তার ঈমানী দায়িত্ব (মুসলিম হা/৪৯; মিশকাত হা/৫১৩৭)।
আত তাহরীক
স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মূলতঃ বৃটিশদের রচিত। এই আইন অনুসরণের দায়ভার বর্তাবে সরকারের উপর। যতদিন উক্ত আইনের শরী‘আত বিরোধী ধারাসমূহ চালু থাকবে, ততদিন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ পাপী হ’তে থাকবে। কেননা আল্লাহর বিধানের বিপরীতে অন্যের বিধান কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় (ইউসুফ ১২/৪০, মায়েদাহ ৫/৫০ প্রভৃতি)। সুতরাং যিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ করবেন তার আবশ্যিক দায়িত্ব হবে সত্যের সাক্ষ্য দেয়ার পাশাপাশি নিজ অবস্থানে থেকে ইসলামী আইন প্রবর্তন এবং তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা। এটা তার ঈমানী দায়িত্ব (মুসলিম হা/৪৯; মিশকাত হা/৫১৩৭)।
আত তাহরীক